যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় এক তরুণীকে হত্যার পর তা ধামাচাপা দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে দাবানল উসকে দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি।
গত বছরের আগস্টে ভয়াবহ ওই দাবানলে পুড়ে যায় ৩ লাখ ৬৩ হাজার একর আঙুর বাগান ও বনভূমি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেড় হাজারের বেশি ভবন ও স্থাপনা। প্রাণ বাঁচাতে সে সময় ভিটেমাটি ছেড়ে পালায় কয়েক লাখ মানুষ।
পুলিশ জানিয়েছে, নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার সোলানো কাউন্টিতে নিখোঁজ ৩২ বছর বয়সী প্রিসিলা কাস্ত্রোর পুড়ে যাওয়া মরদেহ গত ১৮ আগস্ট উদ্ধার করা হয় মার্কলি এলাকা থেকে। সেখান থেকেই দাবানলটির সূত্রপাত।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্ধু ভিক্টর সেরিটেনোর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই তরুণী। তিনি নিখোঁজের দুই দিন পরই আগুন লাগে এলাকাটিতে।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সোলানো কাউন্টি শেরিফ টম ফেরেরা জানান, আট মাসের দীর্ঘ তদন্তে সত্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যার বিষয়টি লুকাতে দাবানলের আশ্রয় নেন ২৯ বছর বয়সী ভিক্টর সেরিটেনো। ইচ্ছা করে এমনভাবে আগুন লাগান যেন মনে হয় যে দাবানলের দুর্যোগেই প্রাণ হারিয়েছেন ওই তরুণী।
প্রিসিলা নিখোঁজের ঘটনায় গত সেপ্টেম্বরই সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয় সেরিটেনোকে। এখন তার বিরুদ্ধে দাবানলে আরও দুই ব্যক্তির প্রাণ হারানোর ঘটনায় দুটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
প্রায় ১১ হাজার বজ্রপাতের ফলে গত বছর রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সেরিটেনোর দেয়া আগুন। ইতিহাসের ভয়াবহ দাবদাহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ায়।
নজিরবিহীন ওই আগুন পরবর্তী দুই মাসে ছড়িয়েছিল স্যান ফ্রান্সিসকোর উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত, যাতে প্রাণ যায় কমপক্ষে ছয়জনের।