বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আফগান কাদের দখলে

  •    
  • ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৩:১৩

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই হামলাই শেষ নয়। আফগানিস্তান ছাড়লেও যুক্তরাষ্ট্র তার সুপ্ত স্বার্থসিদ্ধির ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না তা সহজেই অনুমেয়। অপরদিকে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ প্রায় এক হাজার কোটি মার্কিন ডলারের সিংহভাগই দেশের বাইরে। মার্কিন প্রশাসন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা আফগান সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো সম্পদই তালেবানের জন্য উন্মুক্ত করা হবে না। আইএমএফও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কবি ও দার্শনিক জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমির একটি ভাষ্য পাওয়া যায়, ‘স্রষ্টার কাছে পৌঁছানোর অজস্র পথ আছে। তার মাঝে আমি প্রেমকে বেছে নিলাম।’

কোনো বিখ্যাত লেখক, কবি বা শিল্পীকে জন্ম, কর্ম বা ভৌগোলিক বেড়াজালে সীমাবদ্ধ করা যায় না। তারপরও বলতে হয় স্রষ্টাকে পাওয়ার জন্য যিনি প্রেমকে বেছে নিয়েছিলেন তার জন্মভূমি আফগানিস্তানে বিরাজ করছে প্রেমহীন এক নিষ্ঠুর শাসন ব্যবস্থা। হত্যা- নৃশংস হামলা আর নারী ও শিশু নির্যাতন যেন সেখানে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

জাতিগত ও ভাষাগত বৈচিত্র্যসমৃদ্ধ দেশটিতে রয়েছে বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বসবাস। বিভিন্ন উপজাতি ও গোত্রে বিভক্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী হলো পশতু, শতকরা ৪২ ভাগ, যারা আফগান নামেই পরিচিত। তাজিক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ২৩ ভাগ। ১০ ভাগ হাজারা ও ৯ ভাগ উজবেক।

১৯৭৮ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ‘পিপল্‌স ডেমোক্রেটিক পার্টি অব আফগানিস্তান’ (পিডিপিএ) ক্ষমতায় আসে। পিডিপির পক্ষে সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরে আফগানিস্তানে সৈন্য প্রেরণ করে। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েতরা আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করার পর দেশটিতে আবার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের সহায়তায় আফগান মুজাহেদিনেরা ১৯৯২ সালে পিডিপিএ সরকারের পতন ঘটালেও মোজাহিদিনদের দলীয় কোন্দলে গৃহযুদ্ধ শেষ হয়নি।

তালেবান, পশতু ভাষায় যার অর্থ ছাত্র, তাদের উত্থান মূলত ১৯৯০-এর দশকে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে। এই আন্দোলনে প্রথমদিকে যুক্ত প্রায় সবার লেখাপড়া পাকিস্তানের মাদ্রাসায়। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও শরিকরা তাদের লালন করে। মুজাহিদীনদের অন্তর্দ্বন্দ্বের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৬ সালে তালেবানরা কাবুল দখল করে।

দুর্নীতি দমন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি করা সহ কিছু কাজ করলেও তালেবানরা কঠোর শরিয়া আইনে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মতো শাস্তি চালু করে। টেলিভিশন, সংগীত এবং সিনেমা নিষিদ্ধ করে। দশ বছরের বেশি বয়সি মেয়েদের লেখাপড়া ও ঘরের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি জোর করে মেয়েদের বাল্যবিবাহ দেয়া হয়। কোনো নারী কাজ করতে পারতেন না এবং বাইরে যেতে হলে পরিবারের একজন পুরুষ সদস্যকে বাধ্যতামূলকভাবে সঙ্গে রাখতে হতো।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি ২০০১ সালে তালেবানরা আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলে বিখ্যাত বামিয়ান বুদ্ধের মূর্তি ধ্বংস করে।

তালেবান জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদাকে আফগানিস্তানে আশ্রয় দেয়। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান আক্রমণ করে নভেম্বরে তালেবানদের পতন ঘটায়।

বিশ্ব অবাক হলেও মার্কিন নেতৃত্বে দখলদার ন্যাটো বাহিনী তদের ২০ বছরের ব্যর্থ অভিযান শেষে ২০২১-এর এই সময়ে যে নিজ দেশে ফিরে যাবে তা চূড়ান্ত হয়েছিল। ২০২০-এর ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় আফগানিস্তানের শাসক আশরাফ ঘানির সরকারকে বাইপাস করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পে ও তালেবানের শীর্ষনেতাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তির মাধ্যমে।

শুধু চূড়ান্ত ছিল না আফগান জনগোষ্ঠী ও বসবাসরত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ভোগান্তির ধরন। মানুষের যাবতীয় সুকুমার বৃত্তিকে গলা টিপে হত্যা করতে উদ্যত ভূমিকায় অবতীর্ণ ধর্মান্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী তালেবানের ২০২১-এর ১৫ আগস্টে আবারও আফগানিস্তান দখলের ফলে বিশ্ববাসী সেটাই প্রত্যক্ষ করল। ক্ষমতার এই নতুন পালাবদলে আপাত চূড়ান্ত হাসি যেই হাসুক তাতে আফগান জনগোষ্ঠীর যে কোনো লাভ হবে না, একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।

আফগানিস্তানের নতুন শাসক হিসেবে তালেবান নিজেদের সংহত করছে। অপরদিকে মস্কো থেকে বেইজিং, বার্লিন থেকে ইসলামাবাদ এমনকি ওয়াশিংটন থেকে দিল্লি পর্যন্ত প্রায় সবাই নতুন এই বাস্তবতায় নিজেদের ভূমিকা এবং কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

গত ২০ বছরে পাকিস্তানের সঙ্গে তালেবানের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। তালেবান পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমের অনেক অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করত। পাকিস্তানবিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠী তেহরিকে তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উত্থান নিয়ে পাকিস্তান যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।

পাকিস্তান চায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের ওপর নির্ভরশীল তালেবান আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে একটি বাণিজ্য করিডোর তৈরির সুবিধা করে দেবে।

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফগানিস্তানে ৪০০টি অবকাঠামো প্রকল্পে ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে ভারত। ইরান থেকে আফগানিস্তান হয়ে ভারতে গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইন প্রকল্পে ভারতের বিশাল আকারের বিনিয়োগ বর্তমানে অনেকটাই অনিশ্চিত। কাশ্মীর ইস্যুতে সেখানকার ইসলামিক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তালেবান ও আল কায়েদার নতুন সম্পর্ক নিয়ে সতর্ক ভারত।

বাণিজ্যিক স্বার্থের পাশাপাশি ভৌগোলিক স্বার্থ বিবেচনায় রাশিয়ার উদ্যোগে সম্প্রতি আফগান সীমান্তে তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চীনের জন্য আফগানিস্তানের বিপুল খনিজ সম্পদে বিনিয়োগ করার সুযোগ অবারিত হয়েছে। পাশাপাশি উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বেইজিং-বিরোধী উগ্র ইসলামপন্থি সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে এমন সম্ভাবনা নিয়ে চীনের গভীর উদ্বেগও রয়েছে।

আফগানিস্তান থেকে শরণার্থীর নতুন ঢেউ প্রশমনও পশ্চিমা দেশগুলোর অন্যতম একটি লক্ষ্য।

যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র দেশগুলোর ওপর হামলা চালাতে কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী যেন আফগানিস্তানকে ব্যবহার না করতে পারে তালেবান তা নিশ্চিত করবে।

স্থানীয় জনগোষ্ঠী আফগানিস্তানের ১০২তম স্বাধীনতা দিবস ১৯ আগস্টে জালালাবাদ শহরে তালেবানের পতাকা সরিয়ে সাবেক আফগান সরকারের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রথম প্রতিরোধের সূচনা করে।

৩৪টি প্রদেশের ৩৩টি দখল করলেও তালেবানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে আফগানিস্তানের শেষপ্রান্তের হিন্দুকুশ পর্বতমালায় অবস্থিত প্রদেশ, পাঞ্জশির। পাঞ্জশিরে প্রয়াত মোজাহিদিন কমান্ডার শাহ আহমদ মাসউদের ছেলে আহমদ মাসউদের নেতৃত্বে তালেবান বিরোধীরা একত্রিত হয়ে তীব্র লড়াই করছে। পাঞ্জশির যে লড়াইয়ের ভ্রূণ রচনা করল তা আপাত পরাজিত হলেও অদূর ভবিষ্যতে হয়ত মহিরুহ হয়ে উঠলেও উঠতে পারে।

তালেবানের নারীবিরোধী অবস্থানের প্রতিবাদে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে নিয়মিত বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করছেন আফগান নারীরা। কাবুলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরে হামলায় ইসলামিক স্টেট গ্রুপের স্থানীয় শাখা-ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান প্রদেশের (আইএসকে) দায় স্বীকারে আফগানিস্তানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় বিদ্যমান বিভিন্ন বিদ্রোহী এবং উগ্র গোষ্ঠীগুলোর শক্তির ভারসাম্যে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে।

পাল্টা জবাবে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়ে ২৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই হামলাই শেষ নয়। আফগানিস্তান ছাড়লেও যুক্তরাষ্ট্র তার সুপ্ত স্বার্থসিদ্ধির ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না তা সহজেই অনুমেয়।

অপরদিকে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ প্রায় এক হাজার কোটি মার্কিন ডলারের সিংহভাগই দেশের বাইরে। মার্কিন প্রশাসন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা আফগান সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো সম্পদই তালেবানের জন্য উন্মুক্ত করা হবে না। আইএমএফও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সামগ্রিক বিবেচনায় মনে হচ্ছে এর আগেরবার যতটা নির্বিঘ্নে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে পেরেছিল তালেবান বা তখন ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী দেশি-বিদেশি শক্তি যত কম ছিল এবার পরিস্থিতিটা ততটা সুখকর না-ও হতে পারে। সেজন্যেই তাদের দৌড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে বিভিন্ন পরাশক্তির সমর্থন আদায়ে।

এনডিটিভি ও জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে, ২ সেপ্টেম্বর ইতালিয়ান এক সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তালেবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বন্দর, রেলপথ, সড়ক ও শিল্প পার্কের বিশাল নেটওয়ার্কের চীনের ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ প্রকল্পের মাধ্যমে আফ্রিকা, এশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী। আফগানিস্তানে বিনিয়োগ ও পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তুত বেইজিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে সমৃদ্ধ তামার খনি পুনরায় চালু ও আধুনিকীকরণের মাধ্যমে বিশ্ববাজারে পণ্য পৌঁছাতে সহায়তা করতে পারে বলে জাবিউল্লাহ যুক্ত করেন।

যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি দেশে স্থিতিশীল সরকার গড়তে আবশ্যকীয়ভাবে প্রয়োজন নিজ জনগোষ্ঠীর ঐক্য। সেদিকে নজর না দিয়ে তালেবান শক্তি অন্যান্য স্বার্থান্বেষী বহিঃশক্তি ও গোষ্ঠীর ওপর নির্ভর করছে। স্থিতিশীল সরকার গঠনের মাধ্যমে অন্যান্য বহিঃশক্তির স্বার্থ সংরক্ষণ করতে না পারলে তালেবানরা যতই সহায়তা কিংবা বিনিয়োগ প্রত্যাশা করুক না কেন কোনোটাতেই পুরোপুরি সফল হবে বলে মনে হচ্ছে না।

সেক্ষেত্রে মানবিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করে নিজেদের ক্ষমতা সুসংহত করাও তাদের পক্ষে কঠিন কিংবা অসম্ভব হয়ে পড়বে। জনসাধারণের স্বার্থ সংরক্ষণ ও তাদের সমর্থন আদায়ের গুরুত্ব এবং প্রকৃত জনরায় নিয়ে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর এই সময়ে প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠনের মূল্য যদি তালেবানরা আদৌ বুঝতে পারে ও সেই অনুযায়ী জনকল্যাণমূলক নীতি প্রণয়ন করতে পারে তবেই একটি স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠা হতে পারে।

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ বা দখল প্রকৃতই কার হাতে যাবে তা দেখার জন্য আমাদের হয়ত আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। বেশি হিসাব-নিকাশ না করেও বলা যায়, আফগান জনগণের অধিকার রক্ষার কথা বলে বিগত সময়ে অভ্যন্তরীণ এবং বহিঃশত্রুর নানা আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণের ফলে আফগানিস্তানে যে দখলদারিত্ব, দুঃশাসন ও দুর্বৃত্তায়ন আর বিপরীতে শরীয়া আইন কায়েমের উদ্দেশ্যে মোজাহিদিন আর তালেবানের নামে যারা ক্ষমতায় এসেছেন তারা কেউই যে প্রকৃত বন্ধু নন অধিকাংশ জনগোষ্ঠী তা ঠিকই বুঝতে পেরেছে।

জাতি, গোষ্ঠী, লিঙ্গ, গোত্র, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি নির্বিশেষে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সব আফগান নাগরিকের জাতীয় জাগরণই পারে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সঠিক পথের সন্ধান দিতে। জনগণের সেই সামষ্টিক জাগরণের আগে অমর রুমির আফগানিস্তানে মুষ্টিমেয় তালেবান যোদ্ধারা অস্ত্রের ঝনঝনানিতে কতকাল নির্বিঘ্নে শাসন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে সেটাও দেখার বিষয়।

লেখক: প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।

এ বিভাগের আরো খবর