বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ম্যারাডোনার ৬০

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩০ অক্টোবর, ২০২০ ১২:৩১

জন্মদিনে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছেন সময়ের দুই সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো। এই দুই আধুনিক গ্রেটের ধারে কাছে কেউ নেই এমনটা মন্তব্য ম্যারাডোনার।

ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার ৬০ তম জন্মদিন আজ (৩০ অক্টোবর)। বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনিয়ান অধিনায়ক জন্মদিন পালন করছেন আইসোলেশন। বুয়েনোস আইরেসে মঙ্গলবার কোভিড ১৯ এর উপসর্গ দেখা দিলে নিজে থেকেই আইসোলেশনে যান 'এল দিয়েগো'।

জন্মদিনে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছেন সময়ের দুই সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো। এই দুই আধুনিক গ্রেটের ধারে কাছে কেউ নেই এমনটা মন্তব্য ম্যারাডোনার।

ফ্রান্স ফুটবলকে জন্মদিন উপলক্ষে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'মেসি আর রোনালডো এই মুহূর্তে অন্যদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। এই দুইজন যা করেছে অন্যরা তার অর্ধেকও করতে পারেনি।'

১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর বুয়েনোস আইরেসের সুবিধা বঞ্চিত এলাকা ভিয়া ফায়োরিতায় জন্ম ডিয়েগো ম্যারাডোনার। কিশোর বয়স থেকে নজর কাড়েন নিজের ফুটবল প্রতিভা দিয়ে। ১৬ বছর বয়সে জাতীয় দলে অভিষেক হয়। ১৯ বছর বয়সে দেশের হয়ে জেতেন যুব বিশ্বকাপ।

তরুণ বয়সের কারণে ১৯৭৮ বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও, ১৯৮২ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে চাপান ম্যারাডোনা। ব্রাজিলের বিপক্ষে লাল কার্ড পেয়ে শেষ হয় তার আসর।

পরের বার মেক্সিকোতে বিশ্বকে দেখান তার সামর্থ্য। তার নৈপুণ্য ও নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের মতো আর্জেন্টিনা জিতে নেয় বিশ্বকাপ। আশির দশকের শেষে ইতালিয়ান সেরি আতে নাপোলিকে জেতান লিগ ও ইউরোপিয়ান কাপ শিরোপা।

৯০ দশকে নন্দিত এই তারকার পতনও দেখতে পায় ফুটবল বিশ্ব। ১৯৯১ সালে ড্রাগ সহ ধরা পড়েন নেপলসে। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ থেকে বহিস্কৃত হন ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে।

২০০৭ সালে হাসপাতালে ভর্তি হন যকৃত ও পাকস্থলীর অসুখে। দ্রুত স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে তার। প্রায় দুই মাস পর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

তারপর থেকে নিজের জীবনে শৃংখলা ফেরানোর চেষ্টা করেছেন ম্যারাডোনা। ২০১০ সালে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দলকে নিয়ে বিশ্বকাপে।

তারপর থেকে কোচিং ক্যারিয়ারে নিয়েই ব্যস্ত এই কিংবদন্তি। নিজের ৬০তম জন্মদিনে জানান, ফুটবলই তাকে জীবনের সবচেয়ে বড় মুহূর্তগুলো দিয়েছে।

'ফুটবল খেলে মানুষকে আনন্দ দিতে পেরেছি এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। যারা আমাকে টিভিতে বা স্টেডিয়ামে খেলতে দেখেছেন তাদেরকে আনন্দ দিয়েছি এটা আমার জন্য গর্বের', বলেন ফিফার ভোটে সর্বকালের সেরা গোলের মালিক।

এ বিভাগের আরো খবর