বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সামনে নির্বাচন পুলিশসহ সকলকে সজাগ থাকতে হবে’

  • সম্পাদকীয়   
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:১৯

ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে কারিগরি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, দাবি আদায়ের জন্য তেজগাও সাত রাস্তায় আড়াই ঘণ্টা পথরোধ করার রাজধানীবাসী দুর্ভোগে পড়েন। ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ কয়েক দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকায় গত বৃহস্পতিবার একযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দল। বিক্ষোভের আগে বায়তুল মোকাররম, জাতীয় প্রেসক্লাবসহ আশপাশের এলাকায় দলগুলো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব কর্মসূচি ছিল।প্রায় অভিন্ন দাবিতে সাতটি দল তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ২৬ সেপ্টেম্বর সব জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে দলগুলোর। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এই কর্মসূচি পালন করবে। সাতটি দলের কেউ ৫ দফা, কেউ ৬ দফা, কেউ ৭ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করলেও সবার মূল দাবি প্রায় অভিন্ন।দাবিগুলো হচ্ছে :-জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং তার ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে (কেউ কেউ উচ্চকক্ষে) সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চালু করা।অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। দাবি আদায়ের নামে রাস্তায় আন্দোলন করে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলে । সরকার ও প্রশাসনকে বিব্রত পরিস্থিতি ও অস্তিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে যাবার আগে কর্মসূচি প্রণেতাদের ভাবতে হবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কি ? আমরা কোথায় আছি এবং দেশের অর্থনীতি কোথায় যাচ্ছে?অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের বছর পার করার পরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন কতটুকু সফল হয়েছে সেইসাথে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেন ব্যর্থ হতে হচ্ছে তা একটু ভাবতে হবে।ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় রাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সরকারকে ও দেশবাসীকে তীব্র সমালোচনার মুখে ফেলেছিল যা আমাদের সকলেরই জানা আছে।দেশে আনাচে কানাচে অযাচিতভাবেমব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা, বিভিন্ন স্থানে হামলা, খুন-ধর্ষণের মতো ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মিটফোর্ডের ঘটনা ছাড়াও খুলনায় যুবদলের এক নেতাকে হত্যার পর পায়ের রগ কেটে দেয়া, চাঁদপুরে মসজিদের ভেতরে ইমামকে চাপাতি দিয়ে কোপানোসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, চাঁদাবাজিসহ বহু ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে আলোচনায় এসেছে।এর আগে মার্চ মাসে ঢাকার কাছে মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলায় আপন দুই ভাইসহ তিনজনকে মসজিদের ভেতরে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছিল।এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে একের পর এক ‘মব সন্ত্রাস’ জনজীবনে আরেক উপসর্গ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যেসব ঘটনার সময় অনেকে ক্ষেত্রেই সরকার কিংবা পুলিশ দেখেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।জনমনে শংকা ও আমাদের কৌতুহল,সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী যদি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে সেই দিনক্ষণ আর বেশি দূরে নয়। বর্তমান ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ ধরলে আগামী পাচ মাস পরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এই সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের পক্ষে থেকে আশার বাণী শোনালেও বাস্তবে তা সন্তোষজনক নয়।দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে আমাদের মনে নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এখনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না বলেই মনে হবে , এখনো মব ভায়োল্যান্স, নির্যাতন, প্রকাশ্যে হত্যা, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা সামনে আসছে। মোহাম্মদপুরে তো ঘটেই চলেছে নতুন নতুন আতংক একের পর এক লোমহর্ষক ঘটনা, ছিনতাই এবং চাদাবাজি, তাছাড়া তাহলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কবে যে ঘুরে দাঁড়াবে সেটাই প্রশ্ন?জাতীয় নির্বাচনের আগে কি স্বাভাবিক হবে? কবে জনগণ শান্তিতে পথ চলবে?এমন নানা প্রশ্ন জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে।অপরাধ বিশ্লেষকরা মনে করেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এর প্রভাব পড়বে জাতীয় নির্বাচনে এবং আমাদের অর্থনীতিতে । আগামী সময় এ পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হওয়ার সম্ভাবনার কথা আশংকা করছেন তারা।

এদিকে গণঅভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া অস্ত্রসহ সারাদেশে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনের আগে এসব অবৈধ অস্ত্র দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করা হবে বলে সম্প্রতি সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। যা সন্তোষজনক বলে মনে করেন কেউ কেউ।

পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।তবে বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতা নিয়ে স্বয়ং পুলিশ বাহিনীর কেউ কেউ একমত প্রকাশ করেছেন। বাহিনীর সবোর্চ্চ মহল থেকে বলা হচ্ছে, পুলিশ ফোর্সের মোরাল বুস্টআপ তারা এখনো করতে পারেননি। যার ফলে অনেক অপরাধই চোখের সামনে সংঘটিত হলেও কার্যকর ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে না।এসব অপরাধের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকেও সোচ্চার হতে দেখা গেছে। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ সব রাজনৈতিক দলই বিভিন্ন ঘটনার পর মব ভায়োল্যান্সের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান জানিয়েছে। তবে এতকিছুর পরও হামলা, মামলা, নির্যাতন মব ভায়েল্যান্সের মাধ্যমে প্রকাশ্যে হত্যার মতো ঘটনা থামছে না। সর্বশেষ গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় গাজীপুরে পুলিশের সামনে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার আগে ১০ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে লোকজনের সামনে লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) নামের এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা যেমন জনমনে দাগ কেটেছে, দেশে বিদেশে আলোচনার-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, তেমনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।অপরাধ সূচক থেকে যা জানা যাচ্ছেগণঅভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত আছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির মতে, খুন, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, ধর্ষণ, লুটপাট, অরাজকতা চলছেই। পুলিশ এখনও নির্লিপ্ত, দায়িত্ব পালনে অনাগ্রহ এবং পেশাদারত্বেরও ঘাটতি রয়েছে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির নিজ কার্যালয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা জানানো হয়।এবং তাদের দেয়া কিছু পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, এ বছর প্রতি মাসেই খুনের ঘটনা বাড়ছে। খুনের ঘটনা বেশি ঘটছে ঢাকা মেট্রোপলিটন, ঢাকা রেঞ্জ ও চট্টগ্রাম রেঞ্জে। অনেক খুনের পেছনে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের মতো ঘটনা কাজ করেছে বলে জানা যাচ্ছে।খুনের পাশাপাশি সারাদেশে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ডাকাতি, ছিনতাই, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং অপহরণের মতো অপরাধও সংঘটিত হচ্ছে। পুলিশ সদর দফতরের হিসাব অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সারাদেশে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৩৬৬টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৪টি ডাকাতি হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। এছাড়া এ ছয় মাসে ১১ হাজার ৮টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। এছাড়া সারা দেশে বিশেষ করে অপরাধপ্রবণ এলাকায় পুলিশের বিশেষ টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। দেশের বড় বড় শহর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করে অপরাধীদের আটক করা হচ্ছে। দেশব্যাপী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে।’ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজাদ আলী রাজারবাগে সম্প্রতি এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘বিগত বছরে বিশেষ করে মেট্রোপলিটন পুলিশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একসময় যে ভঙ্গুর অবস্থায় চলে গিয়েছিল পুলিশ সেখান থেকে এখন অনেকটাই পেশাদারত্বে ফিরে এসেছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। পুলিশ পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসন্ন নির্বাচনকে দেশে-বিদেশে একটি দৃষ্টান্তে পরিণত করবে।’এ প্রসঙ্গে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ও অপরাধ বিশ্লেষক ওমর ফারুক একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ’সামনে দিন যত যাবে পরিস্থিতি তত খারাপের দিকে যাবে। নির্বাচনকে কেন্দ্রে করে সহিংসতা আরও বাড়তে পারে বলে আমরা আশংকা করছি। মূল সমস্যা হলো সবাই ক্ষমতার পালা বদলে ব্যস্ত। ফলে রাষ্ট্রীয় সংস্কারে সরকারের কাজগুলো তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। রাজনৈতিক অস্থিরতাটাই মূল কারণ, যেটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। এছাড়া পুলিশবাহিনী এখনও খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এখনো পুলিশ পুরোদমে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এ সময়টাকে অপরাধীরা সুযোগ হিসেবে বেছে নিয়েছে। যার ফলে এসব নৈরাজ্য চলছে।’

এ প্রসঙ্গে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন এর সাথে সহমত প্রকাশ করে বলতে হচ্ছে ‘সামগ্রিকভাবে যদি চেষ্টা করা হয় তাহলে অল্প দিনের মধ্যেই পুলিশকে সেই মর্যাদার জায়গায় নেওয়া সম্ভব। যেখান থেকে পুলিশ জনগণকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অবদান রাখতে পারে। সে জন্য পুলিশকে ঢেলে সাজাতে হবে। এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সফল ও স্বার্থক করে তুলতে হবে এটা নির্ভর করছে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন তাদের সদিচ্ছা ও আম জনতাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতার ওপর।’আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন এর সাথে সহমত প্রকাশ করে বলতে হচ্ছে ‘সামগ্রিকভাবে যদি চেষ্টা করা হয় তাহলে অল্প দিনের মধ্যেই পুলিশকে সেই মর্যাদার জায়গায় নেওয়া সম্ভব। যেখান থেকে পুলিশ জনগণকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অবদান রাখতে পারে। সে জন্য পুলিশকে ঢেলে সাজাতে হবে। এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সফল ও স্বার্থক করে তুলতে হবে এটা নির্ভর করছে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন তাদের সদিচ্ছা ও আম জনতা সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতার ওপর।’তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের ভেতর এক ধরনের অনাস্থা কাজ করছে। কারণ বেশ কিছু পুলিশ সদস্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। প্রতিটা হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত। আমার ধারণা, এর মধ্যে দিয়ে পুলিশ আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবে। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুর্বৃত্তদের অংশগ্রহণ আমরা লক্ষ্য করছি। রাজনীতিতে দুর্নীতিবাজদের অংশগ্রহণ বেড়েছে, তারাই আবার মেইন স্ট্রিমে অবস্থান করছে। এখন যেটি দেখা যাচ্ছে-অস্থিতিশীল অবস্থা, চাঁদাবাজি, লুটপাট, নির্যাতন- এর একটা বড় অংশ করছে রাজনৈতিক সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। এগুলো থেকে ফিরে আসতে হবে।’ সামনে নির্বাচন, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন লেভেল প্লেয়িং হবে কি করে।যদি না সব দলসহ সবাইকে কার্যকর ভূমিকা না রাখতে পারে। তাই দরকার সবাইকে এক ও অভিন্ন দৃষ্টিতে নির্বাচনের জন্য কাজ করা, তাহলেই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। রাজনৈতিক দলগুলো নানা ওচিলায় দাবি আদাযে ব্যস্থ থাকলে, দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সস্ত্রাসবাদ জেগে ওঠবে।, তাহলে লেভেল প্লেইঙ হবে কি করে। এ বিষয়টি রাজনৈতিক দলসহ সবাইকে ভাবতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর