দিনাজপুরের বীরগঞ্জের একটি ক্লিনিকে চার হাত ও চার পা নিয়ে এক শিশুর জন্ম হয়েছে।
শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার বীরগঞ্জ ক্লিনিকে শিশুটির জন্ম হয়। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে।
সকালেই মাসহ ছেলে সন্তানকে কাহারোল উপজেলার রামপুর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান শিশুটির বাবা। এরপর থেকে শিশুটিকে দেখতে সেই বাড়িতে ভিড় করছেন উৎসুক লোকজন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অটিজম ও জিনগত কারণে এই ধরনের জন্মগত ক্রটি হয়। তবে মূল হাত-পা শনাক্ত করে সার্জারির মাধ্যমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে রংপুরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছেন চিকিৎসকরা। তবে অর্থাভাবে তা পারেননি বলে জানিয়েছেন শিশুটির বাবা দিনমজুর গোলাম রব্বানী।
তিনি জানান, ভোর ৫টার দিকে তার স্ত্রী ছেলে শিশুটি প্রসব করে। তবে তার চারটি হাত ও চারটি পা। এ নিয়ে সকালে শিশু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বললে তিনি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।
রব্বানী আরও জানান, রংপুরে নিয়ে যাওয়ার মতো টাকা তার কাছে নেই। সুস্থ ও স্বাভাবিক দেখে সকালে স্ত্রীসহ সন্তানকে বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এটি তার দ্বিতীয় সন্তান। প্রথম সন্তানটি মেয়ে; বয়স ছয় বছর।
বীরগঞ্জ ক্লিনিকের পরিচালক বেলাল হোসেন জানান, সকাল ১০টার দিকে প্রসূতি ও নবজাতককে নিয়ে বাড়িতে চলে যান তার বাবা। ওই সময় পর্যন্ত শিশুটি ও তার মা রুনা লায়লা সুস্থ ছিল। তবে শিশুটির জরুরি উন্নতমানের চিকিৎসার প্রয়োজন।
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন আব্দুল কুদ্দুছ জানান, অটিজম ও জিনগত কারণে এই ধরনের জন্মগত ক্রটি হয়। এ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া হাই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বা পিল সেবন করলে শিশুর এ ধরনের জন্মগত ত্রুটি হতে পারে।
তিনি আরও জানান, শিশু ও অর্থোপেডিক চিকিৎসককের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আসল হাত ও পা শনাক্ত করে সার্জারি করলে শিশুটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।
সন্তানের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন শিশুটির বাবা। তার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ০১৭৯২৮৪৪২৯৫ নম্বরে কল করার অনুরোধ করেন তিনি।