বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সার্ফবোর্ড হারাল হাওয়াইতে, পাওয়া গেল ফিলিপাইনে

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৫:৪১

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের ওয়াইমিয়া উপসাগরে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সার্ফিং করছিলেন ডগ ফলটার। সে সময় ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল তার নীল রঙের সার্ফিং বোর্ডটি।

ফলটার ভেবেছিলেন, স্থানীয় জেলেরা হয়তো খুঁজে পাবে বোর্ডটি। কিন্তু সেটি না হলেও বোর্ডের সন্ধান পেয়েছেন এ সার্ফার। সে জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দুই বছরেরও বেশি সময়।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সমুদ্রে ভেসে যাওয়ার ছয় মাস পর ২০১৮ সালের আগস্টে বোর্ডটি দেখতে পান ফিলিপাইনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সারাঙ্গিনার কিছু জেলে। 

তারা ভেবেছিলেন, কোনো নৌকা থেকে বোর্ডটি হয়তো সমুদ্রে পড়ে গেছে। তারা সেটিকে তুলে নিয়ে অল্প কিছু টাকায় বিক্রি করে দেন স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে। পরে সেটি কিনে নেন  জিওভান্নে ব্রানজুয়েলা নামের এক প্রতিবেশী।

হাওয়াইয়ের পাঁচ হাজার মাইল দূরে দক্ষিণ ফিলিপিনে বোর্ডটি খুঁজে পাওয়ার কথা কল্পনাও করতে পারেননি ফলটার।

'আমি নিশ্চিত ছিলাম, বোর্ডটি কখনোই খুঁজে পাব না', বলেন ফলটার। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হারানো বোর্ডের খোঁজ পান ফলটার। বোর্ডের বর্তমান মালিক ব্রানজুয়েলা ফিলিপিনের স্থানীয় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি সার্ফিং শেখার আগ্রহ থেকে তার প্রতিবেশীর কাছ থেকে ৪০ ডলার দিয়ে বোর্ডটি কিনে নেন।   

ফলটার এএফপিকে বলেন, 'ছবিটা দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না; আমি ভেবেছিলাম এটা এক ধরনের রসিকতা।'    'আমি নিশ্চিত ছিলাম বোর্ডটা কখনো খুঁজে পাওয়া যাবে না।' 

প্রশান্ত মহাসাগরে কয়েক মাস ধরে ভেসে থাকার পরেও বোর্ডে নির্মাতার নাম দৃশ্যমান ছিল। লাইল কার্লসন নামক এক ব্যক্তি বোর্ডটি বানান। 

 ব্রানজুয়েলা কৌতূহলবশত ফেসবুকের মাধ্যমে কার্লসনকে খুঁজে বের করে তার কাছে বোর্ডটির কিছু ছবি পাঠান। পরবর্তী সময়ে কার্লসন ইন্সটাগ্রামে ফলটারকে ট্যাগ করে সে ছবিগুলো পোস্ট করেন। 

এ নিয়ে ব্রানজুয়েলা এএফপিকে বলেন, 'দেখা গেল সার্ফবোর্ডটা হাওয়াইর; বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।' 

তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বপ্ন সার্ফিং করতে শিখব আর এখানের বড় ঢেউগুলো পাড়ি দেব। আপাতত আমি এটা ব্যবহার করছি। আমি তাকে (ফলটার) বলেছি, আমি ঠিকমতো এটার (বোর্ড) যত্ন নেব।'  

ফলটার ও ব্রানজুয়েলা ফেসবুকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। ওই দ্বীপটিতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ফলটার।

তিনি বলেন, 'আমার সাফল্যের জন্য বোর্ডটা আমার কাছে খুব বড় একটা বিষয়।' 

ফলটার ২০১৬ সালে ওয়াইমিয়া বের এডি আইকাউ বিগ ওয়েভ সার্ফিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন। এ প্রতিযোগিতায়  ঢেউয়ের স্ফীতি ছিল ৬০ ফুট।

ফলটার জানান, তিনি তার বোর্ডের বদলে ব্রানজুয়েলাকে প্রাথমিকভাবে সার্ফ শেখার জন্য আরেকটি বোর্ড দিতে চান। ব্রানজুয়েলাকে সারাঙ্গিনি ও পাশের বালুট দ্বীপের ঢেউ পাড়ি দেয়া শেখাতে চান তিনি। 

বর্তমানে ফলটার টাকা সংগ্রহ করছেন ব্রানজুয়েলার স্কুলের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে। এ ছাড়া ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে তাকে সার্ফিং সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান দিচ্ছেন। 

'ফিলিপাইনে যাওয়া আমার জন্য একটা অজুহাত, মূলত গল্পটা শেষ করার জন্য। আমার ধারণা. তাকে সার্ফ শেখানো দারুণ একটা সমাপ্তি হবে।'

এ বিভাগের আরো খবর