যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও কার্যালয় হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দেয়া হয়েছে দুটি পোষা কুকুরকে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন পালতেন কুকুর দুটিকে।
বিবিসি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের এক নিরাপত্তারক্ষীকে কামড়ানোর অপরাধে দেয়া হয় এ শাস্তি। ডেলাওয়্যারের উইলমিংটনে জো বাইডেনের পারিবারিক বাসভবনে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের।
গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের চার দিন পর, বাইডেন পরিবারের সঙ্গী ও হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হয়ে আসে জার্মান শেফার্ড দুটি।
এদের মধ্যে মেজর নামের ছয় বছর বয়সী কুকুরটি রীতিমতো এক রেকর্ডই গড়ে। ২০১৮ সালে তিন বছর বয়সে তাকে ঘরে আনে বাইডেন পরিবার। প্রাণী আশ্রয় কেন্দ্রে জন্ম নিয়ে হোয়াইট হাউসের সদস্য হওয়া প্রথম কুকুর সে। তার কামড়েই আহত হন হোয়াইট হাউস কর্মী।
চ্যাম্প নামের বাইডেন দম্পতির আরেকটি পোষা কুকুরের বয়স ১৩ বছর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির সূত্র উল্লেখ করে সিএনএন জানিয়েছে, শুরু থেকেই নিরাপত্তারক্ষীসহ হোয়াইট হাউসের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল মেজর। তাদের দেখলেই সে লাফাত, ধাওয়া করত, ডাক ছাড়ত।
গত মাসে ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, হোয়াইট হাউসে কুকুর দুটিকে অভ্যস্ত করাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাকে। তিনি বলেছিলেন, ‘কুকুর দুটিকে এখন এলিভেটর ব্যবহার করতে হচ্ছে। সাউথ লনে যখন ঘুরতে যায়, অনেক মানুষ তাকিয়ে থাকে ওদের দিকে। এসবে অভ্যস্ত নয় তারা।’
যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে ফেস মাস্ক পরতে উৎসাহিত করার জন্য এবং ক্ষমতা গ্রহণের আগে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে একাধিক ভিডিও বার্তায় বাইডেন দম্পতির সঙ্গী হয়েছিল মেজর ও চ্যাম্প।
হোয়াইট হাউসে বিভিন্ন সময়ে প্রেসিডেন্টদের কুকুর-বিড়াল পালার দীর্ঘ ইতিহাস আছে। তবে ১০০ বছরের মধ্যে সাথে কোনো পোষা প্রাণী না রাখা একমাত্র প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প।