বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এই নিকৃষ্ট দালালদের চিহ্নিত করা দরকার

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৬ অক্টোবর, ২০২৩ ১৬:৫১

সম্প্রতি কয়েকজন দুর্নীতিবাজ ও সুবিধাবাদী ব্যক্তি বিদেশি শক্তির দালাল হিসেবে দেশের বিরুদ্ধে নগ্নভাবে নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে। সমগ্র জাতি স্তম্ভিত হয়েছে এদের জঘন্য ও ঘৃণ্যতম দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড দেখে। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালে তার পাহাড়সম দুর্নীতির অসংখ্য ঘটনা দেশের সব শিক্ষককে অপমানিত করেছে। তাকে শিক্ষক নামের কলঙ্ক বললেও কম বলা হবে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে এরকম অসংখ্য, অভিনব ও জঘন্য দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যায়নি। এক-এগারোর সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আন্দোলনরত ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল এই দালাল। এজন্য তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা দেশবিরোধী দালাল আখ্যা দিয়ে ধাওয়া করেছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে। রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে ৪৩টি দুর্নীতির অভিযোগ সরকার কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হয়েছে।

সম্প্রতি তার দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। চ্যানেল আইয়ের তৃতীয় মাত্রায় সে রাষ্ট্রবিরোধী যে বক্তব্য দিয়েছে সেটি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭খ (২) অনুযায়ী পরিষ্কারভাবে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধ। এই ব্যক্তি সরাসরি ঘোষণা দিয়ে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। তার ঔদ্ধত্যের কারণে দেশপ্রেমিক মানুষ স্তম্ভিত হয়েছে। বিস্ময়কর ঘটনা হচ্ছে, যেসব গণমাধ্যম সম্প্রতি তার দেশবিরোধী ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য প্রচার করছে, সেসব গণমাধ্যমেই তার ব্যাপক দুর্নীতির সংবাদ ইতোপূর্বে প্রচারিত হয়েছিল।

এই ব্যক্তি শুধু দুর্নীতিবাজই নয়, একজন চিহ্নিত ভণ্ড ও প্রতারক। সম্প্রতি সে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ২০১৪ ও ২০১৮ এর জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানা মিথ্যাচার করছে। অথচ এই দুটি নির্বাচন নিয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যবেক্ষক ইতিবাচক মতামত দিয়েছিল। এদের মধ্যে তার নিজের প্রতিষ্ঠানও ছিল। আজ সে তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে। তবে তার সাম্প্রতিক বিতর্কিত নানা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে নিরপেক্ষতা হারানোর কারণে আরপিও এর অনুচ্ছেদ ৯১ সি এর বিধান অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে সে থাকলে তার প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিগতভাবে সে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করতে পারবে না।

রাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং গণতন্ত্রের সুরক্ষার স্বার্থে এসব নিকৃষ্ট ও চিহ্নিত দেশবিরোধী দালালদের বিরুদ্ধে এখনই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যারা সামান্য স্বার্থের কারণে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিকিয়ে দিতে পারে এবং দেশের ভেতরে বসে দেশবিরোধী অবস্থান নিয়ে বিদেশি শক্তির পক্ষে প্রকাশ্যে দালালি করে, তাদের কোনোভাবেই ক্ষমা করা যায় না।

এ বিভাগের আরো খবর