দুইদিন পর এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন কাতারের সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বাস্তবতা বলছে, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে লাল-সবুজদের (১৮৪) থেকে ১২৫ ধাপ উপরে আছে কাতার (৫৯)। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচে আধিপত্য নিয়ে খেলবে বিশ্বকাপ আয়োজকরা।
তাদের চমকে দিতে ‘কাউন্টার অ্যাটাক’ হবে বাংলাদেশের অন্যতম অস্ত্র। রক্ষণাত্মক কৌশল সাজিয়ে এই পাল্টা আক্রমণ অস্ত্রেই শান দিচ্ছেন ফুটবলার ও কোচরা।
জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে’র অবর্তমানে স্টুয়ার্ট পল ওয়াটকিস এমন কৌশলেই দল সাজাচ্ছেন। রক্ষণ শক্তিশালী করে কাউন্টার অ্যাটাকে কাতারকে চমকে দেয়ার মন্ত্র শেখাচ্ছেন জামাল-সুফিলদের।
দলের প্রতিটি বিভাগে ঝালাই করেছেন এই কোচ, ‘কাতারের কাছে বল থাকলে আমাদের দায়িত্ব কী হবে এবং আমাদের কাছে বল থাকলে আমরা কী করবো সেটাই আজকে অনুশীলন করা হয়েছে। কাউন্টার অ্যাটাক নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।’
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের প্রথম পর্বে ঘরের মাঠেই শক্তিশালী কাতারকে রুখে দিতে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। ঢাকার কর্দমাক্ত মাঠ থেকে ২-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ফেলিক্স সানচেজের শিষ্যরা।
তবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কাতারের মাটিতে সুনিল ছেত্রীকে ছাড়াই ড্র করে চমকে দিয়েছিল ভারত। বাংলাদেশ কি পারবে তেমন একটি চমক উপহার দিতে? অন্তত প্রস্তুতির বিচারেও ঢের এগিয়ে আছে কাতার। চার মাস থেকে অনুশীলন শুরুর পাশাপাশি কোস্টারিকা, দক্ষিণ কোরিয়া ও ঘানার মতো দলের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে কাতার।
সেখানে এক মাসের মতো অনুশীলন ও আর নেপালের মতো দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলে প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। এটাই যখন বাস্তবতা তখন সেভাবেই দলের সমন্বয়ে হাত দিয়েছেন কোচরা।
এমনটাই বললেন নাবীব নেওয়াজ জীবন, ‘আরও দুই দিন সময় আছে। ভালো করতে হবে। বিশেষ করে রক্ষণ, বল পজিশন, দলের সমন্বয়, স্কোরিং ও কাউন্টার অ্যাটাকে মনোযোগ দিচ্ছি। পুরো দল এগুলো নিয়ে কাজ করছে।’
৪ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কাতারের সঙ্গে অ্যাওয়ে ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশ। এক পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের তলানিতে আছে জেমি ডে’র শিষ্যরা। আর ৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কাতার।