শনিবারের আগে লা লিগায় আতলেতিকো মাদ্রিদকে নিয়ে দিয়েগো সিমিওনি বার্সেলোনার মুখোমুখি হয়েছিলেন ১৭ বার। কিন্তু সেই ১৭ বারে জয়ের দেখা একবারের জন্যও জয় পাননি এই আর্জেন্টাইন কোচ।
সেই অধরা জয়ের দেখা অবশেষে পেলেন সিমিওনি। বার্সেলোনা গোলকিপার মার্ক আন্ড্রে টার স্টেগানের উপহার দেওয়া এক গোলে কাতালানদের ১-০ গোলে হারায় আতলেতিকো মাদ্রিদ।
প্রতিপক্ষ গোলকিপারের ভুল থেকে গোল পেলেও, পুরো ম্যাচেই ছন্দে ছিল আতলেতি। বার্সেলোনাকে বলতে কোনো সুযোগই দেয়নি তারা।
ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে।বার্সেলোনা ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকের ভুল থেকে বল পেয়ে ইয়ানিক কারাস্কোর কাছে বল পাঠান আনহেল কোরেয়া।কারাস্কোকে আটকাতে প্রায় মাঝমাঠে উঠে আসেন স্টেগান।কিন্তু তাতে বিপদ বাড়িয়ে দেন তিনি। স্টেগানকে নাটমেগ করে ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে আতলেতিকে এগিয়ে নেন কারাস্কো।
অবশ্য বার্সেলোনা এগিয়ে যেতে পারতো পাঁচ মিনিটের মাথায়ই। উসমান ডেম্বেলের ক্রসে পা ছোঁয়ালেও বল বারে রাখতে পারেননি আঁতোয়া গ্রিজমান।এরপর ১১ মিনিটের মাথায় আতলেতির মার্কাস ইয়োরেন্তের শট বাইরে চলে যায় স্টেগানের ক্রসবারে লেগে।
দ্বিতীয়ার্ধে অধিনায়ক লিওনেল মেসির দারুণ দুটি ক্রস থেকে সুযোগ পেয়েছিল কাতালানরা। কিন্তু দুবারই ক্লেঁম লংলে এবং গ্রিজমান হেড করেন সোজা আতলেতি গোলকিপার ইয়ান ওবলাকের কাছে।
ম্যাচে হার ছাড়াও বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড কুমানের মাথাব্যথার কারণ হয়ে থাকবে দলের চোট সমস্যা। আনসু ফাতি আগে থেকেই পাঁচ মাসের জন্য বাইরে। আতলেতির বিপক্ষে চোটে পড়েন পিকে ও সার্জি রবার্তো।
জয়ে আট ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগা টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে আতলেতি। অন্যদিকে আট ম্যাচে মাত্র ১১ পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনা আছে টেবিলের দশ নম্বরে। যা ১৯৯১-৯২ মৌসুমের পর তাদের সবচেয়ে বাজে শুরু।