গ্রীষ্মকালীণ দলবদলে বিশ্ব জুড়ে ক্লাবগুলো গত বছরের তুলনায় প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার কম খরচ করেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা।
ফিফার ট্রান্সফার মনিটরিং সিস্টেমের রেকর্ড অনুযায়ী দলবদলে ৩.৯২ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। ২০১৯ সালের গ্রীষ্মকালীণ দলবদলের মূল্য ছিল ৫.৮ বিলিয়ন ডলার।
২০১০ সালের পর থেকে দলবদল সংক্রান্ত সব কিছুই ফিফাকে জানানো ক্লাবগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে ক্লাবগুলো দলবদলে নিজেদের স্বচ্ছতা বজায় রাখার সুযোগ পেয়েছে।
৯১ মিলিয়ন ডলারে চেলসিতে যোগ দেয়া কাই হাভের্টস এবারের দলবদলে সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়। ফাইল ছবি: ইন্টারনেট
পুরুষ ফুটবলের পাশাপাশি ২০১৮ সাল থেকে নারী ফুটবলেও মনিটরিং বাধ্যতামূলক করা হয়। নারীদের ফুটবলে দলবদলের মূল্য প্রতি বছর প্রায় দ্বিগুন হারে বাড়ছে।
সোমবার শেষ হয়ে গেছে ২০২০-২১ মৌসুমের গ্রীষ্মকালীণ দলবদলের সময়। এবারে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলো ৩.৭৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
খরচের দিক থেকে এগিয়ে ইংলিশ ক্লাবগুলো। সব মিলিয়ে তারা ব্যয় করেছে ১.২৫ বিলিয়ন ডলার। এরপরই ইতালিয়ান ক্লাবগুলোর অবস্থান, তাদের খরচ প্রায় ৫৪৪ মিলিয়ন ডলার।
ইউরোপের পরেই দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাবগুলো দলবদলে বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। ফিফার প্রতিবেদন অনুযায়ী দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাবগুলো আন্তর্জাতিক দলবদলে আয় করেছে ২৯৫ মিলিয়ন ডলার এবং ব্যয় করেছে ২৫ মিলিয়ন ডলার।
এশিয়ান কনফেডারেশনের ক্লাবগুলো ৮৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে আয় করেছে ৬২ মিলিয়ন ডলার। সূত্র: বাসস