করোনার বিরতি কাটিয়ে দীর্ঘ সাত মাস পর ক্যাম্পে ফিরেছেন নারী ফুটবলাররা। এএফসির বয়সভিত্তিক দুই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি হিসেবে ৩৩ ফুটবলার নিয়ে সীমিত আকারে শুরু হচ্ছে এই আবাসিক ক্যাম্প।
শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে অনুশীলন শুরু করবেন মনিকা-মারিয়ারা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নারী দলের প্রধান কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের কাছে প্রয়োজনীয় ক্রীড়া সরঞ্জামাদিসহ রিপোর্ট করেছেন ফুটবলাররা।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) জানায়, এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব সামনে রেখে ৩৩ ফুটবলারকে ডাকা হয়েছে। অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ের ১৮ জন ও অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ের ১৫ জন যোগ দিয়েছেন প্রথম ধাপের ক্যাম্পে।
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ বাছাই পর্বের খেলা আগামী বছরের ১৩-২১ মার্চ ও অনূর্ধ্ব-১৭ বাছাই পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হবে ৩-১১ এপ্রিল। দুটি আসরের আয়োজক হতে চেয়ে আবেদন করেছে বাফুফে। অন্তত একটি আসর আয়োজনে আশাবাদী তারা।
দীর্ঘ বিরতির পর ক্যাম্পে ফেরায় স্বস্তিবোধ করছেন ফুটবলার নিলফার ইয়াসমিন নীলা। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘অনেকদিন পর ক্যাম্পে ফিরে রোমাঞ্চিত। স্বস্তি লাগছে। সবাইকে দেখে ভালো লাগছে।’
করোনা বিরতিতে মাঠের ফুটবলকে মিস করছেন উল্লেখ করে মনিকা চাকমা বলেন, ‘বহুদিন থেকে মাঠের বাইরে। তাই মাঠের ফুটবল মিস করছি। ফিটনেস ফিরে পেতে সময় লাগবে। কোচ যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন বাসায় চেষ্টা করেছি। এখন মাঠে প্রতিদিন অনুশীলন করে আগের ফিটনেস ফিরে পাবো আশা করছি।’
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে দুই বয়সের ৩৩ জনকে সীমিত আকারে ক্যাম্পে ডেকেছেন কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ধাপে ধাপে বাকি ফুটবলাররা ক্যাম্পে যোগ দেবেন।
ক্যাম্পে একেবারে নতুন ১০ ফুটবলারকে ডাকা হয়েছে। তাদের একজন হলেন ২০১৭ সালে বঙ্গমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় উন্নতি খাতুন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুশীলন শুরু করাই চ্যালেঞ্জ মনে করেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে শনিবার থেকে অনুশীলন শুরু করাটা চ্যালেঞ্জিং। ধাপে ধাপে বাকি ফুটবলাররা যোগ দেবে ক্যাম্পে। সবাইকে করোনা পরীক্ষা করে ক্যাম্পে নেয়া হচ্ছে।’
আগে এই দুটি আসর অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৯ ক্যাটাগরিতে হলেও ফিফার বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে সমন্বয় করে এবার বয়স বাড়ানো হয়েছে।