বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাপানে রাতভর যানজটে হাজার যাত্রী

  •    
  • ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ২০:০৮

মহাসড়কটির ছবিগুলোতে দেখা গেছে, গাড়িগুলো ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। কোনো কোনো গাড়ির ছাদে ও চারপাশ বরফের ঢেকে যাচ্ছে। আটকেপড়াদের জন্য পাঠানো হয়েছে ত্রাণ। কিন্তু এসব ত্রাণের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

এক দুই ঘণ্টা নয়, যানজটে কাটল পুরো রাত। এর মধ্যে তীব্র তুষার ঝড়; খাবার, পানির সংকট- সব মিলিয়ে দুর্বিষহ এক অভিজ্ঞতা হলো জাপানের কানেতসু এক্সপ্রেসওয়ের এক হাজারের বেশি যাত্রীর।

ভয়াবহ জ্যামের উদাহরণ সৃষ্টি করা মহাসড়কটি টোকিও ও নিগাতা অঞ্চলকে যুক্ত করেছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে খবর, যানজটের শুরুটা বুধবার থেকে। জ্যাম থেকে মুক্তি পেতে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে কর্তৃপক্ষ মহাসড়কটির প্রবেশ পথই বন্ধ করে দেয়।

মহাসড়ক তদারকি প্রতিষ্ঠান নিপ্পন এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি জানিয়েছে, রোডটির মাঝামাঝিতে একটি কার গভীর বরফে আটকা পড়লে শুরু হয় যানজট।

একে তো অবর্ণনীয় জ্যাম, তার ওপর বৃহস্পতিবার সকালের দিকে তীব্র তুষারপাত শুরু হলে ভুগান্তি মাত্রা ছাড়ায়। তুষার ঝড়ের কারণে জাপানের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের কিছু কিছু কমিউনিটি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

নিপ্পন এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি সিএনএনকে জানিয়েছে, মহাসড়কটিতে গাড়ির গাদাগাদি লেগে আছে। বৃহস্পতিবার রাতে যখন যানজট পরিস্থিতি সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায়, তখন এর ব্যাপ্তি ১৫ কিলোমিটার।

দীর্ঘ এই জ্যামে বেশিরভাগ সময়ে গাড়িগুলো চালু করে সামান্য নাড়িয়েই বন্ধ করতে হয়েছে। অনেক চালককে এক জায়গাতেই আটকে থাকতে হয়েছে ৪০ ঘণ্টার বেশি সময়।

যানজট অব্যাহত ছিল শুক্রবারও; টোকিও থেকে আসা লেনগুলো পরিষ্কার করা গেলেও রাজধানী অভিমূখী লেনগুলো যানজটমুক্ত করা যায়নি। স্থানীয় সময় দুপুর পর্যন্ত প্রায় হাজার খানেক গাড়ি যানজটে আটকে থাকতে দেখা যায়।

মহাসড়কটির ছবিগুলোতে দেখা গেছে, গাড়িগুলো ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। কোনো কোনো গাড়ির ছাদ ও চারপাশ বরফের ঢেকে যাচ্ছে। আকটেপড়াদের জন্য পাঠানো হয়েছে ত্রাণ। কিন্তু এসব ত্রাণের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক জাপানের সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকেকে বলেন, ‘প্রচুর তুষারপাত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে আমার কার তুষারে ঢেকে যাচ্ছে। আমি আমার কাছে থাকা সব খাবার ও পানীয় খেয়ে ফেলেছি। পানির জন্য এখন আমাকে বোতলে বরফ সংগ্রহ করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর