থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত দুই হাজার ১৬৮ বর্গকিলোমিটারের খাও ইয়াই ন্যাশনাল পার্ক। দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম এ পার্কে প্রতি বছর যান লাখ লাখ দর্শনার্থী।
বিপুল এ দর্শনার্থীর ফেলে যাওয়া টনের টন আবর্জনায় দূষিত হয় পার্কের পরিবেশ। এ পরিস্থিতি রোধে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পার্কে আবর্জনা ফেললেই শাস্তি পেতে হবে দর্শনার্থীকে। পার্ক কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থীর ঠিকানায় পৌঁছে দেবে ফেলে দেওয়া আবর্জনা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, পার্কে ঢোকার আগে নিজস্ব ঠিকানা দিয়ে রেজিস্টার করতে হয় দর্শনার্থীদের। এর ফলে রেঞ্জাররা সহজেই খুঁজে বের করতে পারেন আবর্জনা ফেলা ব্যক্তিকে।
থাইল্যান্ডের পরিবেশমন্ত্রী ভারাউত সিলপা-আরচা বলেন, খাও ইয়াই ন্যাশনাল পার্ক কর্তৃপক্ষ ফেলে যাওয়া আবর্জনা ফেরত পাঠাতে শুরু করবে।
তিনি বলেন, এ ধরনের কাজ যারা করে, তারা অপরাধী। তাদের আইনের আওতায়ও আনা হবে।
পরিবেশমন্ত্রী পর্যটকদের কাছে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতকৃত আবর্জনার প্যাকেটগুলোর ছবি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন।
পোস্টটিতে মন্ত্রী বলেন, 'আপনার আবর্জনা আপনার কাছেই ফেরত পাঠাব।’ তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল পার্ক নোংরা করা অপরাধ। এর শাস্তি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও বড় অঙ্কের জরিমানা।
ফেসবুক পোস্টে দেখানো আবর্জনার পার্সেলে খালি প্লাস্টিকের বোতল, ক্যান ও চিপসের প্যাকেটের পাশাপাশি একটি ছোট নোট রয়েছে। সেখানে লেখা, 'আপনি এই জিনিসগুলো খাও ইয়াই ন্যাশনাল পার্কে ভুলে রেখে গেছেন।'
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, ফেলে যাওয়া আবর্জনা প্রাণীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ তারা এগুলো খাওয়ার চেষ্টা করতে পারে।
খাও ইয়াই থাইল্যান্ডের প্রাচীনতম পার্ক। জলপ্রপাত, জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এটি বিখ্যাত।