বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বেশকজন সাবেক সদস্য জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সশস্ত্র ও বিমানবাহিনীর ১৪০০ সদস্যকে ফাঁসি এবং ৩০০০ জনকে কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত সদস্যের বিষয়ে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অনুসন্ধান কমিশন গঠনের দাবি জানায়। ওইদিন অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বেঁচে থাকা কয়েকজন তৎকালীন বিমানবাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিয়েছেন।
অনেকে তাদের প্রিয়জন হারানোর বেদনার কথা জানিয়েছেন। ফাঁসি দেয়া বিমানবাহিনীর সদস্যদের মৃতদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়নি। কোথায় এবং কেন ফাঁসি হয়েছে তাও জানানো হয়নি। তাদেরকে কোথায় সমাহিত করা হয়েছে সেটিও পরিবার জানে না।
দীর্ঘদিন এই পরিবারগুলো এমন দুঃসহ বেদনার স্মৃতি বুকে নিয়ে বেঁচে আছে। সেসব করুণ স্মৃতির বর্ণনা জীবিতরা ওই অনুষ্ঠানে কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রদান করেছেন। এছাড়া চাকরিচ্যুত ও দণ্ডপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা বেঁচে আছেন তারাও চাকরির কোনো সুযোগ-সুবিধা এই পর্যন্ত লাভ করেননি। ফলে প্রায় ৪৫ বছর ধরে সাবেক এই বিমানবাহিনী সদস্যরা অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের ভেতর দিয়ে বেঁচে আছেন। তারা ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সংঘটিত ওই হত্যাকাণ্ড এবং বিনাবিচারে দণ্ডপ্রাপ্ত ও চাকরিচ্যুতির জন্য তৎকালীন সামরিক বাহিনীপ্রধান, সামরিক শাসক এবং অনির্বাচিত সরকারপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে দায়ী করেন।
তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য তিনি নতুন বিমানবাহিনীকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার অংশ হিসেবে বিমানবাহিনীতে কর্মরত মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা, বহিষ্কার এবং কারাদণ্ড দিয়েছেন। এর ফলে তরুণ বিমানবাহিনীর সদস্যরা সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী ওই সরকারের চক্রান্তের শিকার হয়েছেন।
শুধু তাদের জীবনই কেড়ে নেয়া হয়নি, তাদের পরিবারগুলোকেও চরম অমানবিক অবস্থায় ঠেলে দেয়া হয়েছিল। নবগঠিত বাংলাদেশ সেনা ও বিমানবাহিনীকেও মেধাশূন্য করা হয়েছিল। এর নেতিবাচক প্রভাব বিমানবাহিনীর অভ্যন্তরে দীর্ঘদিন বিরাজ করেছে। বিমানবাহিনীতে কর্মরত এসব সদস্যদের বিনাবিচারে হত্যা, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুতি সমকালীন বিশ্ব ইতিহাসে এক নজিরবিহীন অমানবিক ঘটনা।
ব্যক্তিবিশেষের ক্ষমতা ও স্বার্থরক্ষার জন্য সেই সময় এমন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধকালে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্যতম গুরত্বপূর্ণ বাহিনী হিসেবে বিমানবাহিনীর যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা সকলেরই জানা দরকার। এর একটি সঠিক ধারণা-সংবলিত রাষ্ট্রীয় দলিল থাকা আবশ্যক। সেটি কেবল উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রাষ্ট্রীয় তদন্ত কমিশনের মাধ্যমেই পাওয়া যেতে পারে।
দুঃখজনক অভিজ্ঞতা হলো- ওইসব হত্যাকাণ্ডের অনেক বিষয়ই এখনও দেশের বেশিরভাগ মানুষের অজানা। খুব বেশি আলোচনায় কেউ সেই সময়ের অভ্যুত্থান- পাল্টা অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্ত সেনাসদস্যদের বিষয়ে জানার সুযোগ পাচ্ছে না। এমনিতে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ অন্য নেতৃবৃন্দের হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রতিবছর ১৫ আগস্ট সবাই কমবেশি জানতে পারে। তবে এটিও একসময় বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আলোচনায় আসার সুযোগ পেত না।
ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ঘাতকদের দায়মুক্তি দেয়া হয়, তাদেরকে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এমনকি বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে চাকরিও দেয়া হয়। বিএনপি এবং চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ঘাতকদের দেশে আসা-যাওয়ার সুযোগও দেয়া হয়েছিল, শুধু তাই নয় বাংলাদেশে তাদেরকে রাজনৈতিক দল গঠন, নির্বাচনে মনোনয়ন প্রদান, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার আসনেও বসানো হয়।
প্রতিবছর ১৫ আগস্ট এলে ওইসব ঘাতক এবং তাদের ভাড়াটে গুন্ডাবাহিনী ১৫ আগস্ট উদযাপনের যেকোনো কর্মসূচিকে পণ্ড করতে দ্বিধা করত না, নির্বিচারে আক্রমণ করে ওইসব অনুষ্ঠান ভেঙে দেয়া হতো। সেকারণে দীর্ঘদিন ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে কোনো লেখালেখি পত্রপত্রিকায় করতে দেয়া হতো না। অধিকন্তু ১৫ আগস্ট সম্পর্কে বেতার ও টিভিতে আক্রমণাত্মক আলোচনা অনুষ্ঠান করা হতো।
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে চেইন অব কমান্ড ভেঙে যায়। জুনিয়র কর্মকর্তাদের একটি অংশ এই হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে। তবে তাদের এই বেআইনি কর্মকাণ্ডে ঊর্ধ্বতন কারো কারো সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল। সেকারণেই সেনাবাহিনীর কামান, গোলাবারুদসহ নানা ধরনের অস্ত্রশস্ত্র সেনাবাহিনীর বিশেষ সংরক্ষিত এলাকা থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছিল। সেসব অস্ত্রশস্ত্রই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়। যেসব জুনিয়র কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু হত্যার পর রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হয়, তারা তখন দ্রুতই বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বঙ্গভবনে তাদের কর্তৃত্ব স্থাপিত হয়। অনেক সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা প্রাণভয়ে মুখ খোলার সাহস পেত না।
সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদগুলোতে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ছিল। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে মানসিকভাবে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। ফলে তাদের সামনেই জুনিয়র কিছু কর্মকর্তার বেপরোয়া আচরণের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর রীতি অনুযায়ী কোনো পদক্ষেপ কেউ গ্রহণ করতে পারছিল না। একের প্রতি অন্যের অনাস্থা, অবিশ্বাস এবং পদ-পদবি পাওয়ার বাসনা অনেকের মধ্যেই সেই চরম সংকটময় মুহূর্তেও খোলাখুলি দেখা যায়। মধ্যম সারির অনেক কর্মকর্তা সেনাবাহিনীর ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা সত্ত্বেও ঊর্ধ্বতন কেউই সেই দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। সেনাবাহিনীর বেশ কজন কর্মকর্তা তাদের স্মৃতি বিবরণীতে সেই সময়ের ঘটনাবলির এমন সব বর্ণনা লিখে রেখেছেন তাতেই বোঝা যায় যে, বাংলাদেশের সেই সময়ের সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে চরম নৈরাজ্য বিরাজ করছিল।
খুব দ্রুত মাঝারি অবস্থান থেকে অনেকের উপরের পদ-পদবি লাভ করার ফলে তাদের মধ্যে যে সামরিক শৃঙ্খলার অভ্যস্থতা গড়ে ওঠার প্রয়োজন ছিল সেটি গড়ে ওঠেনি। তাদের মধ্যে পদ-পদবির লোভ একে অপরকে টপকিয়ে সর্বোচ্চ পদে যাওয়ার বাসনা ইত্যাদি খুব স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। সেকারণেই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর পরই সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে নানা বিষয়ে মতবিরোধ, দ্বন্দ্ব- সংঘাত, ষড়যন্ত্র ঘোঁট পাকাতে থাকে।
এসব ঘটনার মধ্যে ঢুকে পড়ে ক্ষমতাকেন্দ্রিক নানা ষড়যন্ত্র, ক্ষোভ-বিক্ষোভ, হতাশা এবং প্রতিক্রিয়া। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে তখন মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ যেমন ছিলো, পাকিস্তানফেরত কর্মকর্তা ও সৈনিকরাও ছিল। এদের মধ্যে বিশ্বাসগত ভিন্নতা যেমন ছিল আবার রাজনৈতিক মতাদর্শগত পার্থক্যও গোপনে দানা বাঁধতে থাকে, সব কিছু মিলিয়ে ১৫ আগস্টের পর সেনাবাহিনী আর কোনো অবস্থাতেই একমুখী সুশৃঙ্খল ছিল না, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর আদর্শ থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়ে, বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এর ফলে সেনাবাহিনীও ভীষণভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যেও ছিল না পেশাদারত্বের মনোভাব। তারাও এগিয়ে এলেন না। তারাও সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে সুগঠিত করতে পারেননি। ফলে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে তৈরি হয় ব্যক্তিকেন্দ্রিক ছোট ছোট বিদ্রোহ। ২ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার একটি বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। সেটিকে তছনছ করে দিতে বাইরের এবং ভেতরের অন্যরা উদ্যোগী হয়। তাদেরই উদ্যোগে ’৭৫-এর ঘাতকদের ব্যাংককে পালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ঘাতকরা দেশ ছাড়ার আগে খন্দকার মোশতাকের নির্দেশে জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে যায়।
এরপর সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে বাইরের রাজনীতি আরও বেশি শক্তি নিয়ে সিপাইদের মধ্যে প্রবেশ করে। ওরা তখন অফিসারদের হত্যায় মেতে ওঠে। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে আরেকবার হত্যাকাণ্ড ঘটতে থাকে।
এরপর ক্ষমতার শীর্ষে জিয়াউর রহমানের আগমন ঘটে। তিনি একের পর এক সেনা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের নামে প্রতিপক্ষকে দমন, রাজনীতির সেসব বন্ধুদের কারারুদ্ধকরণ এবং ক্ষমতার শীর্ষ থেকে নিচে পর্যন্ত নিজের কর্তৃত্বকে দৃঢ় করার জন্য প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সন্দেহভাজনদের হত্যা, চাকরিচ্যুত, কারাদণ্ড ইত্যাদি প্রদান করতে থাকে। এর ফলে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে বিরাজ করতে থাকে এক চরম অস্থিরতা, জীবন-জীবিকার অনিশ্চয়তা ও আদর্শের সংকট। সেখান থেকেই সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে ঘটে বিদ্রোহ অভ্যুত্থান ঘটানোর নানা চেষ্টা।
১৯৭৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিমানবন্দরে জাপানি জঙ্গিগোষ্ঠীর একটি বিমানকে জিম্মি করে আনা হয়। এই ঘটনা শুধু ঢাকা বিমানবন্দরেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। জাপান-বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকার, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী ইত্যাদির ভেতরেও নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ২ অক্টোবর ঢাকা বিমানবন্দরে এক রক্তাক্ত দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। বগুড়া সেনানিবাসে কর্মরত সেনাসদস্যদের বেতন বাড়ানোর দাবি শেষ পর্যন্ত ঢাকা বিমানবন্দরে রক্তাক্ত ঘটনা সৃষ্টি করে। ২১ জন অফিসারসহ ২০০ বিদ্রোহী সেনা বিমানবন্দরে নিহত হন।
এরপরই জিয়াউর রহমান ওইদিন কারফিউ জারি করেন। সান্ধ্য আইনের সেই কালো রাতে বিমানবাহিনীর সদস্যদের ভাগ্যে নেমে আসে কারো ফাঁসি, কারো কারাদণ্ড কারোবা চাকরিচ্যুতি। কেন এসব ঘটল তার অনেকেই অনেক কিছু জানেন না। কিছু জানার আগেই তাদের গলায় ফাঁসির দড়ি নাকি বুকে বুলেট নিক্ষিপ্ত হলো সেটি অনেকের জানা নেই। এমন দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি ব্যক্তিগতভাবে তো নয়ই, দেশের সুশৃঙ্খল সেনাবাহিনীর জন্যও মঙ্গল বয়ে আনেনি।
১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমান নিজেও নির্মমভাবে নিহত হন চট্টগ্রামের সেনাবিদ্রোহীদের হাতে। কিন্তু কারা ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল তা আজও জানা যায়নি। কেন বার বার সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে বিদ্রোহ ও অভ্যুত্থান একের পর এক ঘটছিল? কী তাদের চাওয়া-পাওয়া ছিল? কেনইবা তাদের বিনাবিচারে হত্যা করা হতো? মেজর জেনারেল মনজুরকেই বা কেন সপরিবারে বিনাবিচারে হত্যা করা হলো?
এই বিতর্ক, জিজ্ঞাসা ও সন্দেহ ততদিন ঘুরপাক খাবে যতদিন ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৮১-এর ৩০ মে পর্যন্ত সংঘটিত বিদ্রোহ, হত্যাকাণ্ড ও অভ্যুত্থানের রহস্য। এর কারণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি শক্তির সম্পর্ক থাকা না থাকা কিংবা হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারীদের চাওয়া-পাওয়া, ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয়গুলো যথাযথভাবে উদ্ঘাটিত না হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে তদন্ত বা অনুসন্ধান করা। সেজন্য একান্তই প্রয়োজন ১৯৭৫-৮১-এর ঘটনাবলির রহস্য উন্মোচনের জন্য পৃথক বা একাধিক অনুসন্ধান কমিশন এখনই গঠন করা।
এসব কমিশনের প্রতিবেদন যাতে বস্তুনিষ্ঠ , নির্মোহভাবে উপস্থাপিত হয় সেজন্য দক্ষ, উপযুক্ত অনুসন্ধানীদের নিয়ে কমিশন গঠন করা জরুরি। এখনও অনেক ভুক্তভোগী সামরিক কর্মকর্তা জীবিত আছেন। তারা জাতির স্বার্থে সেই সময়ের প্রকৃত ঘটনার বিবরণ প্রদানের মাধ্যমে সাহায্য করতে পারেন। ইতিহাসের কাছে তারা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন দেশপ্রেমমূলক অর্জনের জন্য। কেননা এসব দলিলই সব রহস্যের যেমন উন্মোচন করবে, বিভ্রান্তিও দূর করবে। আগামী দিনের বাংলাদেশ সঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার দিশা খুঁজে পাবে।
লেখক: অধ্যাপক-গবেষক।