কাতারের সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে আর কয়েক দিন পরেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের শক্তি বিবেচনায় রেখে কোনো ক্ষতি ছাড়াই জাতীয় দল দেশে ফিরুক চান বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
তবে ভারত ও আফগানিস্তানের কাছে হারতে চান না চতুর্থবারের সভাপতি। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এই দুটি ম্যাচে জিততে চান তিনি।
বাফুফে ভবনে বুধবার জাতীয় দল নিয়ে সাংবাদিকদের এমন ইচ্ছার কথা বলেছেন কাজী সালাউদ্দিন।
৪ ডিসেম্বর কাতারের সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশ। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে বড় কোনো আশা রাখছেন না তিনি।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘এশিয়ার নাম্বার ওয়ান দল হলো কাতার। কাতার হলো প্রথম এশিয়ান দল যারা করোনার মধ্যে প্রথম লিগ শুরু করে। তারা দু’দিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে খেলেছে এবং তার আগে কোস্টারিকার সাথে খেলেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের তুলনা হয় না।
‘আমার চাওয়া খুব কম। ছেলেরা আট মাস পরে তিন সপ্তাহের প্রাকটিস করে খেলছে। আমার চাওয়া হলো, যতটুকু কম ড্যামেজ করে আসা যায়। তবে আশা করি ছেলেরা ভালো খেলবে।’
কাতারের মাটিতে অ্যাওয়ে খেলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বাকী তিনটি ম্যাচই হবে ঢাকার মাটিতে। ঘরের মাঠে ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন সালাউদ্দিন। অন্তত এই দুটি দলের বিপক্ষে জয় চান তিনি।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘বিশেষ করে ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমাদের প্ল্যানিং ও মানসিক প্রস্তুতি আলাদা হবে। ওই ম্যাচগুলোতেও যেন আমরা যথেষ্ট ট্রেনিং করার সুযোগ পাই এটা আমি মাথায় রেখেছি। ভাইটাল ম্যাচ এই দুটি। এই দুটি ম্যাচে আমি হারতে চাই না।’
সামনের ফিফা উইন্ডোগুলোতে ঘরোয়া ফুটবলের ফিক্সচার অনুযায়ী সাজাতে চান তিনি।
তিনি জানান, জাতীয় দলকে যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা দেয়ার এবং ক্লাবদের যাতে কোনো আপত্তি না থাকে সেই বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘ফিফার এই ডেটগুলোর আগে যেন আমি ১০-১২ দিন সময় পাই এই একই স্টাইলে ট্রেনিং করার। ওই ট্রেনিংগুলো আমার বিদেশে যেয়ে করতে হবে না কেননা খেলাতো আমাদের ঢাকার মাঠে।
‘বাংলাদেশেই যেন এই সুযোগ-সুবিধাগুলো দিতে পারি এবং ক্লাবদের যাতে কোন সমস্যা না হয় সেইভাবে ফিক্সচারটা করতে বলব।’