গত ১২ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের ফুটবলের সব শূন্যস্থান পূরণ করতে চান কাজী সালাউদ্দিন। দেশের ফুটবলের উন্নয়নে জেলা লিগ আয়োজনে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) টানা চতুর্থবারের এই সভাপতি।
শনিবার সন্ধ্যায় বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘একটা অ্যাডভান্টেজ হলো আগের টার্মগুলো করে এসে একটু অভিজ্ঞতা হয়েছে যে কী কী জিনিস কাকে দিলে হয় কাকে দিলে হয় না। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে ফুটবলের গ্যাপগুলো কাভার করার জন্য।’
আগের তিন মেয়াদে জেলা ও বিভাগীয় লিগ আয়োজন নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছে এই মেয়াদে তার কোনো সুযোগ রাখতে চান না কাজী সালাউদ্দিন।
বাফুফে প্রধান বলেন, ‘এটা আমি প্রমিজ করতে পারি, কোনো জেলার লিগ হয়নি- এটা শুনবেন না। প্রত্যেকটা জেলার লিগ হবে। অমুকের দোষ তমুকের দোষ এই ধরনের কোনো আওয়াজই আপনারা শুনবেন না।’
রোববার দুপুরে নবনির্বাচিত কমিটির প্রথম বৈঠক। ভবিষ্যত ফুটবলের জন্য এই বৈঠকেই দ্রুত সাব কমিটিগুলোর প্রধান নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানান সালাউদ্দিন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ফিউচারে যাওয়ার জন্য কিছু কিছু কমিটি, যেগুলোর এখনই অপারেশনে যাওয়া দরকার- সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে দিয়ে দেয়া হবে। কমিটির চেয়ারম্যানগুলোকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে দেয়া হবে।
‘মেজর কমিটি যেমন ফাইনান্স, ডেভেলপমেন্ট, ন্যাশনাল টিম, ওমেন্স টিম, প্রফেশনাল লিগ, মহানগর লিগ কমিটি এগুলো। যারা তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাকশনে চলে যাবে।’
গত ৩ অক্টোরের নির্বাচনে চার সহসভাপতি পদের একটিতে মহিউদ্দিন মহি ও তাবিথ আউয়াল দুইজনই সমান ভোট পেয়েছেন। তারা দুজনের বিদায়ী কমিটিতেও সহসভাপতি ছিলেন। এ পদে পুনরায় ভোট হওয়ার কথা আগামী ৩১ অক্টোবর।
মহিউদ্দিন মহি ও তাবিথ আউয়ালের বিষয়টি সুরাহা হওয়ার আগেই কমিটির প্রধানদের দায়িত্ব বুঝে দেয়া সাংঘর্ষিক কি না- নিউজবাংলার এমন প্রশ্নে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘তাদেরকে বিবেচনায় এনে কমিটি দেয়া হচ্ছে। যে কেউ নির্বাচিত হলে কমিটির সঙ্গে যোগ দেবেন।’
বাফুফে প্রধান বলেন, ‘এখন যে কমিটি এসেছে। আমি অনেক খুশি। আমার প্যানেলের হোক, অন্যের প্যানেলের হোক যারাই কমিটিতে আছেন সবাই ফুটবলের জন্য কাজ করবেন মনে হয়েছে।’
পাইপলাইন তৈরির পাইওনিয়ার লিগটা মহানগর লিগের অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছার কথাও জানালেন কাজী সালাউদ্দিন।
বলেন, ‘আমার ইচ্ছা পাইওনিয়ার লিগটা মহানগর লিগের অন্তর্ভুক্ত থাকে। যুব ফুটবলের অংশ হলো পাইওনিয়ার লিগ। এটা ডেভলপমেন্টের আওতাভুক্ত। যুব ফুটবলটা তাদের সঙ্গে যুক্ত করতে পারলে এক প্লানিংয়ে গোটা জিনিসটা চলতে পারবে।
জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল আয়োজনে একটা নিরপেক্ষ মনিটরিং বডি গঠন করা হবে বলেও জানান কাজী সালাউদ্দিন।