থাইল্যান্ডে সুন্দরী প্রতিযোগিতার শীর্ষ ৩০ এর মধ্যে অবস্থান করছিলেন সবাই। প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে তাদের জন্য দিনটি ছিল খুব উপভোগ্য। কারণ, একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজন ছিল কফি খাওয়ার।
থাইল্যান্ডের সেই রেস্তোরাঁয় যেতে পার হতে হয় ছোট্ট পুকুর। সে পুকুর পারাপারে রয়েছে ঝুলন্ত লোহার সেতু।
রেস্তোরাঁয় যাওয়ার সময় সেই সেতুতে ছবির জন্য পোজ দিচ্ছিলেন ৩০ সুন্দরী। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি। পোজ দেয়ার একপর্যায়ে ৩০ সুন্দরীর ওজন ধরে রাখতে না পেরে ভেঙে পড়ে সেতুটি। ফলাফল, ৩০ সুন্দরী পুকুরে।
সেতু ভেঙে পুকুরে পড়ার পর তিন তরুণী আহত হয়েছেন। তাদের এক জনের কপালে কেটে ঘা হয়েছে। অন্য দুজন চোট পেয়েছেন হাতে।
তাদের তিন জনকেই হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
যে ক্যাফেতে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তার মালিক ভোরপট চটকানজানা তার জন্য বিব্রত হয়েছে। তিনি দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার খরচ দেয়ার কথা জানিয়েছেন।
ওই আয়োজনে আসা মোট খরচ সাড়ে ১২ হাজার পাউন্ড বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪ লাখ টাকার বেশি, যার সম্পূর্ণটাই পরিশোধ করবেন তিনি।
এই সেতু ভেঙেই ৩০ সুন্দরী পুকুরে পড়ে যান।
চটকানজানা বলেন, ‘আমাদের গ্রাহকদের পোশাক পরিষ্কারের জন্যও আমরা বিল দেব।’
‘আমি জানি না সেতুটি কেন ভাঙল। এটি খুব মজবুত, তবে সুন্দরীদের ওজন রাখতে পারল না।’
‘ভবিষ্যতে আমরা ব্রিজটিকে আরও মজবুত করে তৈরি করব।’
সেতু ভেঙে পুকুরে পড়ার পরেও ২৭ সুন্দরী প্রতিযোগিতার ওই অংশে ছিলেন। অন্য তিন জন আগামীকাল থেকে আবারও প্রতিযোগিতায় যুক্ত হবেন।
মিস থাইল্যান্ড ২০২০ প্রতিযোগিতার পরিচালক অ্যাডিসর্ন সুদ্ধে বলেন, ‘সাধারণত প্রতিযোগিতাটি ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয়। এবার সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে আমরা আয়োজনটি চিয়াং মাই-তে করেছি।’
সোমবার ছিল প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিন। এ দিনই অপ্রত্যাশিতভাবে সেতুটি ভেঙে গেছে।
থাইল্যান্ডে সুন্দরী প্রতিযোগিতাটি খুব জনপ্রিয় একটি ইভেন্ট। আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে বছরব্যাপী সুন্দরী খোঁজার প্রতিযোগিতাটি চলে আসে।