বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনের ঠিক আগে প্রতিবারই কদর বাড়ে ভোটারদের। চার বছর ধরে যাদের খোঁজ-খবর নিতে দেখা যায় না, নির্বাচন আসলেই তাদের নিয়ে নানা আয়োজনে মেতে থাকেন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা।
নির্বাচন উপলক্ষ্যে সেই কাউন্সিলর বা ভোটারদের ডেকে অর্থ দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিদায়ী কমিটির সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
গত দুই মেয়াদে আট বছর সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করা তাবিথ আউয়াল এবারও নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। গত কমিটিতে বাফুফের অর্থ বিষয়ক কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আগামী ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় নির্বাচন সামনে রেখে আর্থিক লেনদেনের নানা অভিযোগ করেছেন এই ক্রীড়া এই সংগঠক।
নিউজবাংলাকে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচনের আগে কাউন্সিলরদের যে অর্থ দেয়া হয় দুঃখজনক হলেও তা সত্য। এই অর্থটা আইনের ফাঁকে ফাঁকে ঢুকে যাচ্ছে। কেউ এটা নিয়ে কোনো কথাও বলছেন না। নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন আগামী বছরগুলোতে দুইটা অবস্থান আমি অবশ্যই নিব। নির্বাচনের আগেই অর্থের ঠেলাঠেলি আমরা দেখি। কখনও স্পন্সরশিপের নামে, কখনও চ্যারিটি ডোনেশনের নামে, কখনও কোনো প্রতিষ্ঠান ডেভলপমেন্টের নামে।’
কয়েকদিন আগেও চার বছরের বকেয়া ট্রফি ও প্রাইজমানি বিতরণ করেছে ফেডারেশন। সেই অনুষ্ঠানে নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করে নির্বাচনের প্রচার করতে দেখা যায় বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে। বিষয়টি নিয়ে তাবিথের মন্তব্য ‘অর্থ ব্যয়ের উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচন।’
নির্বাচন কমিশন বলছে, এবারে বাফুফে নির্বাচনে অবৈধ অর্থ লেনদেন ঠেকাতে বেশ তৎপর তারা। টাকা দিয়ে ভোট আদায়ের পথ বন্ধ করতে কড়া নজর রাখবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও।
নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সময় দেশের ফুটবলে পাতানো খেলা হয় বলেও অভিযোগ করেন তাবিথ আউয়াল। বলেন, ‘আবার পাতানো খেলা। নির্বাচনের আগেই এই পাতানো খেলার বিষয়টি আমরা দেখতে পাই।’ নির্বাচনের আগে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ করেছেন তাবিথ আউয়াল। ফাইল ছবি: ইউএনবি
এবার ২১ পদের বিপরীতে মোট ৪৭ প্রার্থী লড়াই করছেন। দুটো প্যানেল প্রকাশ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। একটি কাজী সালাউদ্দিন-মুর্শেদী সম্মিলিত ফুটবল পরিষদ, অন্যটি শেখ আসলাম-মহি সমন্বিত প্যানেল পরিষদ। এই নির্বাচনে ভোটার ১৩৯ কাউন্সিলর।