সামনের বছর ফিফা উইন্ডোতে জাতীয় দলকে নিয়মিত ম্যাচ খেলানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির জন্য আরও ম্যাচ আয়োজন করতে চায় তারা।
সেজন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সেটি যোগাড় করতে তৎপর হচ্ছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
নেপাল ম্যাচ আয়োজন করতে বাফুফের খরচ হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা।
জাতীয় দলের র্যাঙ্কিং বাড়াতে পরিকল্পনা নিয়ে শনিবার ফেডারেশন ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘র্যাঙ্কিং বাড়াতে ম্যাচ খেলতে হবে। দুটি ম্যাচ জিতলে হবে না। ২০টি ম্যাচ খেলতে হবে। এর মধ্যে ১৬টি হেরে চারটি জিতলেও র্যাঙ্কিং বাড়বে। এখানে ফান্ডের প্রবলেম আছে। যদি ফান্ডের ব্যবস্থা করতে পারি অবশ্যই র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে যাব।’
র্যাঙ্কিং বাড়াতে ফুটবলারদের সুযোগ-সুবিধা দিতে কার্পণ্য করবেন না বলে আশ্বাস দেন বাফুফে প্রধান।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘এই খেলাগুলো আয়োজন করতে অনেক টাকা লাগে। আমাদের কাছে যা ফান্ড আছে এই ফান্ড খরচ করলে বোর্ডের থেকে অবজেকশন আসতে পারে। কারণ লিগসহ অনেক কিছু আছে।
‘কিন্তু আমি সবাইকে বলেছি, আমাদের খেলতেই হবে। হার-জিত বিষয় না। না খেললে বুঝতে পারব না অবস্থান কী। প্লেয়ারদের যতভাবে সুযোগ-সুবিধা দেয়া যায় এটাই আমাদের দায়িত্ব।’
শুক্রবার নেপাল-বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়েও সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন।
বলেন, ‘দুই দলই ভাল খেলেছে। বাংলাদেশ প্রথমার্ধে খুবই ভালো খেলেছে। প্রথমার্ধে আরও দুয়েকটা গোল হওয়ার দরকার ছিল। হেডটা তপু বর্মনের। কেন মিস হলো সেটা তপু নিজেও বলতে পারবে না। এটাই ফুটবল। করোনা ভাইরাসের পরে প্লেয়াররা রিকভারি করেছে অনেকটা। আরেকটু সময় লাগবে। কিন্তু এটাই আশা করছিলাম।’
ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ফিনিশিংয়ের জন্যই তো কাজ করছেন কোচরা। প্লেয়ারদেরই ফিনিশিং করতে হবে। কোচও পারবে না আমিও পারব না। কালকে তারা আত্মবিশ্বাসী ছিল। দুটি গোলই খুব সুন্দর গোল হয়েছে। দুটি গোলই কোয়ালিটিফুল। এদের যোগ্যতা আছে করার।’
ডিসেম্বরে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে কাতারের সঙ্গে লড়বে বাংলাদেশ। নেপাল ম্যাচের পারফরম্যান্স কাতার ম্যাচের জন্য যথেষ্ট কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাতার ম্যাচের আগে আর তিন থেকে চার সপ্তাহ বাকী আছে। এই সময়টা যথেষ্ট নয়।’
কাতারের সঙ্গে ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচটা হবে কাতারে। এই ম্যাচ লাল-সবুজদের জন্য কঠিন হবে উল্লেখ করে সালাউদ্দিন বলেন, ‘কাতার তিন-চার মাস ধরে অনুশীলন করছে। সবাই জানি কাতার বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ। এশিয়া চ্যাম্পিয়ন। ম্যাচটা খুবই কঠিন হবে। আশা করব ছেলেরা সম্মানজনকভাবে খেলে আসবে।’
এ দিকে প্রথম ম্যাচে জয়ের পর জাতীয় দলকে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দেয় ফেডারেশন। সিরিজ জিতলে আরও পুরস্কার দেয়া হবে বলে জানান তিনি।