গাজীপুরে একটি খামারে ভিন্ন ধরনের এক বাছুরের জন্ম হয়েছে। দুই মাথা ও চার চোখের বাছুরটি জন্ম নেয়ার পর থেকেই এলাকার মানুষ সেটি দেখতে খামারে ভিড় জমাচ্ছে।
সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মারিয়াল এলাকায় আসলাম উদ্দিন সরকারের খামারে সোমবার দুপুরে বাছুরটির জন্ম হয়।
খামারি আসলাম উদ্দিন সরকার জানান, দুই বছর আগে কিশোরগঞ্জ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকায় হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের গাভিটি কিনে লালন-পালন শুরু করেন। ৯ মাস আগে কৃত্রিম বীজের মাধ্যমে গাভিটি গর্ভধারণ করে।
তিন দিন আগে গাভিটি দুই মাথা, দুই মুখ ও চার চোখবিশিষ্ট বাছুরটি প্রসব করে। জন্মের পর থেকেই মায়ের কাছ থেকে বাছুরটিকে আলাদা রাখা হয়।
খামারি আরও জানান, তার খামারে একই জাতের আরও সাত-আটটি গরু রয়েছে। ১১ মাস আগেও গাভিটি স্বাভাবিকভাবে একটি বাচ্চা প্রসব করেছে। এরপর ওই গাভিটিকে কৃত্রিমভাবে বীজ প্রয়োগ করলে এ রকম বাছুরটি জন্ম নেয়। তবে গাভি ও বাছুর সুস্থ রয়েছে।
এদিকে দুই মাথা ও চার চোখের বাছুরটি দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসলামের খামারে ভিড় করছে।
মারিয়াল এলাকার বাসিন্দা মাহফুজ বলেন, ‘বাড়ির পাশেই খামারে তিন দিন আগে অদ্ভুত বাছুরটি জন্ম নেয়ার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্ধুরা দেখতে আসছে। এ রকম বাছুর আগে কখনও দেখিনি। বাছুরটি দেখতে খুবই কোমল ও সুন্দর।’
২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নু বলেন, ‘খবর শোনার পরপরই বাছুরটি দেখতে গিয়েছিলাম। বাছুরটি খুব বেশি নড়াচড়া করতে পারে না। বাছুরটিকে এক নজর দেখতে ওই বাড়িতে প্রচুর মানুষ ভিড় করছে।’
কৃত্রিম প্রজননকর্মী পশু চিকিৎসক সোলায়মান হোসেন বলেন, ‘আগে থেকেই গাভিটি তাদের তত্ত্বাবধানে ছিল। ৯ মাস ১০ দিন আগে গাভীটিকে প্রজনন বীজ দেয়া হয়। স্বাভাবিক সময়ের মধ্যে গাভিটি বাচ্চা প্রসব করেছে। তবে বাছুরটির কিছু সমস্যা আছে, যা আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।
‘গাভি ও বাছুরটি সুস্থ আছে। বাছুরটিকে দুধ ছাড়াও স্যালাইন ও পাওয়ার জেল খাওয়ানো হচ্ছে। তবে মাথা ভারী হওয়াতে বাছুরটি দাঁড়াতে পারছে না।’