১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ভোরবেলা চিফ অফ জেনারেল স্টাফ খালেদ মোশাররফ, কর্নেল কে এন হুদা এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল এটিএম হায়দারকে সেনাবাহিনীর বিদ্রোহীরা ১০ নং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে নৃশংসভাবে হত্যা করে। খালেদ মোশাররফসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় জড়িত নিম্নপদস্থ কর্তাদের সামরিক বাহিনীতে চেইন অফ কমান্ড ভাঙা, উশৃঙ্খল আচরণ করা, বঙ্গভবনে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করাসহ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা আর চলতে না দিয়ে বাহিনীর মর্যাদা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানসহ ঊর্ধ্বতনদের প্রতি বার বার আবেদন করে ব্যর্থ হন। এরপর ২ নভেম্বর গভীররাতে খালেদ মোশাররফসহ উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের একটি অংশ বঙ্গভবনে অবস্থানকারী ঘাতক ও উশৃঙ্খলকারীদের দমন করার জন্য একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান শুরু করে।
১৫ আগস্টের পর থেকে যেহেতু সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে নানা ধরনের গ্রুপিং বিভাজন, আস্থার সংকট, ভয়ভীতি ছড়িয়ে পড়েছিল তাই সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যেমন অতীব জরুরি ছিল একই সঙ্গে বেশ জটিলও ছিল। তাছাড়া ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে যেসব অধস্তন সেনা কর্মকর্তা জড়িত ছিল তাদের পেছনে উপরের শীর্ষপদে কর্মরত সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে কে কোন উদ্দেশ্যে এমন একটি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার প্রাক্কালে সেনাবাহিনীর কামান, অস্ত্রশস্ত্রসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি সেনানিবাসের বাইরে আসার সুযোগ করে দিয়েছিল, তারা সেনানিবাসের শৃঙ্খলা ভঙ্গকে প্রতিহত বা প্রতিরোধ করতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি, এর পেছনে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক কোনো ব্যক্তি ও গোষ্ঠী জড়িত ছিল কি না, এটি কোনো পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কি না সেটি সম্পর্কেও অনেকে স্পষ্ট কোনো ধারণা ১৫ আগস্টের আগে বা পরে রাখেননি।
সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে ১৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যে নৈরাজ্য চলছিল সেটি প্রতিহত করতেও নতুনভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর প্রধান, বিমানবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদে যথাক্রমে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, এয়ার ভাইস মার্শাল আবু তাওয়াব এবং মেজর জেনারেল খলিলুর রহমান কোনো ধরনের উদ্যোগ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি। শেষোক্ত দুজন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে পাকিস্তান আর্মির সঙ্গে শেষ পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন।
তারা আদর্শগতভাবেও পাকিস্তানকেই ধারণ করতেন। সুতরাং ১৫ আগস্টের পর তিনজনের সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পদে আসীন হওয়ার বিষয়টি ছিল ১৫ আগস্ট পরবর্তীকালে সেনাবাহিনী খন্দকার মোশতাক সরকারকে উৎখাত কিংবা পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে কেউ যেন নতুন করে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে পরিবর্তন করার সুযোগ না পায়।
সেনাবাহিনীর এই পরিবর্তনটিকে তৎকালীন ঊর্ধ্বতন এবং এর অধস্তন কোনো স্তরের সেনা কর্মকর্তা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারেননি। এটি ছিল ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড সংঘটিত ও সফল করার ধারাবাহিক অংশ। সেকারণে তিন শীর্ষ সেনাকর্মকর্তা সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারীদের বিচার, শাস্তি কিংবা বঙ্গভবন থেকে বহিষ্কার বা বিতাড়িত করার কোনো উদ্যোগ না নিয়ে বরং অভিজ্ঞ সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চারণ, প্রতিক্রিয়া সংঘটিত হওয়া ইত্যাদিকে যেন উসকে দিতে সাহায্য করেছিলেন। তারা অনেকটা নীরব দর্শকের ভূমিকায় থেকে নিজেদের অসহায়ত্বের ভাব প্রকাশ করেছেন।
সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে এমন পরিস্থিতি প্রশিক্ষিত, অভিজ্ঞ এবং দেশপ্রেমিক সেনাকর্মকর্তাদের অনেকের পক্ষেই সহজে মেনে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে শীর্ষ সেনা নীতিনির্ধারকদের নির্দেশ ব্যতীত অন্যদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করারও সুযোগ সেনাবাহিনীতে থাকে না। এরকম একটি উভয় সংকটের মধ্য দিয়ে ১৫ আগস্ট-উত্তর দিনগুলো সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে অতিবাহিত হয়েছিল। সেই অবস্থায় খালেদ মোশাররফসহ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনাকর্মকর্তাদের একটি বড় অংশ যেকোনো মূল্যে বঙ্গভবনে অবস্থানকারী উশৃঙ্খল ১৫ আগস্টের ঘাতকদের তাড়িয়ে দিতে সংগঠিত হয়। তবে তাদের পরিকল্পনা যথেষ্ট পরিমাণে পূর্বাপর ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো সুপরিকল্পিত ছিল না।
তারা একটি রক্তপাতহীন পরিবর্তন যেমন চেয়েছিল, একইসঙ্গে খন্দকার মোশতাক সরকারেরও অবসান চেয়েছিল। কিন্তু এসব পরিবর্তন সংঘটিত করার জন্য তাদের আগে থেকে দায়িত্বভার গ্রহণের ব্যক্তি নির্ধারিত ছিল না। একইসঙ্গে ঘটনার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, কীভাবে সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে- তাও আগে থেকে ভাবা হয়নি। সেকারণে ২ নভেম্বর শেষরাতে তথা ৩ নভেম্বর এর প্রথম প্রহরে খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে বঙ্গভবন মুক্ত করার যে অভিযান স্থল ও আকাশ পথে পরিচালনা করা হয়েছিল, তা ছিল খুবই সংকীর্ণ, স্বতঃস্ফূর্ত ও অপরিকল্পিত উদ্যোগ।
এটিকে সামরিক বাহিনীর কোনো পালটা অভ্যুত্থান বলেও অভিহিত করা যায় কি না সন্দেহ আছে। কিন্তু ৩ তারিখ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত যা কিছু ঘটছিল তাও জনসাধারণের কাছে স্পষ্ট করা হয়নি, বেতার টেলিভিশন, পত্রিকা বন্ধ ছিল। উদ্যোগের প্রধান সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে খালেদ মোশাররফ সিদ্ধান্তহীনতায় সময়ক্ষেপণ করছিলেন, এই সুযোগে জেলের অভ্যন্তরে খন্দকার মোশতাকের নির্দেশে ১৫ আগস্টের ঘাতকদের কয়েকজন ৪ জাতীয় নেতাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।
১৫ আগস্ট এবং জেল হত্যার ঘাতকদের দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য জেনারেল এমএজি ওসমানীর মধ্যস্থতায় সব ব্যবস্থা করাও হলো। এরপর তারা বিমানযোগে সপরিবারে দেশত্যাগ করে। দেশত্যাগের পরে চার জাতীয় নেতার হত্যার খবর জানাজানি হয়।খন্দকার মোশতাককে পদত্যাগ করার জন্য বাধ্য করা হয়, ভেঙে দেয়া হয় জাতীয় সংসদ। রাষ্ট্রপতি পদে কে আসীন হবেন সেটিও পূর্ব নির্ধারিত না থাকায় ৬ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি আবু সায়েমকে শপথ পাঠ করিয়ে বেতার টিভিতে একটি ভাষণ দেয়ার ব্যবস্থা করানো হয়। কিন্তু ততদিনে দেশের অভ্যন্তরে নানা গুজব, অপপ্রচার চারদিকে ডালপালা গজিয়ে এমন একটি অবস্থা তৈরি হয়, যেখানে খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সূচিত পরিবর্তনকে ভিন্নভাবে তুলে ধরা হয়।
এটির মাধ্যমে দেশে ভারতীয় জুজুর ভয় ছড়িয়ে দেয়া হয়। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে বেশ আগে থেকেই জাসদ ‘বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা’ নামক একটি অননুমোদিত গোষ্ঠীর জন্ম দেয়। এরা ছিলেন সেনাবাহিনীতে কর্মরত সিপাহী, যাদের সাধারণ ও রাজনৈতিক শিক্ষার যথেষ্ট অভাব ছিল।
জাসদ সেনাবাহিনীতে বৈষম্য দূরীকরণের নামে বিপ্লবী সেনা সংস্থার মধ্যে যে ধারণা প্রচার করে তাতে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাধারণ সৈনিকদের দৃষ্টিতে শ্রেণিশত্রু হিসেবে দেখা হতে থাকে। ৩ নভেম্বরের ঘটনার পর এমনিতেই সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, অমুক্তিযোদ্ধা, পদোন্নতিবঞ্চিত এবং ১৫ আগস্ট-কেন্দ্রিক নানা বিভাজন বিরাজ করছিল। ৩ নভেম্বর পরবর্তী ঘটনাবলি নিয়েও দ্বিধাদ্বন্দ্ব, দোদুল্যমানতা, মিশ্র প্রতিক্রিয়া এবং অসংগঠিত অবস্থা ও প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছিল। সেই সুযোগে জাসদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ দেশে বিপ্লব সংঘটিত করার একটি ছিদ্রের অন্বেষণ করেছিলেন।
কর্নেল তাহের সহনির্ধারকরা একদিকে ভারতের জুজুর ভয় দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার কৌশলকে কাজে লাগিয়েছিলেন, অন্যদিকে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতায় বসিয়ে বিপ্লবের আরাধ্য কাজ সম্পন্ন করার জন্য সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে গঠিত বিপ্লবী সেনা সংস্থাকে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতনদের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত করে তুলেছিলেন। তাদেরই একটি দল ৭ নভেম্বর প্রত্যুষে খালেদ মোশাররফ, হুদা ও হায়দারকে হত্যা করে। এছাড়া সেনাবাহিনীর আরও অনেক কর্মকর্তাকে হত্যা, আক্রমণ এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। সেনানিবাসে পরিস্থিতি অত্যন্ত ঘোলাটে এবং বিপজ্জনকও হয়ে ওঠে। বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে রক্ত বইয়ে দেয়ার মনোবৃত্তি নিয়েই রাস্তায় নামে।
তারা ট্যাঙ্ক নিয়ে নারা-ই-তাকবীর ও সিপাহী-জনতা জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে থাকে। এর সঙ্গে জাসদের গণবাহিনীও যুক্ত হয়। তারা ঢাকার রাস্তায় বিপ্লবের স্লোগান দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকে। কর্নেল তাহের শহীদমিনারে বিকালে সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানসহ একত্রিত হয়ে কিছু ঘোষণা পাঠ করার কথা ছিল। জাসদ এটিতে তাদের স্বপ্নের বিপ্লব সফল হওয়ার আবেগে উদ্বেলিত ছিল। কিন্তু সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান জাসদের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত কিংবা একাত্ম হননি। তিনি খালেদ মোশাররফসহ শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের নিহত হওয়ার ঘটনায় অনেকটা ভারমুক্ত হন। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরের ওপর দুই শীর্ষ নির্ধারক এবং সেনা কর্মকর্তাদের সমর্থন নিয়ে জাসদের বিপ্লবী সংস্থার উশৃঙ্খলতাকে কঠোর হস্তে দমন করতে উদ্যোগ নেন।
অথচ কিছুদিন আগেও তিনি ১৫ আগস্টের ঘাতকদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিতে রাজি হননি। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে কর্মকর্তাদের হত্যার যে ভীতিকর পরিস্থিতি বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা তৈরি করেছিল তাতে সেনানিবাসে অবস্থানকারী সেনাকর্মকর্তারা সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকেই তখন তাদের জীবনের নিরাপত্তাদানের জন্য নির্ভরযোগ্য মনে করেছিল। ফলে সেনানিবাসের পরিস্থিতি জিয়াউর রহমানের অনুকূলে নেয়া অনেকটা সহজ হয়ে পড়ে। সেই অবস্থায় তিনি জাসদকে ছুড়ে ফেলে দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করেন। জাসদ ওইদিন অপরাহ্ণে বুঝতে পারে তাদের ‘বিপ্লব’ হাতছাড়া হয়ে গেছে।
৭ নভেম্বরকে জাসদ বিপ্লব ও সংহতি দিবস নামে অভিহিত করে এখনও বিভ্রান্তির বেড়াজালে আটকে আছে। কিন্তু জাসদ নিজেই এখন আর বিপ্লবেও নেই, রাজনীতিতেও একক কোনো সংগঠনে নেই। ৭ নভেম্বর পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান জাসদকে কোণঠাসা করে ফেলে। জাসদের বিপ্লবী তাত্ত্বিক কর্নেল তাহেরকে বিনাবিচারে সামরিক আদালতে ফাঁসি দেয়া হয়। জিয়াউর রহমান নিজে রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
বিএনপি এটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস নামে অভিহিত করে কিন্তু সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখল কোনো বিপ্লব হতে পারে না। জিয়াউর রহমান কোনো বিপ্লবীও ছিলেন না। তার শাসনামলকে শুধু আওয়ামী লীগই নয় অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিরোধী শক্তির রাজনীতির উত্থান হিসেবে অভিহিত করে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ধারা থেকে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবাদর্শে ফিরিয়ে নিয়ে যান। অসাম্প্রদায়িক দলের দীর্ঘদিন রাজনীতি নিষিদ্ধ ও কঠিন করে দেয়া হয়। তার শাসনামলে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে বেশ কিছু অভ্যুত্থান- পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটে। এতে যুক্ত থাকার অভিযোগে সেনাবাহিনীর অনেক সদস্যকেই বিনাবিচারে হত্যা, কারাগারে নিক্ষেপ এবং চাকরিচ্যুত করা হয়।
এসব ঘটনা পর্যালোচনা করে যে বিষয়ে নির্মোহভাবে মতামত দেয়া যায় তা হচ্ছে- ৭ নভেম্বর কোনো অবস্থাতেই বিপ্লব বা সংহতির কোনো ধারা সৃষ্টি না করে বরং ১৫ আগস্টের বিয়োগান্তক ঘটনার এক নির্মম নিষ্ঠুর পরিকল্পিত দ্বিতীয়পর্ব হিসেবে যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশ এর ফলে হারিয়েছে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিকাশের রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ। সুতরাং এটি বিপ্লব নয়, প্রতিবিপ্লব নামেই অভিহিত হওয়ার সব বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিরাজ করছে।
লেখক: গবেষক-অধ্যাপক