ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে হেরে গেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। মোনাকোর মাঠে দুই গোলে এগিয়ে যাবার পরও, স্বাগতিকদের কাছে ৩-২ ব্যবধানে হেরেছে চ্যাম্পিয়নরা।
মোনাকোর মাঠ স্তাদে লুইয়ে প্রথম বড় সুযোগ আসে স্বাগতিকদের কাছে।ম্যাচে দশম মিনিটে কেভিন ফোলান্ডের ফ্রি কিক থেকে পিএসজিকে নিরাপদে রাখেন হোলকিপার কেইলর নাভাস।
এর মিনিট পনের পরই লিড নেয় পিএসজি। ২৫ মিনিটে দানিলোর থ্রু বল পান আনহেল দি মারিয়া।
তার পাস থেকে বল পেয়ে ডিফেন্ডার ও গোলকিপারকে বোকা বানান কিলিয়ান এমবাপে।
লিড দ্বিগুণ করার সুযোগ আসে সফরকারীদের সামনে ৩৬ মিনিটে। মোনাকো ডিফেন্ডার ইউসুফ ফোফানা বক্সের ভেতর ফাউল করেন রাফিনিয়া আলকান্তারাকে।
হলুদ কার্ড দেখানোর পাশাপাশি পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। স্পট থেকে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করতে সমস্যা হয়নি এমবাপের।
দুই মিনিট পর ময়েস কিনের একটি গোল ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্টের সাহায্য নিয়ে বাতিল করে দেন রেফারি। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে এমবাপের করা গোলও বাতিল করে দেয় ভিএআর। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা।
দ্বিতীয়ার্ধে উইলিয়াম গেবেলসকে বদলে সেস্ক ফাব্রেগাসকে মাঠ নামান পিএসজি বস নিকো কোভাচ। এই অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার মাঠে নামার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কিছুটা ফিরে পায় মোনাকো।
৫২ মিনিটে নিজেদের প্রথম গোল পায় স্বাগতিক দল। গেলসন মার্টিনস বক্সের ভেতরে বল বাড়ান ফোলান্ডের জন্য। কাছ থেকে গোল করতে ভুল করেননি এই জার্মান ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের এক ঘণ্টার মাথায় দি মারিয়ার পরিবর্তে মাঠে নামেন নেইমার। কুঁচকির চোটে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচ খেলতে পারেননি তারকা ফরোয়ার্ড।
তার নামার পরও খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি পিএসজির খেলায়। মোনাকোর আক্রমণ সামলাতেই ব্যতিব্যস্ত থাকে তাদের ডিফেন্স।
ম্যাচে সমতা ফেরে ৬৫ মিনিটে। অরেলিয়ে টশুয়ামেনির লম্বা পাস বক্সে খুঁজে পায় ফাব্রেগাসকে। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের পাস থেকে আবারও গোলকিপারকে ফাঁকি দেন ফোলান্ড।
৮১ মিনিটে ম্যাচ জয়ের সুযোগ আসে মোনাকোর সামনে। আবদু দিয়ালো বক্সে ফাউল করেন ফোলান্ডকে। রেফারি আবদুকে লাল কার্ড দেখানোর পাশাপাশি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। স্পট থেকে দলের জয়সূচক গোলটি করেন ফাব্রেগাস।
হারের পরও ১১ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে শীর্ষে আছে পিএসজি। ম্যাচ জিতে শীর্ষ দলের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছে মোনাকো। সমান ম্যাচে তাদের ঝুলিতে আছে ২০ পয়েন্ট।