বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষায় বৈষম্যহীনতাই প্রগতির সোপান

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:০৯

ছাত্র-অভ্যুত্থানের তৃতীয় দিনের মধ্যে সরকার শরীফ শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট স্থগিত এবং একই সঙ্গে ১৯৬৩ সালের স্নাতক পরীক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করার ঘোষণা দেয়। এ আন্দোলনের প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে বলা যায়, আইয়ুব খানের মতো তথাকথিত লৌহ মানবও ছাত্র-আন্দোলনের কাছে নতিস্বীকার করে শরীফ শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন স্থগিত করতে বাধ্য হন।

১৭ সেপ্টেম্বর মহান শিক্ষা দিবস। পঞ্চাশের দশকের স্বাধিকার আন্দোলন এবং ষাটের দশকের শেষনাগাদ জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের মধ্যে সমন্বয়ক হিসেবে ১৯৬২’র ছাত্র-আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ এ দিবস।

১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণকারী বাঙালি রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জা প্রথমবারের মতো সমগ্র পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করেন এবং সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল আইয়ুব খানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করেন। সামরিক শাসন জারির ২০ দিনের মাথায় মির্জার দেখানো পথেই তাকে উৎখাত করে ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হন আইয়ুব খান।

পূর্ব বাংলাকে দাবিয়ে রাখতে হলে এখানকার শিক্ষা সংস্কৃতিকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, এটা আইয়ুব খান খুব ভালো জানতেন। আর তাই ক্ষমতা দখলের দুই মাসের মাথায় ১৯৫৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর তৎকালীন শিক্ষাসচিব ড. এস এম শরীফকে প্রধান করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট শিক্ষা-কমিশন গঠন করেন যা ‘শরীফ কমিশন’ নামে পরিচিত।

১৯৫৯ সালের আগস্ট মাসে কমিশন সরকারের কাছে রিপোর্ট হস্তান্তর করে। কমিশনের রিপোর্টে ষষ্ঠ থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত ইংরেজিকে বাধ্যতামূলক, উর্দুকে সর্বজনীন ভাষায় রূপান্তর, উর্দু ও বাংলা ভাষার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে পাকিস্তানের জন্য একটি অভিন্ন বর্ণমালার সুপারিশ এবং অবৈতনিক শিক্ষার ধারণাকে অবান্তর বলে ঘোষণা করা হয়। কমিশনের সুপারিশে- ১. প্রতিটি স্কুলে ৬০ শতাংশ ব্যয় সংগৃহীত হবে ছাত্রদের বেতন থেকে বাকি ২০ শতাংশ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নির্বাহ করবে। ২. পাস ও অনার্সকোর্সের সময়গত পার্থক্য বিলোপ করা হয়।

কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসনের পরিবর্তে পূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং ছাত্র-শিক্ষকদের কার্যকলাপের ওপর তীক্ষ্ণ নজরদারি করার প্রস্তাব করে।

রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পেলেও বাংলা ভাষাকে সাম্প্রদায়িকীকরণের লক্ষ্যে বিকৃতি চলতে থাকে। কবি নজরুলের বিখ্যাত কবিতা ‘চল্ চল্ চল্’-এর ‘নব নবীনের গাহিয়া গান, সজীব করিব মহাশ্মশান’ চরণের সংশোধন করে, লেখা হয় ‘সজীব করিব গোরস্থান’। জনপ্রিয় ছড়া, ‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি/ সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।’ পরিবর্তন করে করা হয়- ‘ফজরে উঠিয়া আমি দিলে দিলে বলি/ সারাদিন আমি যেন নেক হয়ে চলি।’

১৯৫৯ সালে সর্বদলীয় ছাত্র সংগঠনগুলোর একুশের সম্মিলিত অনুষ্ঠানে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সভাপতির ভাষণে এসব বিকৃতিসহ অন্যান্য তথাকথিত সংস্কার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ছাত্ররা সম্মিলিতভাবে প্রস্তাব গ্রহণ করেন যে, এসব তারা মেনে নেবেন না।

১৯৬১ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবার্ষিকী পালনকে কেন্দ্র করে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিবেশ দীর্ঘদিন পর আবার চাঙা হয়ে ওঠে। সামরিক শাসনের ফলে প্রকাশ্য রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দাবিকে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা চলে। ১৯৬১ সালের গোড়ার দিকে ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-আন্দোলনের পরোক্ষ প্রস্তুতি চলতে থাকে। ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রলীগ অন্যদের সঙ্গে নিয়ে ১৯৬১ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন ও রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠান পালন করে।

১৯৬১ সালের ডিসেম্বরেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান ও ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া এবং কমিউনিস্ট পার্টির পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মণি সিংহ ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য খোকা রায়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনায় আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ৬১’র ডিসেম্বরে পরবর্তী ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপনের লক্ষ্যে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মোহাম্মদ ফরহাদের উদ্যোগে ইস্কাটনের একটি বাড়িতে এক গোপন সভায় ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে শিক্ষার দাবিকে কেন্দ্র করে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

১৯৬২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শরীফ কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার হতে শুরু করে। ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রলীগ মিছিল করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খুললে ১৫ মার্চ থেকে অব্যাহতভাবে ধর্মঘট চলতে থাকে।

ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ডাকসু, বিভিন্ন হল ও কলেজ ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সাধারণ ছাত্রদের মতামতের প্রতিফলন ঘটিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ১৫ আগস্ট দেশব্যাপী ধর্মঘট এবং ১০ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।

১০ সেপ্টেম্বর সরকার ১৪৪ ধারা জারি করলে প্রতিবাদস্বরূপ ১৭ সেপ্টেম্বর হরতালের ডাক দেয়া হয়। ওইদিন সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার সমাবেশ শেষে কার্জন হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দেয় ব্যবসায়ী, কর্মচারী, রিকশা শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সংগঠন। জগন্নাথ কলেজে গুলি হয়েছে- এমন সংবাদ পেয়ে মিছিল নবাবপুরের দিকে যাত্রা শুরু করে।

হাইকোর্টের সামনে পুলিশি বাধায় মিছিলকারীরা আবদুল গনি রোডে অগ্রসর হয়। পুলিশ মিছিলের পেছন থেকে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও গুলিবর্ষণ করে। নবকুমার স্কুলের ছাত্র বাবুল, বাস কন্ডাক্টর গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুলিবিদ্ধ গৃহকর্মী ওয়াজিউল্লাহ পরদিন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। যশোর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে পুলিশের নির্যাতনে বহু ছাত্র আহত ও গ্রেপ্তার হন। টঙ্গীতে গুলিতে নিহত হন শ্রমিক সুন্দর আলী।

তিনদিন পূর্ব বাংলায় ব্যাপক ছাত্র-অভ্যুত্থান ঘটে। ছাত্র-অভ্যুত্থানের তৃতীয় দিনের মধ্যে সরকার শরীফ শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট স্থগিত এবং একই সঙ্গে ১৯৬৩ সালের স্নাতক পরীক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করার ঘোষণা দেয়। এ আন্দোলনের প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে বলা যায়, আইয়ুব খানের মতো তথাকথিত লৌহ মানবও ছাত্র-আন্দোলনের কাছে নতিস্বীকার করে শরীফ শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন স্থগিত করতে বাধ্য হন।

এর পর থেকে প্রতিবছর একটি সর্বজনীন, গণমুখী, বিজ্ঞানভিত্তিক একধারার শিক্ষাব্যবস্থার দাবিতে ছাত্র-আন্দোলন ও শহিদদের আত্মদান তথা শিক্ষার ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে ১৭ সেপ্টেম্বরকে ‘শিক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনের এই অর্জনের ধারাবাহিকতায় ১৯৬৬ সালে ৬ দফা, ’৬৯-এর ১১ দফার ভিত্তিতে গণ-অভ্যুত্থান ও আইয়ুব খানের পতন, ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে বাঙালি রাজনীতিকদের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হয়।

১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে ৩০ লাখ শহিদ আর ২ লাখ নারী ও শিশু নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে হিসাব মিলাতে বসলে বলতে হয় শিক্ষাক্ষেত্রে এখনও আমরা খুব একটা অগ্রসর হতে পারিনি।

শিক্ষানীতি প্রণয়নকালে প্রথম শিক্ষা কমিশন-প্রধান ড. কুদরাত-ই-খুদা বলেছিলেন- “শিক্ষা ব্যবস্থা একটি জাতির আশা আকাঙ্ক্ষা রূপায়ণের ও ভবিষ্যৎ সমাজ নির্মাণের হাতিয়ার। কাজেই দেশের কৃষক, শ্রমিক, মধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণির জনগণের জীবনে নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনের উপলব্ধি জাগানো, নানাবিধ সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা অর্জন এবং তাদের বাঞ্ছিত নতুন সমাজতান্ত্রিক সমাজ সৃষ্টির প্রেরণা সঞ্চারই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান দায়িত্ব ও লক্ষ্য। এই লক্ষ্য আমাদের সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রীয় মূলনীতিসমূহের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। শিক্ষার মূলনীতির সঙ্গে এই সাংবিধানিক নীতিমালার যোগ সাধন করে বাংলাদেশের শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলি নির্ধারণ করা যায়।”

সংবিধানে স্বীকৃত শিক্ষার অধিকার আমরা আজও পাইনি। ধনীক শ্রেণির কাছে শিক্ষা কেনাবেচার পণ্যে পরিণত হয়েছে। সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের বিষয়টি স্বীকৃত হলেও শিক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রে বাংলাচর্চা সীমিত হয়ে পড়েছে। তিন বছরের ডিগ্রি, চার বছরের অনার্স কোর্স চালু হয়েছে। বিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞানের বদলে বাণিজ্য শাখায় শিক্ষার্থী বাড়ছে।

বিগত বছরগুলোতে পাসের হার বৃদ্ধিতে উচ্চশিক্ষা অর্জনের বর্ধিত চাহিদা থেকে বেড়েছে ব্যবসায়িক স্বার্থে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা। অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ-এমবিএ কিংবা প্রযুক্তিগত কোর্স পড়ানোতেই সীমাবদ্ধ। এভাবে মৌলিক বিদ্যাচর্চা ব্যাহত হওয়ায় দেশে উচ্চতর গবেষণার সংখ্যা ও মান কমেছে।

রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ চেহারা বদলানো হয়েছে। হেফাজতের ১৩ দফা অনুযায়ী পাঠ্যসূচি পরিবর্তন করে শিক্ষার সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হয়েছে। গুণগত কোনো পরিবর্তন ব্যতিরেকেই মাদ্রাসা শিক্ষার প্রাপ্ত ডিগ্রিকে দেয়া হয়েছে সাধারণ শিক্ষার সমমান। মাদ্রাসা বাড়ানো ও উন্নয়নের জন্য সরকারি অর্থ বরাদ্দ বাড়ছে। সেভাবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলার জন্য সরকারি বরাদ্দ বাড়ছে না।

ছাত্র সংগঠনের নাম আগেরটা থাকলেও তারা ক্ষমতাসীন দলের লাঠিয়ালবাহিনীতে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক আন্দোলনের মধ্যে গণজাগরণ মঞ্চ, যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ, বর্ধিত বেতন-ফি কমানো, নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠা, বেসরকারি শিক্ষায় ভ্যাটবিরোধী আন্দোলন ও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করে করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক ছাত্রদের নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও তরুণেরা।

করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত শিক্ষাব্যবস্থা। প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, পরিচালনা কমিটি এবং মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জন্য ৬৩টি নির্দেশনা পালন করার শর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রম যথাযথভাবে শুরু করতে হলে এই খাতে সরকারের আরও মনোযোগ ও বিনিয়োগ দরকার। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসার আহ্বান নয় বরং শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও অর্থনৈতিকভাবে কী ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছে তা বিবেচনায় নিয়ে সমাধানও জরুরি।

করোনাকালে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরার মাধ্যমে সব শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিশ্চিত হোক এবারের শিক্ষা দিবসে এই হোক আমাদের সবার চাওয়া।

তথ্যসুত্র:

১. ড. মোহাম্মদ হাননান, বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস, আগামী প্রকাশনী, ১৯৯৪।

২. আবুল কাশেম, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন: প্রকৃতি ও পরিধি, ইতিহাস সমিতি পত্রিকা, সংখ্যা ২৩-২৪, ১৪০২-১৪০৪।

৩. বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।

লেখক: সাবেক ছাত্রনেতা ও কলাম লেখক।

এ বিভাগের আরো খবর