ডিয়েগো ম্যারাডোনার ঘনিষ্ট ছিলেন জোসে মরিনিয়ো। বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচ তার ফুটবল গুরু হিসেবেই মানেন ম্যারাডোনাকে। ইউরোপা লিগে তার দল টটেনহ্যাম হটস্পারের জয়ের পর ম্যারাডোনা সম্পর্কে মরিনিয়ো বলেন সবসময়ই তাকে উৎসাহ দিয়েছেন আর্জেন্টাইন ঈশ্বর।
‘ম্যাচে হারের পর সবসময় তার ফোন পেতাম’, স্মৃতিচারণ করেন মরিনিয়ো। “ম্যাচ জেতার পর হয়তো পেতাম না, কিন্তু ম্যাচ হারের পর অবশ্যই ফোন করতেন তিনি। আমাকে বলতেন, ‘জোসে ভুলে যেও না, তুমি-ই সেরা। পরাজয়ে ভেঙে যেও না।’ তাকে আমার সবসময়ই মনে পড়ে”, বলেন টটেনহ্যামের কোচ।
বর্ণিল চরিত্র ছিল ম্যারাডোনার। মাঠের বাইরে এক, ভেতরে আরেক সেটা মনে করিয়ে দিয়ে মরিনিয়ো বলেন, ‘একজন ছিল ম্যারাডোনা। একজন ছিল ডিয়েগো। ম্যারাডোনাকে আপনারা সবাই চেনেন। পুরো বিশ্ব চেনে, তাকে কেউই-ভুলবে না। ডিয়েগো আলাদা ছিল। বন্ধু, সতীর্থ বা কাছের মানুষ যারা তার সঙ্গে ড্রেসিংরুমে থাকত তারাই শুধু ডিয়েগোকে চিনতো। তারা খুবই ভাগ্যবান।’আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির সঙ্গে মরিনিয়োর সখ্যতা ফুটবল বিশ্বের আলোচনার খবর ছিল সবসময়ই। ম্যারাডোনা তার বন্ধু থাকায় নিজেকে ভাগ্যবান ভাবেন এই পর্তুগিজ ট্যাকটিশিয়ান। বলেন, ‘আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে তিনি আমাকে বন্ধু ভাবতেন। আমাদের সবসময়ই ফোনে যোগাযোগ হতো। দেখাও হতো। তিনি অনেক বড় হৃদয়ের মানুষ ছিলেন।’
মরিনিয়ো মনে করেন, ম্যারাডোনা চলে গেলেও তার ফুটবল থেকে যাবে অনন্তকাল। তিনি বলেন,‘আমি তাকে মিস করব। তার ফুটবল রয়ে গেছে আমাদের জন্য। যখনই তার কথা মনে পড়বে তার ফুটবলের কাছে ফিরে যেতে পারব।’
বৃহস্পতিবার রাতে মরিনিয়োর দল টটেনহ্যাম হটস্পার ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বুলগেরিয়ার লুদোগোরেতস রাজগার্দকে।