বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আলোচিত ও বিতর্কিত ইস্যুগুলোর একটি হচ্ছে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি। আগস্টের রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত গুম, নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এখন বিচারিক কাঠামোয় প্রবেশ করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ, র্যাবের দুই সাবেক মহাপরিচালকসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এই তালিকায় ১৪ জন বর্তমান ও ১০ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার নাম রয়েছে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
এই সিদ্ধান্তে জনমনে যেমন এক ধরনের স্বস্তি এসেছে যে দীর্ঘদিনের অবিচারের দায় এখন বিচারের মুখোমুখি হচ্ছে, তেমনি উদ্বেগও বেড়েছে এই বিচার যেন রাষ্ট্রীয় প্রতিহিংসা বা কোনো গোষ্ঠীর রাজনৈতিক প্রতিশোধে পরিণত না হয়। বিশেষ করে সেনাবাহিনীকে নিয়ে যেন কোনো প্রহসণ না ঘটে, সেটিই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেনাবাহিনী শুধু একটি বাহিনী নয়, এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রতীক, যার প্রতি জনগণের আস্থা দীর্ঘদিনের।
অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে সেনাবাহিনীকে যে পরিসরে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আগামী দুই মাসের জন্য বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ সালের ১২(১) ধারার অধীনে প্রদত্ত এই ক্ষমতা জনস্বার্থে অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে। এর ফলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এখন ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অধীনে বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। তবে তারা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব পালন করবেন।
সাবেক সচিব এ কে এম আব্দুল আউয়াল মজুমদার এই সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেছেন। তার মতে, দেশের স্বার্থে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার প্রয়োজনে এমন সিদ্ধান্ত অতীতেও নেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি একই সঙ্গে সতর্ক করে বলেছেন, ‘সেনাবাহিনী যেন বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক থাকে, এবং যা প্রয়োজন শুধু সেটুকুই প্রয়োগ করে।’ এই বক্তব্যের মধ্যেই নিহিত আছে মূল উদ্বেগের জায়গা—ক্ষমতার সীমা ও ব্যবহারের ভারসাম্য।
অন্যদিকে, সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে যে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, সেটিকে কেন্দ্র করে দেশে এখন বিতর্ক তুঙ্গে। কেউ বলছেন, এটি অতীতের অপরাধের ন্যায্য বিচার; কেউ আবার দেখছেন এতে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা। বিশেষ করে যখন ১৫ জন কর্মরত কর্মকর্তা হেফাজতে নেয়া হয়, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় গুজব ও প্রচারণা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর এমদাদুল ইসলাম বলেছেন, ‘এই ঘটনাটি যেভাবে জনসম্মুখে প্রচার করা হয়েছে, তাতে প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেনাবাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’ তার মতে, সেনাবাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে যে ভাবমূর্তি তৈরি করেছে, তা রক্ষায় এখন সর্বোচ্চ সতর্কতা প্রয়োজন।
অন্যদিকে বিশ্লেষক ড. আব্দুর রব খান ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি দেখছেন। তার মতে, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার একটি প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, এবং এতে সেনাবাহিনীকে আলাদা করে দেখার কোনো কারণ নেই। বরং আইনানুগ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করে সেনাবাহিনী প্রশংসা কুড়াবে।’
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সেনা কর্মকর্তাদের বিচার করার সম্পূর্ণ এখতিয়ার ট্রাইব্যুনালের রয়েছে। তার ভাষায়, ‘আইনের সাধারণ বিধান হচ্ছে, আসামিকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হয়। এরপর আদালতই নির্ধারণ করবেন তারা কোথায় থাকবেন।’
এই বক্তব্য কিছুটা আশ্বাসবাণী হলেও, একটি মৌলিক প্রশ্ন থেকেই যায়—সামরিক বাহিনীর কোনো সদস্য যদি অপরাধে অভিযুক্ত হন, তবে তার বিচারের এখতিয়ার কোথায়? সামরিক আদালত নাকি বেসামরিক আদালত? সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ বিষয়ে স্পষ্ট বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীর সদস্য পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অপরাধ করলে তার বিচার সামরিক আইনে হবে। কিন্তু সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধ করলে তাকে বেসামরিক আদালতে বিচার করা যাবে। অতীতে নারায়ণগঞ্জ সাত খুন ও বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় এমন নজির আছে।’
অর্থাৎ, আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিচার প্রক্রিয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে বাস্তবতার দিক থেকে এটি সংবেদনশীল। সেনাবাহিনী একটি শৃঙ্খলাপরায়ণ প্রতিষ্ঠান, যেখানে আস্থার বন্ধনই সবচেয়ে বড় শক্তি। সেই আস্থায় আঘাত লাগলে পুরো প্রতিষ্ঠানের মনোবল দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই বিচারপ্রক্রিয়া যতটা আইনি, ততটাই রাজনৈতিক ও নৈতিক সংবেদনশীলও।
বিএনপির অবস্থানও এখানে দেখার বিষয়। দলটি বলেছে, ‘সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য এই দেশের গর্বিত সন্তান। সীমা লঙ্ঘনকারীরা বিচারের মুখোমুখি হোক, যাতে কোনো সরকার ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীকে অন্যায় কাজে ব্যবহার করতে না পারে।’ এই বক্তব্যে যেমন ন্যায়বিচারের পক্ষে অবস্থান দেখা যাচ্ছে, তেমনি সেনাবাহিনীর মর্যাদা রক্ষার ইঙ্গিতও আছে।
অতীতের উদাহরণ স্মরণ করলে দেখা যায়, জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ড, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন বা বিডিআর বিদ্রোহ—সব ক্ষেত্রেই সামরিক ও বেসামরিক আদালতের এখতিয়ারের প্রশ্নে দেশ একাধিকবার বিতর্কে পড়েছে। কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রেই আদালত নীতিগতভাবে বলেছে, সাধারণ নাগরিকের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের বিচার বেসামরিক আদালতেই হতে পারে।
তবে এবার বিষয়টি শুধু আইনি নয়, রাজনৈতিকভাবে গভীরতর। কারণ, শেখ হাসিনা সরকারের সময় যেসব গুম-নির্যাতন ও নিখোঁজের অভিযোগ উঠেছিল, তা শুধু প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, বরং রাজনৈতিক দমননীতির অংশ ছিল। সেই প্রেক্ষাপটে অভিযুক্তদের মধ্যে সেনা কর্মকর্তার উপস্থিতি অনিবার্যভাবে প্রশ্ন তোলে তারা কী কেবল নিজেরা দায়ী, নাকি রাজনৈতিক নির্দেশে দায়িত্ব পালন করেছিলেন?
এখানেই নৈতিক প্রশ্নটি বড় হয়ে দাঁড়ায়। সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সবচেয়ে শৃঙ্খলাপরায়ণ ও বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান। এমন একটি বাহিনীকে নিয়ে যখন বিচারিক প্রক্রিয়া চলে, তখন সেটি শুধু আইনের প্রশ্ন নয়, রাষ্ট্রের মর্যাদা ও জনগণের আবেগের প্রশ্নেও পরিণত হয়। বিচার অবশ্যই হতে হবে, কিন্তু তা যেন কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বা প্রতীকী প্রদর্শনের রূপ না নেয়—এই সতর্কতা এখন সবচেয়ে জরুরি।
পাঁচ দশকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী শুধু দেশের নিরাপত্তা রক্ষাই করেনি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তারা বিশ্বের অন্যতম প্রশংসিত বাহিনী। আফ্রিকার কঙ্গো, দক্ষিণ সুদান, মালি, সিয়েরা লিওন কিংবা লেবাননে তারা শান্তিরক্ষী হিসেবে যেমন পরিচিত, তেমনি মানবিক সহায়তার দূত হিসেবেও সুনাম অর্জন করেছে। ফলে ‘বাংলাদেশ’ নামটি আজ আন্তর্জাতিক পরিসরে নৈতিক বিশ্বাস, শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের প্রতীক।
দেশের অভ্যন্তরেও সেনাবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় কিংবা মহামারির সময় এই বাহিনী সর্বাগ্রে মানবিক সহায়তা নিয়ে হাজির হয়েছে। ২০২০ সালের কোভিড-১৯ মহামারির সময় তাদের মাঠপর্যায়ের দায়িত্ব পালন ও সচেতনতা কার্যক্রম ছিল অনন্য। তার আগেও ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যা ও ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে তারা মানুষের জীবন বাঁচাতে যে আত্মত্যাগ দেখিয়েছে, তা আজও জাতির স্মৃতিতে অমলিন।
এই ধারাবাহিকতা সেনাবাহিনীকে দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও সুশৃঙ্খল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। এমন একটি বাহিনীকে হঠাৎ বিচারিক বিতর্কের কেন্দ্রে এনে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলে তা কেবল আইনি প্রক্রিয়াকেই নয়, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা স্থিতিশীলতাকেও প্রভাবিত করতে পারে। তাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব হবে বিচার প্রক্রিয়াকে এমনভাবে পরিচালনা করা যাতে আইন, ন্যায়বিচার ও মর্যাদার ভারসাম্য রক্ষা পায়।
২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কিংবা ২০২৪ সালের সংকটকালেও সেনাবাহিনী দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে—তারা জনগণের পাশে থেকেছে, সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ করেছে, প্রশাসনকে সহায়তা করেছে। আন্তর্জাতিক মহলেও স্বীকৃত, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে পেশাদার ও স্থিতিশীল বাহিনীগুলোর একটি। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিচার যদি হয়, তা হতে হবে প্রমাণনির্ভর, স্বচ্ছ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রক্রিয়ায়।
সেনাবাহিনীর অতীত গৌরব, বর্তমান পেশাদারিত্ব এবং ভবিষ্যতের দায়িত্ববোধ এই তিনটি দিক বিবেচনায় নিয়ে বিচারের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হবে। সেনাবাহিনী কোনো রাজনৈতিক দলের নয়, এটি জাতির। জনগণের আস্থা টিকে থাকলেই রাষ্ট্রের ভিত্তি অটুট থাকবে। তাই আজ সবচেয়ে প্রয়োজন ন্যায়বিচার ও মর্যাদার সমন্বয়। সেনাবাহিনীকে বিচারিক প্রক্রিয়ার অংশ করা যেতে পারে, কিন্তু রাজনৈতিক কৌশলের অংশ বানানো চলবে না।
বিচার যদি হয়, তা হতে হবে নিখুঁত ও নিরপেক্ষ, যেন তা প্রতিশোধ নয়, ন্যায়বিচার হয়। বিচারের নামে যদি কোনো প্রহসণ ঘটে, তবে তাতে কেবল সেনাবাহিনী নয়, গোটা রাষ্ট্রীয় কাঠামোই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি, জাতীয় নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক আস্থা, সবই তখন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব এখন বেশ কয়েক দিকে। একদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করা, অন্যদিকে সেনাবাহিনীর মর্যাদা ও পেশাগত শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ রাখা। এর জন্য প্রয়োজন আইনি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, রাজনৈতিক সংযম, এবং সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ন্যায়বিচারের প্রতি আন্তরিকতা। সেনাবাহিনীকে বিচারিক প্রক্রিয়ার অংশ করা যেতে পারে, কিন্তু তাকে কোনো রাজনৈতিক নাটকের অংশ করা চলবে না।
বিচার হবে, কারণ অপরাধের দায় এড়ানো যায় না। কিন্তু সেই বিচার যেন হয় প্রমাণভিত্তিক, ন্যায়নিষ্ঠ, ও জনস্বার্থে পরিচালিত, এটাই আজকের জাতীয় দাবি। কারণ, বিচার যদি প্রহসণে পরিণত হয়, তবে তা শুধু সেনাবাহিনীর ক্ষতি নয়, বরং স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মর্যাদার ওপরই চরম আঘাত হিসেবে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হবে।
ইতিহাস বলছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুধু একটি প্রতিরক্ষা বাহিনী নয়, এটি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব, সার্বভৌমত্ব ও মানবিক দায়িত্বের এক অবিচ্ছেদ্য প্রতীক। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই এই বাহিনী দেশের স্বাধীনতা অর্জনের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে বীরত্ব দেখিয়ে এই বাহিনীর সদস্যরা প্রতিষ্ঠা করেছেন বাঙালি জাতির আত্মমর্যাদার ভিত্তি।
লেখক: রাজু আলীম: কবি, সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।