বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ম্যারাডোনার চিকিৎসকের বাড়ি-ক্লিনিকে অভিযান

  •    
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২০ ১১:০০

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, অভিযানে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ও চিকিৎসা সংক্রান্ত নোট জব্দ করা হয়।

সদ্য প্রয়াত ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার চিকিৎসকের বাড়ি ও ব্যক্তিগত ক্লিনিকে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সময় রোববার সকালে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেসে এ অভিযান চালানো হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্রোপচারের পর বাসায় ম্যারাডোনার চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে প্রসিকিউটররা নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জনের মতো পুলিশ কর্মকর্তা ম্যারাডোনার চিকিৎসক লিওপোল্ডো লুকের (৩৯) বাড়ি এবং ২০ জন পুলিশ তার ক্লিনিকে তল্লাশি চালান।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, অভিযানে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ও চিকিৎসা সংক্রান্ত নোট জব্দ করা হয়।

নভেম্বরে অস্ত্রোপচার শেষে ঘরে ফেরার পর ম্যারাডোনার সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। শেষ সময় তার কাছে  নার্স, চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি ও ডেফিব্রিলেটরসহ অ্যাম্বুলেন্স ছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ঘরে ম্যারাডোনার আরোগ্যের ব্যবস্থা ডা. লুক কীভাবে করেছেন, তা জানতে চান পুলিশ কর্মকর্তারা।

ম্যারাডোনার মেয়েরা শেষ সময়ে তাদের বাবার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে চাপ দিচ্ছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. লুক আবেগপ্রবণ হয়ে জানান, বন্ধুর জীবন বাঁচাতে সবকিছু করেছেন তিনি। সম্প্রতি ম্যারাডোনা বেশ বিষণ্ণ ছিলেন বলেও জানান তিনি।

সাংবাদিকদের একপর্যায়ে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা জানতে চান আমি কিসের জন্য দায়ী? ম্যারাডোনাকে ভালোবাসার জন্য, তার খেয়াল রাখার জন্য, তার জীবনক্ষণ বাড়ানোর জন্য ও শেষ পর্যন্ত তা উন্নত করার জন্য দায়ী আমি।’

নভেম্বরে ম্যারাডোনার অস্ত্রোপচার বিষয়ে লুক বলেন, ‘আমি নিউরোসার্জন। অস্ত্রোপচার বিষয়ে আমার দায়িত্ব ওই সময়ই শেষ হয়ে গিয়েছিল।’

হাসপাতাল থেকে ঘরে ফেরার পর ম্যারাডোনার চিকিৎসার দায় তার ছিল না বলে জোর দিয়ে বলেন লুক।

ম্যারাডোনোকে সামলানো কঠিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার পুনর্বাসন কেন্দ্রে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি তা চাননি।’

ম্যারাডোনার ঘরে ডেফিব্রিলেটর কেন ছিল না বা তার ঘরের বাইরে কেন অ্যাম্বুলেন্স ছিল না, তা জানেন না বলে সম্মেলনে বলেন লুক।

তিনি বলেন, ‘ম্যারাডোনা অনেক বিষণ্ণ ছিলেন। তিনি একা থাকতে চেয়েছিলেন। তার মানে এটা নয়, তিনি তার মেয়ে, পরিবার বা স্বজনদের ভালোবাসেন না।’

বুধবার বুয়েনোস আইরেস প্রদেশের তিগ্রা শহরে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় ৬০ বছর বয়সী ম্যারাডোনার।

এ বিভাগের আরো খবর