ফুটবল মৌসুম সামনে রেখে ভালোমানের বিদেশির সন্ধানে ছিল ঢাকা আবাহনী। দলের শক্তি বাড়াতে ব্রাজিলের এক মিডফিল্ডার ও একজন স্ট্রাইকারকে দলে নিয়েছে ছয়বারের লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
ব্রাজিলিয়ান দুই ফুটবলার হলেন ফ্রান্সিসকো তোরেস ও রাফায়েল আগস্তো। স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেন তোরেস ও মাঝমাঠে রাফায়েল। ইতোমধ্যে দুই জনের সঙ্গে চুক্তি সেরেছে ঢাকা আবাহনী।
দলীয় ম্যানেজার সত্যজিত দাস রূপু জানান, ‘ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, কুয়েত, জর্ডান, ফিনল্যান্ডের খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তোরেসের। নিঃসন্দেহে ভালোমানের স্ট্রাইকার। আর রাফায়েল ভারতে ভালো পারফর্ম করেছে। দুইজনকে দলে নেয়া হচ্ছে।’
গত মৌসুমে আবাহনীর হয়ে খেলা বেলফোর্ট, বার্নহার্ড ও মাইলসন বিদায় নিয়েছেন। তাদের পরিবর্তে দলে যুক্ত হয়েছে দুই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার।
আকাশি-নীল জার্সিতে পরীক্ষিত নাইজেরিয়ান ফুটবলার সানডে চিজোবার ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
রূপু বলেছেন, ‘এখন কোনো বিদেশি ফুটবলারই ক্লাবে নেই। সবাই যার যার দেশে ফিরে গেছেন। কিন্তু সবাই আসার জন্য প্রস্তুত আছে। একমাত্র এশিয়ান কোটায় যে ছিল তাকে এবার আনছি না। সানডে আবাহনীতে খেলতে চায়। আমরা যদি তাকে নেই সে আসবে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেইনি আমরা।’
আগামী ১৯ ডিসেম্বর ফেডারেশন কাপ দিয়ে শুরু হবে এবারের ফুটবল মৌসুম। গত ২০ দিন ধরে অনুশীলন করছে ঢাকা আবাহনী। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুশীলন করা হচ্ছে বলে জানান সত্যজিৎ দাস রূপু।
তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতি চলছে ফুটবলাররা এসেছেন ৭ নভেম্বর ক্লাবে এসে তারা তিনদিন কোয়ারেন্টিনে ছিল। এখানে আসার আগে ফুটবলাররা যার যার বাসা থেকে করোনা পরীক্ষা করিয়ে এসেছেন। ১০ নভেম্বর দুই ভাগে তারা করোনা পরীক্ষা করেছেন। ১৬ জন আর দশ জন মোট ২৬ জন পরীক্ষা করেছে। তাদের সবারই ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। রিপোর্ট পাবার পর অফিসিয়ালি ট্রেনিং শুরু করা হয়েছে।’
দলের প্রধান কোচ হিসেবে এই মৌসুমেও আবাহনীর ডাগ আউটে থাকছেন পর্তুগিজ মারিও লেমস।