দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে নেমেই জয় উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রায় সাত বছর পর নেপালকে হারিয়েছে জামাল ভূঁইয়ারা। জয়ের পর কিছুটা সংযমী দেখা গেল জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডেকে। হেরেও সন্তুষ্ট নেপালের কোচ বাল গোপাল মহারজন।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নেপালকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে দুই দলের কোচ কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।
১০ মাস পর ফিরেই জাতীয় দলের জয়ে খুশি জেমি ডে। বলেন, ‘দুটি গোলই খুব ভালো হয়েছে। দ্বিতীয় গোল ম্যাচটা শেষ করে দিয়েছে। এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত কিন্তু হয়নি। তবে দল জেতায় আমি খুব খুশি।’
ম্যাচের জয়ে আপাতত খুশি হলেও সংযমের সুর পাওয়া গেল জেমির কণ্ঠে, ‘এটা প্রি-সিজন ম্যাচ ছিল। কারো চোট হয়নি এটা ভালো ব্যাপার। এই জয়ে ভেসে যাচ্ছি না। দ্বিতীয় ম্যাচ (নেপালের বিপক্ষে) কঠিন হবে।’
জীবন ও সুফিলের দারুণ দুটি গোলে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজে এক ধাপ এগিয়ে গেছে স্বাগতিক দল। এই দুই ম্যাচ যে ডিসেম্বরে কাতার ম্যাচের প্রস্তুতি তা মনে করিয়ে দিলেন এই ইংলিশ কোচ।
জেমি বলেন, ‘সামনে আরও কঠিন ম্যাচ আছে। কাতারের মাঠে খেলতে যাব। সেখানে আরও কঠিন ম্যাচ হবে। তো এই জয় আমার কাছে অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
ম্যাচের প্রথমার্ধ আধিপত্য নিয়ে খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা এলোমেলো মনে হয়েছে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে মাঝমাঠ ছিল অগোছালো। দ্বিতীয়ার্ধে দুই মিডফিল্ডার জামাল ও মানিককে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন জেমি।
বিষয়টি নজর এড়ায়নি তার। এই ইংলিশ কোচ তার কারণ ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, ‘মিডফিল্ডে দুই বছর পর খেলছে ফাহাদ। বাকিরা আট মাস খেলছে। ফলে খেলোয়াড়দের মধ্যে কিছুটা জড়তা থাকবে, এটা স্বাভাবিক। এভাবে দীর্ঘ বিরতি দিয়ে খেলতে নামার পর স্বাভাবিক খেলাটা খেলা সহজ নয়। প্রথমার্ধে ভালো ছিল কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ নিখুঁত ছিল না।’
তবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে এই ত্রুটিগুলো শুধরে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের কোচ।
বাংলাদেশের কাছে হারের বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাল গোপাল মহারজন। বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জয়ের জন্য। হার-জিত খেলার অংশ। তবে আমি দলের খেলায় সন্তুষ্ট। বাংলাদেশে আসার আগে এক সপ্তাহ অনুশীলন করেছি। এখানে এসেও অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছি আর এক সপ্তাহ। এমন প্রস্তুতির পর এই ম্যাচের ছেলেরা যা করেছে তাতে আমি সন্তুষ্ট।’
দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে আরও নিয়ন্ত্রিত খেলা উপহার দেয়ার কথা বললেন নেপাল কোচ, ‘আমাদের স্কোয়াড গভীরতা কম। আক্রমণেও খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারিনি। যা পেয়েছি সেগুলোও কাজে লাগাতে পারিনি। আশা করি পরের ম্যাচে এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারব।’
নেপালের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আগামী ১৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।