আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপ দেশ আইসল্যান্ড। এর দক্ষিণে প্রত্যন্ত আরেকটি দ্বীপ ‘এলিরে’। সেই দ্বীপে অবস্থান একটি ছোট্ট সাদা বাড়ির।
বেশ কিছুদিন ধরে ইনস্টাগ্রামে বাড়িটির ছবি শেয়ার হয়ে আসছে। এটি পরিচিত হয়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ বা পোড়ো বাড়ি হিসেবে।
তবে বাড়িটি কার? এমন দূরদ্বীপে জনবসতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কেনই বা কেউ সেখানে বাড়ি বানালেন? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা বিচিত্র সব তথ্য জানতে পারেন।
কেউ বলেন, আইসল্যান্ডের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বিয়র্ককে উপহার হিসেবে বাড়িটি দেয় দেশটির সরকার। আবার শোনা যায়, কোনো এক সাধু সেখানে থাকেন।
সবচেয়ে মজার গুজব হলো, কোনো এক কোটিপতি ভবিষ্যৎ জম্বি আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাড়িটি বানান।
ইনস্টাগ্রামে অনেকে এও দাবি করেছেন, ছবিটি ফটোশপ করা। এমনটি বাস্তবে নেই।
মূল বিষয় উদঘাটন করেছে আইরিশ মিরর। ট্যাবলয়েডটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০০ বছর আগে ওই দ্বীপে মানব বসতি ছিল। মাত্র ৫টি পরিবার থাকত সেখানে। ১৯৩০-এর দশকে সবশেষ বাসিন্দা চলে যাওয়ার পর থেকে খালি দ্বীপটি।
পরে ১৯৫০ সালের দিকে সেখানে এই ছোট্ট বাড়িটি বানায় এলিরে হান্টিং অ্যাসোসিয়েশন নামের আইসল্যান্ডের একটি সংগঠন। এর সদস্যরা সেখানে যায় পাফিন পাখি শিকারে।
প্রত্যন্ত দ্বীপের ওই বাড়িটিতে বিদ্যুৎ কিংবা পানির লাইন না থাকলেও আছে প্রাকৃতিক সওনার (বাষ্প গোসল) ব্যবস্থা। দ্বীপটি আইসল্যান্ডের নেচার রিজার্ভের তালিকাভুক্ত সংরক্ষিত এলাকা।পর্যটকরা চাইলে দ্বীপটিতে একদিনের সফরে যেতে পারেন।