কিছুদিন আগে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভারত ম্যাচ দিয়ে অবসর যাওয়ার কথা বলেছিলেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম। করোনার কারণে বাছাইপর্ব স্থগিত হয়ে গেছে। ২০২১ সালের আগে খেলার সুযোগ নেই। নভেম্বরে নেপাল ম্যাচ সামনে রেখে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন এই অভিজ্ঞ তারকা। নেপাল ম্যাচে তার অবসর নেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই এমনটা নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন তিনি।বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে বৃহস্পতিবার মামুনুল নিউজবাংলাকে জানান, প্রীতি ম্যাচ নয় প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে অবসর নিতে চান তিনি। বলেন, ‘আমি চেষ্টা করছি অবসরটা যেন মাঠ থেকে নিতে পারি। অনেকে বলে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে নেয়ার জন্য। আমি এখনও চেষ্টা করি লড়াই করে দলে সুযোগ পেতে। আরও চার-পাঁচ মাস আছে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের। সেটার অপেক্ষাতেই আছি।’
২০১৬ সালে ক্ষোভ থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন মামুনুল। ভুটানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দল থেকে বাদ পড়ায় অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ১৭ দিনের মাথায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে খেলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
এবার অবসরের ভাবনা মামুনের কণ্ঠে পরিষ্কার। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক জানালেন, ‘মাঝে ফেডারেশন কাপ আছে, লিগ আছে। ক্লাব ফুটবলের পরে সময় থাকবে অবসরের জন্য একটা জায়গা পাওয়ার।’
২০২১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠ থেকে অবসরে যেতে চান মামুনুল। বলেন, ‘যে ম্যাচের (ভারত) কথা বলেছি ওই ম্যাচেই নিতে চাই। শারীরিক অবস্থা যদি ভাল থাকে, টিম যদি মনে করে তাহলে খেলব। আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করব দলে থাকার। মাঠ থেকে অবসর নেয়ার।’
আপাতত নেপাল ম্যাচের জন্য তৈরি হচ্ছেন তিনি। বলেন, ‘আমি বাদে সবাই তরুণ। চেষ্টা করব তরুণদের সঙ্গে থেকে তাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তাদের থেকে ভালো করতে। আমি চ্যালেঞ্জ নেওয়া অনেক উপভোগ করি।’
বাংলাদেশের ফুটবলের অন্যতম বড় তারকা মামুনুল ইসলাম ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলে ১৮টি ট্রফি জিতেছেন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে আতলেতিকো দি কলকাতার হয়ে খেলেন মামুনুল।
২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় মারদেকা কাপে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় তার। জাতীয় দলের জার্সিতে তার সাফল্য ২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এসএ গেমস ফুটবলে স্বর্ণপদক।