পুরো ফুটবলপাড়া যেন শোকে কাতর। সকাল থেকে মতিঝিলের বাতাস ভারী হয়ে আছে দেশের কিংবদন্তি ফুটবলার বাদল রায়ের চিরবিদায়ে। সাবেক ফুটবলার, সংগঠক, সতীর্থ ও ভক্তদের চোখে জল। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত এই ফুটবলারকে এক নজর দেখতে ভিড় করেছেন তারা।
লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৬০ বছর বয়সে বিদায় বলা বাদল রায়ের মরদেহ বেলা ১১টায় নিয়ে যাওয়া হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব প্রাঙ্গণে।
এই ক্লাবের জার্সিতেই এক যুগ মাঠ কাঁপিয়েছেন বাদল। বুট জোড়া তুলে রেখেছেন সাদা-কালো জার্সি পরেই। ফুটবল ছাড়ার পর সংগঠক হিসেবে এই ক্লাবের উত্থান-পতনে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত সঙ্গে ছিলেন তিনি। বাদল রায় থেকে হয়ে উঠেছিলেন ‘মোহামেডানের বাদল’।
এক ঘণ্টা সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয় বাদলের মরদেহ। সাবেক ফুটবলার, সতীর্থ, সংগঠক ও ভক্তদের শ্রদ্ধায় মোহামেডান থেকে শেষ বারের মতো বিদায় নেন এই কিংবদন্তি।
১২টায় শেষবারের মতো চিরচেনা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয় তার মরদেহ। এই মাঠেই একসময় লাখো মানুষকে উৎসবের মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন বাদল রায়। শেষ বার সবাইকে কাঁদিয়ে বিদায় নেন তিনি।
বিকেল পাঁচটায় রাজধানীর সবুজবাগ কালী মন্দিরে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। ২২ নভেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিক্যালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই কৃতী ফুটবলার।