জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার বাদল রায় আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
লিভার ক্যান্সারে ভুগছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক এই ফুটবলার।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের সাবেক ম্যানেজার ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাবেক সদস্য সত্যজিৎ দাস রুপু।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
'বাদল রায় খুব ভালো মানের খেলোয়াড় ও সফল সংগঠক ছিলেন। তার চলে যাওয়া বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি', শোকবার্তায় বলেন সালাউদ্দিন। তার সম্মানে সোমবার বাফুফের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
সপ্তাহখানেক আগে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বাদল রায়কে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। ১৫ নভেম্বর লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে তার। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে যান তিনি।আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সেখানেই মৃত্যু হয় সাবেক এই মিডফিল্ডারের।বাদল রায়কে ২৩ নভেম্বর সকাল ১১টায় মোহামেডান ক্লাব প্রাঙ্গণে ও দুপুর ১২টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। দুপুর ২টায় বাসাবো কালী মন্দির শ্বশানঘাটে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১৩ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বাদল রায়। বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়ে করোনামুক্তিও মেলে তার। সুস্থ হয়ে বাফুফের গত নির্বাচনে নেমেছিলেন তিনি।
২০১৭ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে বাদল রায়ের। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় তাকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন।
বাফুফের সাবেক সহসভাপতি ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের সাবেক পরিচালক ছিলেন বাদল রায়। তিনি মোহামেডানের জার্সিতে খেলেছেন ১২ বছর।