আট মাস পরে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। প্রতিপক্ষ নেপাল। কোচ জেমি ডে যে ম্যাচ দুটিকে দেখছেন কাতারের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে। জয় জরুরী ছিল বাংলাদেশের জন্য।
নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রেকর্ড খুব সুবিধের নয়। শেষ পাঁচ ম্যাচে লাল-সবুজদের জয় মাত্র একটি।
দুই প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে সেই কাঙ্ক্ষিত জয় পেল বাংলাদেশ। স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবন ও মাহবুবুর রহমান সুফিলের গোলে জেমি ডের শিষ্যরা নেপালকে হারাল ২-০ গোলের ব্যবধানে।
ব্যবধান বড় হতে পারত আরও। বেশ কিছু সহজ সুযোগ হাতছাড়া করায় সেটি আর হয়ে ওঠেনি।
ম্যাচের শুরু থেকেই অতিথিদের চেপে ধরে বাংলাদেশ। সেই চাপের ফলই পাওয়া যায় ১৩ মিনিটের মাথায়।ডান উইংয়ে কাট ইন করে দুজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানান সাদ উদ্দীন। বক্সে করা তার ক্রসে পা ছুঁইয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন জীবন।
১৩ মিনিটে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন নাবিব নাওয়াজ জীবন। ছবি: সাইফুল ইসলাম
এরপর গোলের বেশ কয়েকটি সুযোগ আসে লাল-সবুজের সামনে। ২০ মিনিটের মাথয় রাইট উইং থেকে করা জীবনের ক্রসে মাথা ছুঁইয়েছিলেন মোহাম্মদ ইব্রাহীম, তবে গোললাইনে তার হেড ফিরিয়ে দেন নেপাল ডিফেন্ডার।
মিনিট দুয়েক পরেই রাইট ব্যাক বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রো থেকে হেড করেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। কিন্তু হেডার গোলের ভেতর রাখতে পারেননি তিনি। বল চলে যায় বাইরে দিয়ে।
২৬ মিনিটে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মানিক মোল্লার দূরপাল্লার শট নেপাল গোলরক্ষক কিরণ কুমার লিম্বুর হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লেগে চলে যায় কর্নারের জন্য।
বেশ কয়েকটি সুযোগ পায় নেপালও। সেগুলোর সদ্ব্যবহার করতে পারেনি তারা। অভিষিক্ত গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকেও তাই মুখোমুখি হতে হয়নি তেমন কঠিন পরীক্ষার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় নেপাল। বিশেষ করে অধিনায়ক জামাল ভূইয়া ও মানিককে তুলে নেবার পর মাঝমাঠে প্রাধান্য বিস্তার করতে থাকে সফরকারী দল।
৭৬ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় বাংলাদেশ। বক্সের বাইরে থেকে তপুর ফ্রি-কিক এগুচ্ছিলো গোলের দিকেই। দারুণ এক সেভে তা হতে দেননি নেপাল গোলরক্ষক লিম্বু।
৭৭ মিনিটে ম্যাচে প্রথমবারের মত বিপদের মুখোমুখি হন জিকো। ডান প্রান্ত থেকে উড়ে আসা একটি ক্রস প্রায় ঢুকেই যাচ্ছিলো বাংলাদেশের জালে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ডান হাত দিয়ে নিজের ক্লিন শিট বজায় রাখেন তিনি।
এর মিনিট দুয়েক পরই বাংলাদেশ জয় নিশ্চিত হয়।
সুমন রেজার পরিবর্তে মাঠে নামা মাহবুবুর রহমান সুফিল মাঝমাঠ থেকে একক প্রচেষ্টায় বল জড়ান নেপালের জালে।
৭৯ মিনিটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় গোলটি করেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। ছবি: সাইফুল ইসলাম
বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে বাংলাদেশের বক্সে সুযোগ পেয়েছিলেন অনন্ত তামাং। কিন্তু শট গোলে রাখতে পারেননি এই নেপালি ডিফেন্ডার।এর কিছুক্ষণ পরেই ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজান রেফারি। ফলে ২০১৩ সালের পর প্রথমবার নেপালকে হারায় বাংলাদেশ।জয়ের পর পুরো স্কোয়াডের জন্য ১০ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার ঘোষনা করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।