দেশে ফেরার পরদিনই জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন জামাল ভূঁইয়া। নেপাল ম্যাচকে সামনে রেখে পুরো ফিট হতে এক সপ্তাহের টার্গেট নিয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক।
সাত মাস ধরে ফুটবলের বাইরে থাকা জামাল জাতীয় দলের সঙ্গে সবগুলো ট্রেনিং সেশনে অংশ নেন। অনুশীলন শেষে সতীর্থরা যখন ড্রেসিং রুমে তখনও মাঠে ঘাম ঝরাচ্ছেন এই মিডফিল্ডার। কুল ডাউনের পর কথা বলেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।
ডেনমার্ক থেকে ঢাকার গরমে এতদিন মাঠে নেমে হাসফাঁসই হচ্ছিল জামালের। বললেন, ‘গরম লাগছে। ডেনমার্কে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অনেক ঠান্ডা। এখানে অনেক গরম।’
দলের সঙ্গে অনুশীলনে ফেরাতে স্বস্তিতে আছেন জামাল। বলেন, ‘প্রথম দিন অনুশীলন করলাম। এতদিন একা একা প্র্যাকটিস করছি। জিম আর রানিং করেছি। কিন্তু এখন দলের সঙ্গে অনুশীলন করছি। টিমের সঙ্গে অনুশীলন করা অন্যরকম ভালো লাগা। দলের সমন্বয় বাড়ে।’
স্থগিত হয়ে গেলেও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বাকি ম্যাচগুলো হবে ২০২১ সালের প্রথম দিকে। তার প্রস্তুতি হিসেবে এই প্রীতি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন এই অধিনায়ক।
‘সামনে যতটুকু জানি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কাতার ম্যাচ হতে পারে। সো নেপাল ম্যাচ প্রিপারেশনের জন্য ভালো হবে। আগেরবার ভুটানের সঙ্গে খেলে কাতার-ভারতের সঙ্গে ভালো ম্যাচ খেলেছি। নেপাল ম্যাচ প্রিপারেশনের জন্য ভালো হবে’, বলেন জামাল।
১৩ ও ১৭ নভেম্বর নেপালের সঙ্গে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই জয়ের বিকল্প দেখছেন না তিনি।
‘নেপাল ম্যাচ দুইটা জিততে হবে। না হলে মানুষ বা মিডিয়া বলবে জাতীয় দল পারফর্ম করতে পারে না। দলের সবাই বিষয়টি জানে। আমাদের সেভাবেই পারফর্ম করতে হবে।’
নেপাল ম্যাচের জন্য পুরো ফিট হতে এক সপ্তাহের টার্গেট নিয়েছেন জামাল ভূঁইয়া। তার ভাষ্য, ‘ফিটনেস ১০০ ভাগে নেই। কিন্তু হবে। এক সপ্তাহ লাগবে। এখন ৮০ ভাগ ফিট আছি।’
এদিকে দলের ক্যাম্পে এখনও যোগ দেননি ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা। ক্যাম্পে যোগ দিলেও অনুশীলনে ছিলেন না প্রধান কোচ জেমি ডে, সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট পল ওয়াটকিস ও গোলরক্ষক কোচ লেস ক্লিভলি।
শুক্রবার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলে শনিবার থেকে অনুশীলনে যোগ দেবেন এই তিন ইংলিশ কোচ।