ভারতের নাভি মুম্বাই এলাকার বাসিন্দা মনীষ মিশ্র (২৮)। কাজ করতেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার হিসেবে। গত ২৪ জুলাই স্ত্রীকে কল করে মনীষ জানান, তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। তিনি আর বাঁচতে চান না।
এ কথাগুলো বলার পরপরই ফোন বন্ধ করে দেন মনীষ, যাতে আতঙ্কে পড়ে যায় তার পরিবারের সদস্যরা। তার স্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে ভাইয়ের কাছে ফোন করে সাহায্য চান। ভাই তাকে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নাভি মুম্বাই থানা পুলিশকে জানাতে বলেন।
মনীষের স্ত্রীর তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করে পুলিশ। কিন্তু তদন্তে দেখা যায়, ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। পরিবার থেকে পালিয়ে প্রেমিকার কাছে যেতে করোনাকে বাহানা হিসেবে ব্যবহার করেছেন এ যুবক।
অডিটিসেন্ট্রাল ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্ত্রীর কাছ থেকে পালাতে চাতুরির আশ্রয় নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন মনীষ। স্ত্রীর রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ তার সর্বশেষ সবগুলো অবস্থান চিহ্নিত করে। এর ভিত্তিতে পুলিশ সদস্যরা এসব জায়গার সবগুলো ল্যাবে খবর নেন। কিন্তু কোথাও মনীষ নামের কারো করোনা পরীক্ষার খবর পাওয়া যায়নি।
পরবর্তী সময়ে পুলিশ সদস্যরা মনীষের নিয়োগকারী লজিস্টিকস কোম্পানিতে খোঁজ নেন। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন, প্রতারণা চেষ্টার ঘটনায় সম্প্রতি তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
অবশেষে কাছের কিছু বন্ধুর মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, মনীষের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এরপর অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে দেখা পায় মনীষের।
পুলিশ জানতে পারে, মনীষ তার প্রেমিকার সঙ্গে অবস্থান করছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, স্ত্রী বা পরিবারের সদস্যরা হয়তো তাকে মৃত ধরে নিয়েছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ইন্দোর থেকে নাভি মুম্বাইয়ে মনীষকে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে পরিবারের সদস্যদের মুখোমুখি হন তিনি।