২০১৮ সালে সবশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ড্র করলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনাল এমন সহজ সমীকরণ ছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলের ভুলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। নেপাল ম্যাচের সেই দুঃস্বপ্ন এখনও তাড়া করে ঢাকা আবাহনীর এই গোলরক্ষককে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার অনুশীলন শেষে নিউজবাংলার সঙ্গে সেই ম্যাচের স্মৃতিচারণ করেন শহীদুল আলম সোহেল। বলেন, ‘সেই ঘটনা সবসময় মনে থাকবে। ফুটবল ছাড়ার পরেও মনে থাকবে। ভুলটা জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। যেখানেই যাই না কেন, ভুলটা সবসময় মনে পড়ে। প্রত্যেক রাতে মনে পড়ে।’
সেই নেপাল ম্যাচের ৩৩ মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে বিমল গাত্রীর নেওয়া ফ্রি কিক ঠেকাতে পারেননি সোহেল। তার গ্লাভস ফসকে বল চলে যায় জালে। এরপর দিশেহারা লাল-সবুজরা চাপের মুখে ৯০ মিনিটে আরও এক গোল হজম করে। ২-০ ব্যবধানে হেরে স্বাগতিক হয়েও বিদায় নেয় সাফ ফুটবল থেকে।
এমন ভুল জাতীয় দলের গোলরক্ষক হিসেবে করা উচিত নয় মনে করেন সোহেল। দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে নতুন গোলকিপিং কোচ লেস ক্লিভলির কাছে তালিম নিচ্ছেন তিনি। সোহেল বলেন, ‘ (ক্লিভলি) তিনটা সেশন করেছেন আমাদের সঙ্গে। তিনি আগেও বসেছেন। সামনে অনেক সেশন আছে। বলার আগেই তিনি আমার প্রবলেমগুলো নিয়ে কাজ করেছেন।’
সোহেল ছাড়াও ক্যাম্পের অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন আরও তিন গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা, আনিসুর রহমান জিকো ও পাপ্পু হোসেন।
১৩ ও ১৭ নভেম্বর ম্যাচে স্কোয়াডে সুযোগ পেতে কঠিন প্রতিযোগিতা হবে বলে মনে করেন গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন। বলেন, ‘প্রতিযোগিতা হবেই। সবার ইচ্ছা থাকে ২২ বা ২৩ জনের স্কোয়াডে থাকতে। যদি স্কোয়াডে থাকতে পারি তাহলে খেলার জন্য প্রস্তুত থাকব। চাপ নিয়ে খেললে খেলা নষ্ট হবে। চাপ না নিয়ে খেললে খেলা ভাল হবে। ভুলভ্রান্তি ম্যাচের মধ্যে হবে। তবে তার পরিমাণ যেন কম হয় সেই চেষ্টা করব।’