গাছে বিশাল আকৃতির আম ধরায় গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জায়গা করে নিয়েছেন লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার দুই কৃষক।
তাদের বাগানের গাছে ধরেছিল সোয়া চার কেজি ওজনের একটি আম। তা দিয়েই সর্বোচ্চ ওজনের আমের নতুন রেকর্ড হয়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতিপূর্বে সবচেয়ে বেশি ওজনের আমটি ধরেছিল ফিলিপাইনের এক গাছে। ওই আমটির ওজন ছিল প্রায় সাড়ে তিন কেজি।
দারুণ রসালো ও সুগন্ধি ফল আমের মৌসুম কেবল শুরু হচ্ছে। বছরের এ সময়েই শুরু হয় আমপ্রেমীদের অপেক্ষা। সুসম্পর্ক ও নিবিড় বন্ধুত্ব বোঝাতে বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই ঝুড়িভর্তি আম উপহার দেয়ার রীতি রয়েছে।
সারা পৃথিবীতেই আম এত জনপ্রিয় ফল যে অনেকেই সেরা স্বাদ ও সবচেয়ে বড় আমের খোঁজ করেন প্রতি বছর।
আমপ্রেমীদের এই চাহিদা মাথায় রেখেই সবচেয়ে বড় আম উৎপাদনের লক্ষ্য নেন কলম্বিয়ার দুই চাষি জার্মান অরল্যান্ডো নোভোয়া ব্যারেরা ও রেইনা মারিয়া মারোকুন।
গুয়ায়াতা অঞ্চলের বাসিন্দা জার্মান বলেন, ‘কলম্বিয়ার মানুষের বিনয়ী আর পরিশ্রমী মানসিকতা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে এ লক্ষ্য নিই আমরা। এত দারুণ ফল উৎপাদন করা আমাদের মাটিকে ভীষণ ভালোবাসি আমরা।
‘একই সঙ্গে মহামারির এ সময়ে দেশের মানুষকে আনন্দ আর আশার খবর শোনাতেও চেয়েছিলাম, যাতে সফল হয়েছি।’
গুয়ায়াতার মানুষ আর প্রকৃতিকে ভালোবাসতে শেখানো পূর্বসূরিদের প্রতি এ অর্জন উৎসর্গ করেছেন জার্মান।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ আমটি খেয়ে অর্জন উদযাপন করেন জার্মান। তিনি জানিয়েছেন, আমটি স্বাদেও ছিল অসাধারণ।
তবে আমটি খাওয়ার আগে হুবহু একই আদলে একটি ছাঁচ তৈরি করেছেন জার্মান। ইতিহাসের অংশ হিসেবে জাদুঘরে রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরও করেছেন সে ছাঁচ।
মূলত এশিয়ার ফল হিসেবে পরিচিত আমের ফলন সবচেয়ে ভালো হয় নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে। অবশ্য সারা পৃথিবীতেই এখন উৎপাদন হয় শত শত ভিন্ন প্রজাতির আম।
কলম্বিয়ার গুয়ায়াতে আম উৎপাদন হয় খুব স্বল্প পরিমাণে। নিজেদের গাছে উৎপাদিত আম নিজেরাই খেয়ে ফেলেন সেখানকার বাসিন্দারা।
গিনেস বুকে এ নিয়ে দুইবার উঠেছে গুয়ায়াতার নাম। এর আগে বিশ্বের বৃহত্তম ফুলের কার্পেট তৈরির রেকর্ড করে অঞ্চলটি। ২০১৪ সালে তৈরি করা ওই কার্পেটটির আয়তন ছিল তিন হাজার ১৯৯ বর্গমিটার।