চুরি করা মোটরসাইকেলের ভাগ না পাওয়ার শঙ্কায় ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিসের নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে ফেঁসে গেছেন সাইদুল ইসলাম ইমরান নামের এক যুবক। ধরা পড়েছেন চোরাই গাড়ি কেনাবেচা চক্রটির আরও তিন সদস্যও।
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলন।
তিনি বলেন, ইমরানসহ আটক চারজনের বিরুদ্ধে গাড়ি চুরির অভিযোগে মামলা হয়েছে। শনিবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে।
‘চোরের ওপর বাটপাড়ি করতে গিয়েছিল একজন। আর তাতেই পুরো ঘটনাটি বেরিয়ে এসেছে’, বলেন তিনি।
ওসি জানান, ৯৯৯-এর একটি কল পেয়ে এসআই মাইনুল ইসলাম ও এএসআই ইমদাদুল বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি মোটরসাইকেল আটক করেন। এ সময়ে মোটরসাইকেলের সঙ্গে থাকা চারজনই এর মালিকানা দাবি করেন। কিন্তু কেউই সেটির মালিকানার কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
আটক চারজন হলেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার আবদুল্লাহ আল আজাদ, মেহেদী হাসান শাকিল, নলছিটির সাইদুল ইসলাম ইমরান এবং পটুয়াখালীর বদরপুর ইউনিয়নের রিপন মৃধা।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন জানান, পরে এই চারজন এক ব্যক্তির কাছ থেকে চোরাই গাড়ি কেনার কথা স্বীকার করেন। ওই লোককেও আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।
ওসি জানান, শুক্রবার দুপুরে চারজনে বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হয়ে গাড়ির ভাগাভাগি করছিলেন। একপর্যায়ে বিরোধ দেখা দেয়। এ সময় চক্রের সদস্য আব্দুল্লাহ আল আজাদ ও মেহেদী হাসান শাকিল মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যেতে পারেন- এমন সন্দেহে ৯৯৯-এ ফোন করেন দলেরই আরেক সদস্য সাইদুল ইসলাম ইমরান। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে।
ওসি আলাউদ্দিন মিলন বলেন, ‘পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা দীর্ঘদিন ধরেই চোরাই মোটরসাইকেল কেনা-বেচায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের সঙ্গে আরও চার-পাঁচজন আছেন।’
তিনি জানান, উদ্ধারকৃত গাড়িটি প্রথম যিনি কেনেন, তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ গাড়িটির প্রকৃত মালিকের সন্ধান করছে বলেও জানান ওসি।