টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে লেস্টার সিটির কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর তিন নম্বর ম্যাচে এসে তারা ড্র করেছে লিডস ইউনাইটেডের সঙ্গে। লিডসের মাঠে ১-১ গোলে ড্র হয়েছে ম্যাচ।
ম্যাচের আগে ম্যান সিটি ম্যানেজার পেপ গার্দিওলা বলেছিলেন লিডসের কোচ মার্সেলো বিয়েলসা ফুটবল কোচিংয়ে তার গুরু। তাই এলান্ড রোডে সময়ের অন্যতম সেরা দুই ট্যাকটিশিয়ানের লড়াই দেখার প্রত্যাশায় ছিলেন ফুটবল ভক্তরা। তাদের হতাশ করেনি গার্দিওলা ও বিয়েলসার দল।
গোল কম হলেও আক্রমণাত্মক ও ট্যাকটিক্যাল ফুটবলের দারুণ এক প্রদর্শনী ছিল রাতের ম্যাচ। দুই দল মিলে গোলে শট নিয়েছে ৩৫টি। নষ্ট করেছে একাধিক সুযোগ।
প্রথম ৪৫ মিনিট ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। শুরু থেকে হাই প্রেসিং ফুটবল খেলতে থাকা সিটি গোল পেয়ে যায় ১৭ মিনিটে।
সার্হিও আগুয়েরো ও গ্যাব্রিয়েল জেসুস না থাকায় আক্রমণের পুরো দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রাহিম স্টার্লিং। এই ম্যাচেও হতাশ করেননি তিনি। ফেরান তরেসের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে দলকে লিড এনে দেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
পিছিয়ে পড়ে দমে যায়নি লিডস। দ্রুতগতির কাউন্টার অ্যাটাকে তারা ব্যস্ত রাখে সিটি ডিফেন্সকে। স্টুয়ার্ট ডালাস আর লুক আয়লিংয়ের শট থেকে সিটিকে নিরাপদে রাখেন এডারসন।
১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ম্যানচেস্টার সিটি।
বিরতির পর ম্যাচে সমতা ফেরায় ঘরের দল। লিডসের নেয়া কর্নার কিক এডারসন ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ফিরতি বলে গোল করেন রদরিগো।
ম্যাচের বাকি সময়ে অনেকগুলো সুযোগ তৈরি হলেও কাজে লাগাতে পারেনি দুই দল। ৭০ মিনিটে রদরিগোর হেড থেকে দলকে রক্ষা করেন এডারসন।
মিনিট চারেক পর রদরিগোর পাস থেকে গোল করার চেষ্টা করেন প্যাট্রিক ব্যামফোর্ড। তার শটও রুখে দেন এডারসন।
নিজের রক্ষণের শক্তি বাড়াতে ৭৭ মিনিটে রিয়াদ মাহরেজকে বদলে ফার্নান্দিনিয়োকে মাঠে নামান গার্দিওলা। বাকি সময়টাতে সুরক্ষিত থাকে তার দল।
১-১ সমতাতেই শেষ হয় ম্যাচ। ম্যাচ শেষে তিন ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১১ নম্বরে আছে ম্যান সিটি। এক ম্যাচ বেশি খেলা লিডসের সংগ্রহে সাত পয়েন্ট। তাদের অবস্থান পঞ্চম।
রাতের অন্য খেলায় হামেস রদ্রিগেসের জোড়া গোলে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়নকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে এভারটন।