সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিড়ালটির অনুসারী বা ভক্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজারের বেশি। প্রতিদিন দীর্ঘ হচ্ছে তালিকাটি।
ব্রসি মিয়াওইংটন নামের বিড়ালটির অ্যাকাউন্ট আছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর মধ্যে ছবি ও স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রামে বিড়ালটির অনুসারীর সংখ্যাই অর্ধ লাখের বেশি।
নিজের খাবার, ওষুধ, পশু চিকিৎসক আর বিলাসবহুল জীবনযাপনে যে ব্যয় হয়, পুরোটা নিজেই আয় করে ব্রসিও।
শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে উপার্জিত অর্থে তার ভাইবোনের খরচও চালানো হয় বলে জানিয়েছেন ব্রসির মালিক আরশান্তি শান্দ।
করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে যখন অনেক মানুষকে ঘরে বসে দিনের বেশিরভাগ সময় কাটাতে হচ্ছে, তখন অনলাইনে জনপ্রিয়তা বাড়ছে বিড়াল ও অন্য পোষা প্রাণীদের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্য প্রাণীদের ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে জনপ্রিয়তা তৈরিতে সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন তরুণী জেইন পেহ।
দ্য উফ এজেন্সির সহ-প্রতিষ্ঠাতা জেইন মনে করেন, এ খাতে পরবর্তী বড় বাজার তৈরি হবে এশিয়ায়।
ইনস্টাগ্রামে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘পেট ইনফ্লুয়েন্সার’ জিফ পম নামের একটি কুকুর। তার অনুসারীর সংখ্যা এক কোটির বেশি। তাকে নিয়ে পোস্টপ্রতি আয় ৪৫ হাজার ডলার।
শীর্ষ ধনী পোষা প্রাণীর তালিকায় আরও আছে নালা ক্যাট, ডাউ দ্য পাগ, জুনিপার দ্য ফক্স, মারু টারো, টাকার দ্য গোল্ডেন রিট্রিয়েভার, স্মুদি দ্য ক্যাট, বুলডগ ব্লগার, টুনা আর লোকি দ্য উল্ফডগ।
একই মঞ্চে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার পর্তুগিজ ফুটবল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পোস্টপ্রতি তার আয় ১৫ লাখ ডলারের বেশি।
মহামারিকালে মানুষের মধ্যে বেড়েছে প্রাণী পালনের প্রবণতা। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালে পোষা প্রাণীর জন্য মানুষ ব্যয় করেছে ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ।
জেইন বলেন, ‘পোষা প্রাণীর ওপর মানুষের ব্যয় বাড়ছে বলে সম্প্রতি খাতটিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে ঝুঁকছে অনেক নামী ব্র্যান্ডও। কারণ মানুষ এখন নিজের সন্তানের মতোই পোষা প্রাণীদেরও সাধ্যের সেরাটুকু দিয়ে আরামে রাখতে চায়।’
বাজারে পেট ইনফ্লুয়েন্সারদের থিমভিত্তিক পণ্য বাড়ছে পশুপ্রেমীদের জন্য। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জনপ্রিয় প্রাণী ইনফ্লুয়েন্সার বিড়াল গ্রাম্পি ক্যাটের ছবি সংবলিত স্নিকার বের করেছে একটি প্রতিষ্ঠান।
পোষা প্রাণীদের নিয়ে পণ্য বিপণনের এই কৌশল বাজার সম্প্রসারণে বড় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন খাত সংশ্লিষ্টরা।