যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডালস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতীয় এক যাত্রীর ফেলে যাওয়া ব্যাগে গরুর গোবরের তৈরি দুটি মণ্ড পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এগুলোকে ‘গোবরের কেক’ হিসেবে অভিহিত করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম। শুক্রবার হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন (সিবিপি) জানিয়েছে, জৈব ঝুঁকি বিবেচনায় আটক ওই গোবরের কেকগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘এটি কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। আমাদের কৃষি বিশেষজ্ঞরা ভারতীয় এক যাত্রীর ফেলে যাওয়া ব্যাগে ওই গোবরের কেক দুটি পান। ওই যাত্রী ৪ এপ্রিল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।’ঝুঁকিপূর্ণ রোগ ছড়াতে পারে এমন আশঙ্কায় এক দেশ থেকে অন্য দেশে প্রাণী পরিবহনে নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। পা ও মুখের সংক্রামক রোগের জন্য দায়ী হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে গরুর গোবর আনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সিবিপির বাল্টিমোর ফিল্ড অফিসের কর্মকর্তা কেইথ ফ্লেমিং বলেন, ‘প্রাণীর রোগের মধ্যে খামারিরা পা ও মুখের রোগকে সবচেয়ে বেশি ভয় পান। এতে বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতিরও ঝুঁকি রয়েছে।’ভারতসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে গরুর গোবরকে শক্তির অন্যতম উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটিকে রান্নার জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া চর্মরোগ সারাতে ও জমিতে সার হিসেবেও গরুর গোবরের ব্যবহার রয়েছে। এ ধরনের কিছু উপকারে থাকলেও প্রাণীর রোগের ঝুঁকি বিবেচনায় ভারত থেকে গোবর আনা নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (এফএমডি) নামের রোগটি এতই বিপজ্জনক যে কোনো বিমানবন্দরে এর উপস্থিতি টের পেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাণী আনা নেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, ১৯২৯ সাল থেকে দেশটিতে এফএমডি নেই।