২০১৭ সালে নেইমারের বিদায়ের পর থেকেই লেফট উইং নিয়ে ভুগছে বার্সেলোনা। তার জায়গা নিতে উসমান ডেমবেলে, ফিলিপে কোতিনিয়ো এবং সর্বশেষ আঁতোয়া গ্রিজমানকে দলে ভেড়ালেও, কেউই নেইমারের অভাব পূরণ করতে পারেননি।
অথচ নেইমারের জায়গা নিতে ২০১৭ সালেই ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপেকে দলে ভেড়াতে পারতো কাতালান ক্লাবটি। কিন্তু এমবাপে নিজের জন্য খেলে, এমন যুক্তিতেই নাকি তাকে কেনা হয়নি।
বার্সেলোনার হয়ে ২০১০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত স্পোর্টিং ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করা হাভিয়ের বোর্দাস এমনটি জানান 'এল মুনদো দেপোর্তিভোর' সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে।
‘আমরা যখন ডেম্বেলেকে কেনার চেষ্টা করছিলাম, তখন মিনগেলা(এমবাপের এজেন্ট) আমাকে ফোন করে এবং বলে যে এমবাপেকে কেনার সুযোগ আছে। আমি বার্তোমিউর সঙ্গে কথা বলি এবং উনি এই ব্যাপারটির ওপর নজর রাখতে বলেন’, বলেন বোর্দাস।
‘আমি এমবাপের বাবাকে ফোন করি এবং উনি বলেন যে রিয়াল মাদ্রিদে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, (করিম) বেনজেমা ও (গ্যারেথ) বেল থাকায় সেখানে এমবাপে যাচ্ছে না। বরং নেইমার না থাকায় সে বার্সেলোনায় আসতে পারে। মোনাকোর প্রেসিডেন্টও প্রতিপক্ষ পিএসজির বদলে এমবাপের বার্সেলোনায় যাওয়ার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু রবার্ট ফার্নানদেস (বার্সেলোনার সাবেক টেকনিকাল সেক্রেটারি) ডেমবেলেকে বেশি পছন্দ করতেন এবং পেপ সেফগুরা (বার্সেলোনার সাবেক জেনারেল ম্যানেজার) তাকে সমর্থন করেন’, জানান বোর্দাস। ’
এমবাপের বদলে ডেম্বেলেকে বার্সা কেনে কারণ তাদের মতে ডেম্বেলে খেলেন দলের জন্য। বোর্দাস বলেন, ‘সেই সময়ে ব্যাখ্যা ছিলো যে এমবাপ্পে নিজের জন্য খেলে এবং ডেম্বেলে দলের জন্য খেলে। ১০০ মিলিয়ন ইউরোতে চুক্তিটা হতে পারত।’
হালের সেনসেশন আর্লিং হালান্ডকেও কেনার সুযোগ ছিলো কাতালান ক্লাবটির কাছে। কিন্তু হালান্ডের ‘বার্সেলোনা ডিএনএ’ নেই, এই যুক্তিতে তাকে দলে ভেড়ায়নি ক্লাবটি।
‘আমি ক্লাবের কাছে হালান্ড, ফেরান তোরেস, দানি অলমোর মত খেলোয়াড়দের সুপারিশ করেছিলাম যাদের দাম ছিলো ২০ মিলিয়ন ইউরোর মত’, বলেন বোর্দাস।
কিন্তু তাদের কাউকেই শেষ পর্যন্ত দলে ভেড়ায়নি বার্সেলোনা। হালান্ড যোগ দিয়েছেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে। ফেরান তোরেস ম্যানচেস্টার সিটিতে এবং দানি অলমো আরবি লাইপসিগে।