× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
Even if the price goes up the banks shares cannot hold
google_news print-icon

দাম বাড়লেও ধরে রাখতে পারে না ব্যাংকের শেয়ার

দাম-বাড়লেও-ধরে-রাখতে-পারে-না-ব্যাংকের-শেয়ার
ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। ছবি: নিউজবাংলা
এক বছরে সূচক বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি, লেনদেন বেড়েছে চার গুণের বেশি, আর প্রতিদিনই এখন সূচক আর বাজার মূলধনের রেকর্ড হচ্ছে। এর মধ্যেও ব্যাংকের শেয়ারের দর তলানিতে থাকা নিয়ে আলোচনা চলছেই। লভ্যাংশের ইতিহাস, আগামীতে আরও ভালো লভ্যাংশের সম্ভাবনাসহ নানা ইতিবাচকতার মধ্যেও বিনিয়োগকারীরা সেভাবে আকৃষ্ট হচ্ছে না কেন, তা নিয়ে কথা হচ্ছে। শেয়ার প্রতি আয়, সম্পদের বিবেচনায় এই শেয়ারগুলোর সিংহভাগই অবমূল্যায়িত এ বিষয়ে কোনো সংশয় নেই বাজার বিশ্লেষকদের মধ্যে।

পুঁজিবাজারে উত্থানের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজার মূলধনের ব্যাংক খাতের শেয়ারের দাম বাড়েনি এমন নয়। তবে কোম্পানিগুলো যে লভ্যাংশ দিয়েছে এবং চলতি বছর যে হারে তারা আয় করেছে, শেয়ার প্রতি যে সম্পদ মূল্য আছে, এসবের বিবেচনায় শেয়ার দর অবমূল্যায়িত বলেই মত দিয়ে থাকেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা।

মাঝেমধ্যে ব্যাংকগুলোর শেয়ার দর দল বেঁধে বাড়ে, কিন্তু তা ধরে রাখা যায় না। যেসব গত ২৭ মে এক দিনে সবগুলো ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়ে যে অবস্থানে পৌঁছে, সেখান থেকে কমে লেনদেন হচ্ছে ২০টি ব্যাংকের দর। আর বেড়েছে ১০টির। একটির দর অপরিবর্তিত।

অবশ্য এই সময়ে ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ সমন্বয় হয়েছে। এবার শেয়ার দরের তুলনায় অভাবনীয় নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন বেশিরভাগ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা। সঙ্গে আবার বোনাস শেয়ারও দিয়েছে কোনো কোনো ব্যাংক।

বোনাস হিসেবে পাওয়া শেয়ারের সঙ্গে সমন্বয় করে শেয়ার দরও কমে। তবে নগদ লভ্যাংশ সমন্বয় হয় না। তার পরেও বিশেষ করে ব্যাংক ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে দর সমন্বয় হতে দেখা যায়।

গত এক বছরে পুঁজিবাজারে উল্লম্ফনের প্রভাব কম ব্যাংক খাতে

বাজারে প্রথমে বিমা খাত, পরে বস্ত্র খাত ব্যাপকভাবে চাঙা হয়েছে। শেয়ার দর দ্বিগুণ, তিনগুণ, চার গুণ, ছয় গুণ এমনকি কোনো কোনো কোম্পানির ১০ গুণ হয়েছে এই সময়ে।

মাত্রাতিরিক্ত দর বাড়ারে পেছনে গুজব, আরও দাম বাড়বে আশায় ক্রমাগত কিনতে থাকা এসব দায়ী বলে ধারণা করা হয়। তার পরেও সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দরই অবমূল্যায়িত ছিল বছরের পর বছর আর এই দাম বাড়াটা বিনিয়োগকারীদের জন্য তো বটেই, দেশের আর্থিক খাতের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

চাঙা বা স্থিতিশীল পুঁজিবাজার একটি দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও ২০১০ সালের মহাধসের পর এই বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি।

২০১২ সালের দিকে একবার আর ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের দিকে দ্বিতীয় বার কিছুদিন বাজারে স্থিতিশীলতা থাকলেও কিছু দুর্বল কোম্পানি আইপিওতে এসে টাকা তুলে কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের শুরু পর্যন্ত আবার দেখা দেয় মন্দাভাব।

এরপর ২০২০ সালের মার্চে আসে করোনার আঘাত। শুরু হয় আতঙ্ক। শেয়ার দরে নামে আবার ধস। এর মধ্যে সাধারণ ছুটিতে বাজার বন্ধ রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

দাম বাড়লেও ধরে রাখতে পারে না ব্যাংকের শেয়ার
সবচেয়ে বেশি শেয়ার সংখ্যা যেসব ব্যাংকের, বিশ্লেষকদের ধারণা, এই বিপুল পরিমাণ শেয়ারের জন্যেই দাম ধরে রাখতে পারে না কোম্পানিগুলো

আর সরকারও নিয়ন্ত্রক সংস্থায় আনে নতুন মুখ। নতুন রক্তে পুঁজিবাজারেও তৈরি হয় আস্থা। জুলাইয়ে পুঁজিবাজার আবার চালু হওয়ার পর বন্ধ কোম্পানিতে উৎপাদন চালুর চেষ্টা, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগসহ নানা কারণে আবার বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ছে।

এর ফল দেখা যাচ্ছে বাজার মূলধন, সূচক আর লেনদেনে। এই এক বছরে সূচক বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি, লেনদেন বেড়েছে চার গুণের বেশি, আর প্রতিদিনই এখন সূচক আর বাজার মূলধনের রেকর্ড হচ্ছে।

এর মধ্যেও ব্যাংকের শেয়ারদর নিয়ে আলোচনা চলছেই। লভ্যাংশের ইতিহাস, আগামীতে আরও ভালো লভ্যাংশের সম্ভাবনাসহ নানা ইতিবাচকতার মধ্যেও বিনিয়োগকারীরা সেভাবে আকৃষ্ট হচ্ছে না কেন, তা নিয়ে কথা হচ্ছে।

এখানে একটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক আছে। সেটা হলো শেয়ার দর আদৌ ব্যক্তি শ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওপর নির্ভর করে নাকি প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীরাই এর নিয়ন্ত্রক।

বিপুল পরিমাণ পরিশোধিত মূলধন ও কোটি কোটি শেয়ার বিভক্ত ব্যাংকের দাম যখনই কিছুটা বাড়ে, দেখা দেয় বিক্রয় চাপ। অর্থাৎ দাম বাড়লেও সেটা ধরে রাখা যাবে না, এ বিষয়ে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক-দুই বিনিয়োগকারীদের মধ্যেই সংশয় থাকে। সে কারণেই অল্প মুনাফায় তারা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন।

২০১০ সালের মহাধসের বহু বছর পর গত ২৭ মে ব্যাংক খাতের শেয়ারে একটি দারুণ দিন আসে। সেদিন সাতটি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায়। আরও চারটির দর এই সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে কিছুটা কমেছে। আরও তিনটির দর সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি গিয়ে কিছুটা কমে।

সেদিনের পর ধারণা করা হচ্ছিল, এই খাতটি চাঙা হবে কি না। কিন্তু হয়নি।

পরদিনও লেনদেনের শুরুতেই ব্যাংকের শেয়ারের দর বাড়তে থাকে। কিন্তু দিনের শেষ ভাগে আবার কমতে থাকে। কমতে কমতে যতটুকু দাম বেড়েছিল দুই দিনে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার চেয়ে নিচে নেমে আসে। অবশ্য হাতে গোনা দুই একটি ব্যাংকের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।

যেমন নতুন তালিকাভুক্ত এনআরবিসির দাম গত চার মাসে প্রায় চারগুণ পর্যন্ত হয়েছে। পরে অবশ্য কমেছে। আর দুই মাসে ডাচ বাংলার শেয়ার দরও ৫০ শতাংশের মতো বেড়েছে। প্রায় কাছাকাছি বা কিছুটা বেশিও বেশ বেড়েছে প্রাইম, আইএফআইসি, যমুনা ব্যাংকের শেয়ার দর।

কিন্তু ভালো লভ্যাংশ দেয়া এবং চলতি বছর গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি মুনাফা করা আরও অন্যান্য ব্যাংকের শেয়ার দর বৃদ্ধির হার খুব একটা বেশি নয়।

মাঝেমধ্যে অবশ্য দাম বৃদ্ধির প্রবণতা তৈরি হতে দেখা গেছে, কিন্তু পরক্ষণেই ক্রয়চাপে তা স্থায়ী হয়নি।

দাম বাড়লেও ধরে রাখতে পারে না ব্যাংকের শেয়ার
১০০ কোটির বেশি শেয়ার আরও যেসব ব্যাংকে

মঙ্গলবারও গেছে এমন একটি দিন।

যেমন এবি ব্যাংকের শেয়ার দর ১৪ টাকা ৭০ পয়সায় উঠেও শেষ পর্যন্ত তা ক্লোজ হয় ১৪ টাকা ২০ পয়সায়।

ডাচ বাংলার শেয়ার দর ৮৭ টাকা ৭০ পয়সা উঠেও লেনদেন শেষ করে ৮৫ টাকা ৯০ পয়সায়।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর ১৬ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত উঠে দিন শেষে ৭০ পয়সা কমে ১৫ টাকা ৮০ পয়সায় শেষ হয় লেনদেন।

এনআরবিসির দর ৩০ টাকায় উঠেও দিন শেষ করে ২৯ টাকা ২০ পয়সায়।

ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর ১৪ টাকায় উঠেও তা দিন শেষ করে ১৩ টাকা ৫০ পয়সায়।

প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার দর ২৩ টাকা ২০ পয়সায় উঠেও দিন শেষ করে ২২ টাকা ৭০ পয়সায়।

রূপালী ব্যাংকের শেয়ার দর ৩৩ টাকা ৫০ পয়সা উঠেও দিন শেষ করে ৩২ টাকা ৬০ পয়সায়।

তরে বাড়তি দাম ধরে রাখতে পেরেছে আইএফআইসি ব্যাংক। ১৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৪ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত উঠে সেখান থেকে ২০ পয়সা কমে শেষ করেছে লেনদেন।

বাকি ব্যাংকগুলোর দাম বৃদ্ধির হার খুব একটা বেশি ছিল না।

২৭ মের দরের নিচে এখনও যেসব ব্যাংক

বহু বছর পর ব্যাংক খাতে ঝলমলে দিকে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর যতটা উঠেছিল, এখনও সেই পর্যায়ে উঠতে পারেনি।

যেমন এবি ব্যাংকের শেয়ার দর সেদিন উঠেছিল ১৫ টাকা ৭০ পয়সা। কিন্তু এখন তা ১৪ টাকা ২০ পয়সা।

আল আরাফাহ ব্যাংকের শেয়ার দর সেদিন ছিল ২৫ টাকা। এখন তা ২৩ টাকা।

এই ব্যাংকটি থেকে বিনিয়োগকারীরা দেড় টাকা নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন।

সেদিন ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ৪৯ টাকা ৯০ পয়সা, এখন তা ৪৯ টাকা ৮০ পয়সা।

ঢাকা ব্যাংকের শেয়ার দর সেদিন ছিল ১৬ টাকা ৭০ পয়সা, এখন তা ১৪ টাকা ৬০ পয়সা।

এক্সিম ব্যাংকের সেদিন শেয়ার দর ছিল ১৩ টাকা ২০ পয়সা, এখন তা ১২ টাকা ১০ পয়সা।

দাম বাড়লেও ধরে রাখতে পারে না ব্যাংকের শেয়ার
গত তিন বছর ধরে ব্যাংকে নগদ লভ্যাংশ দেয়ার প্রবণতা বাড়ছে। ফলে শেয়ার বৃদ্ধির হার কিছুটা হলেও কমছে

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সেদিন দাম ছিল ১২ টাকা ৩০ পয়সা, এখন দাম ১০ টাকা ৭০ পয়সা।

সেদিন ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ৩০ টাকা ১০ পয়সা, এখন দাম ২৮ টাকা ৯০ পয়সা।

সেদিন এমটিবির শেয়ার দর ছিল ২৩ টাকা ৯০ পয়সা, এখন দাম ২১ টাকা।

সেদিন এনবিএলের শেয়ার দর ছিল ৮ টাকা ৬০ পয়সা, এখন ৮ টাকা ১০ পয়সা।

সেদিন এনসিসি ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ১৮ টাকা ৫০ পয়সা, এখন দাম ১৫ টাকা ৫০ পয়সা।

সেদিন এনআরবিসির শেয়ার দর ছিল ৩৬ টাকা ৩০ পয়সা, এখন দাম ২৯ টাকা ২০ পয়সা।

সেদিন ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ১৪ টাকা ৩০ পয়সা, এখন দাম ১৩ টাকা ৫০ পয়সা।

সেদিন প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ২৬ টাকা ১০ পয়সা, এখন দাম ২২ টাকা ৭০ পয়সা।

সেদিন পূবালী ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ২৫ টাকা ৮০ পয়সা, এখন দাম ২৫ টাকা ২০ পয়সা।

সেদিন শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ২১ টাকা ৪০ পয়সা, এখন দাম ২০ টাকা ৭০ পয়সা।

সেদিন এসআইবিএলের শেয়ার দর ছিল ১৫ টাকা, এখন দাম ১৩ টাকা ৭০ পয়সা।

সেদিন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ১০ টাকা ৪০ পয়সা, এখন দাম ৯ টাকা ৫০ পয়সা।

সেদিন ইউসিবির শেয়ার দর ছিল ১৮ টাকা ৯০ পয়সা, এখন দাম ১৬ টাকা ৫০ পয়সা।

সেদিন উত্তরা ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ২৪ টাকা, এখন তা ২৪ টাকা ৮০ পয়সা।

২৭ মের তুলনায় দর বেশি যেসব ব্যাংকের

তবে বেশ কিছু ব্যাংকের শেয়ার দর এখন সেই ২৭ মের তুলনায় বেড়েছে।

যেমন, সেদিন ব্যাংক এশিয়ার শেয়ার দর ছিল ১৯ টাকা ২০ পয়সা, এখন দাম ২০ টাকা।

সেদিন সিটি ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ২৭ টাকা ৩০ পয়সা, এখন তা ২৭ টাকা ৯০ পয়সা।

এই সময়ে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ডাচ-বাংলার শেয়ার দর। সেদিন ব্যাংকটির দর ছিল ৬৩ টাকা। তা বেড়ে এখন হয়েছে ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা।

ইবিএলের শেয়ার দর সেদিন ছিল ৩৫ টাকা ৭০ পয়সা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা ৯০ পয়সা।

আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারদর সেদিন ছিল ৪ টাকা ১০ পয়সা। বর্তমান দাম ৫ টাকা ১০ পয়সা।

সেদিন আইএফআইসির শেয়ার দর ছিল ১৩ টাকা ৬০ পয়সা। বর্তমান দর ১৪ টাকা ৬০ পয়সা।

সেদিন যমুনা ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ২১ টাকা ৩০ পয়সা। বর্তমান দর ২১ টাকা ৭০ পয়সা।

সেদিন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ১৪ টাকা ১০ পয়সা, এখন তা ১৫ টাকা ৮০ পয়সা।

সেদিন রূপালী ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ৩১ টাকা ৪০ পয়সা, এখন তা ৩২ টাকা ৬০ পয়সা।

সেদিন সাউথইস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ১৭ টাকা, এখন তা ১৭ টাকা ১০ পয়সা।

সেদিন ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ৩৪ টাকা ৮০ পয়সা, এখন তা ৩৫ টাকা ২০ পয়সা।

সেদিন প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ১৪ টাকা ১০ পয়সা, এখনও একই দামে আছে।

কেন দর ধরে রাখা যায় না

ব্যাংকের শেয়ারের এই মন্থর গতির বিষয়েও বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম নিউজবাংলার সঙ্গে এক আলোচনায় বলেছিলেন, বিমা বা অন্য খাতের শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে সেসব কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা কম। বিনিয়োগকারীরা অংশ বিনিয়োগ করলেই শেয়ার দর বেড়ে যায়। কিন্ত ব্যাংকের শেয়ারের শেয়ার সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় স্বাভাবিক লেনদেনে দর বৃদ্ধির পরিমাণ নজরে আসে না।

দাম বাড়লেও ধরে রাখতে পারে না ব্যাংকের শেয়ার
২০২০ সালে ব্যাংকগুলো লভ্যাংশ হিসেবে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা নগদে বিতরণ করেছে। তার পরেও ব্যাংকের শেয়ারে আগ্রহ কম

পুঁজিবাজারে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি শেয়ার আছে ন্যাশনাল ব্যাংকের ৩০৬ কোটি ৬৪ লাখ, যা পুঁজিবাজারের একক কোনো খাতের সব শেয়ার মিলিয়ে হবে না।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্কর্তা দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংকের শেয়ারের দর বৃদ্ধি না পাওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে এ খাতের শেয়ারের সংখ্যা অনেক বেশি। যদি কোনো দিন ঢালাওভাবে শুধু ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগ করা হয় তাতেও এ খাতের বড় কোনো উত্থান দেখা প্রায় অসম্ভব।’

তিনি বলেন, `ব্যাংকগুলো ২০১০ সালের পর বোনাস শেয়ার দিয়ে যেভাবে পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি করেছে তার সবশেষ ফলাফল হচ্ছে এটি। যার কারণে এখন পুঁজিবাজারের সবচেয়ে মৌল বা ফান্ডামেন্টাল খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন না বিনিয়োগকারীরা।’

দেবব্রত বলেন, ‘মূলত বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ প্রদানের সময় বিনিয়োগ আগ্রহী হয়ে থাকেন। বাকি সময়টিতে ডে ট্রেডিং বেশি হয়ে থাকে ব্যাংকে। ফলে শেয়ার দর অল্প কিছু বাড়লেই বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। অন্যান্য খাতের মতো এক মাস বা দুই মাসের জন্য শেয়ার ধরে রাখলে অনেকটাই পরিবর্তন হতো ব্যাংকের শেয়ার দরের।’

যে তিনটি ব্যাংকের শেয়ার সবচেয়ে বেশি

সবচেয়ে বেশি শেয়ার সংখ্যা ন্যাশনাল ব্যাংকের, ৩০৬ কোটি ৬৪ লাখ ১৮ হাজার ৬৩৯টি। এর ৫ শতাংশ হিসেবে ১৫ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার ৯৩১টি শেয়ার যোগ হবে এই ব্যাংকে

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক শেয়ার আছে আইএফআইসি ব্যাংকের ১৭০ কোটি ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬১টি।

তৃতীয় সর্বোচ্চ শেয়ার সংখ্যা ইসলামী ব্যাংকের। এই ব্যাংকটি মোট ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮টি শেয়ারে বিভক্ত।

দাম বাড়লেও ধরে রাখতে পারে না ব্যাংকের শেয়ার
শেয়ার সংখ্যা সবচেয়ে কম যেসব ব্যাংকের

শত কোটির বেশি শেয়ার আরও যেসব ব্যাংকে

এক্সিম ব্যাংকের শেয়ার সংখ্যা ১৪৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৫টি।

ব্র্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার সংখ্যা ১৩৯ কোটি ২১ লাখ ৭২ হাজার ৩৯৯টি

ইউনাইটেড কমর্শিয়াল বা ইউসিবির শেয়ার সংখ্যা ১২১ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার ৯০৫টি। এর সঙ্গে ঘোষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ হিসেবে যোগ হবে ৬ কোটি ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৪৫টি।

সাউথ ইস্ট ব্যাংকের শেয়ার সংখ্যা ১১৮ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার ৫২২টি।

ব্যাংক এশিয়ার শেয়ার সংখ্যা ১১৬ কোটি ৫৯ লাখ ৬ হাজার ৮৬০টি।

প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার সংখ্যা ১১৩ কোটি ২২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৭৭ঠি

সিটি ব্যাংকের শেয়ার সংখ্যা ১০৬ কোটি ৭২ লাখ ৪ হাজার ৯৯৪টি।

আল আরাফাহ ইসলাম ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ১০৬ কোটি ৪৯ লাখ ২ হাজার ১৮৫টি।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ১০৪ কোটি ৩০ লাখ ৭০ হাজার ৭২৭টি

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ১০৩ কোটি ৩২ লাখ ১৭ হাজার ২৮টি।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের শেয়ার সংখ্যা ১০৩ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার ৫৫৮টি।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার সংখ্যা ১০২ কোটি ৯০ লাখ ৯৬ হাজার ৯৫২টি।

পূবালী ব্যাংকের শেয়ার সংখ্যা ১০২ কোটি ৮২ লাখ ৯৪ হাজার ২১৯টি।

শত কোটির কাছাকাছি শেয়ার যেসব ব্যাংকের

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার সংখ্যা ৯৯ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ২১১টি।

স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার সংখ্যা ৯৮ কোটি ৪৯ লাখ ৮ হাজার ৮৪৪টি। এর সঙ্গে ২০২০ সালের জন্য লভ্যাংশ হিসেবে ৪ কোটি ৯২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৪২টি শেয়ার যুক্ত হবে।

ইস্টার্ন ব্যাংকের শেয়ার সংখ্যা ৯৫ কোটি ৩৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৬৮টি।

ঢাকা ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৪ কোটি ৯৬ লাখ ২৪ হাজার ৭৫৪টি।

এনসিসি ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৪ কোটি ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৮১টি। এই ব্যাংকটির সাড়ে সাত শতাংশ বোনাস হিসেবে যোগ হবে ৭ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮৬টি।

ওয়ান ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৩ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার ৪৫৬টি।

তুলনামূলক কম শেয়ার যেসব ব্যাংকের

এবি ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ৮৩ কোটি ৫৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭১টি।

মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার সংখ্যা ৮১ কোটি ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৬৬০টি

যমুনা ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ৭৪ কোটি ৯২ লাখ ২৫ হাজার ৬৫০টি।

এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক বা এনআরবিসির শেয়ার সংখ্যা ৭৩ কোটি ৭৬ লাখ ৪২ হাজার ৮৪৮টি।

আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ২ হাজার ৩০০টি।

ট্রাস্ট ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ৬৪ কোটি ৩২ লাখ ৯৫ হাজার ৯৭৯টি। এই শেয়ারের সঙ্গে লভ্যাংশ হিসেবে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ২৯ হাজার ৫৯৭টি শেয়ার যুক্ত হবে।

ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ৬৩ কোটি ২৫ লাখ।

উত্তরা ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ৫৬ কোটি ৪৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৯টি।

রূপালী ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ৪১ কোটি ৪১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৩৩টি। এই শেয়ারের সঙ্গে ১০ শতাংশ হিসেবে আরও ৪ কোটি ১৪ লাখ ১৬ হাজার ৮৬৩টি যোগ হবে। কারণ, ব্যাংকটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এই শেয়ার এখনও যোগ হয়নি।

আরও পড়ুন:
আয় বাড়ল ব্যাংক এশিয়ারও
আয় দ্বিগুণের বেশি বাড়ল ব্র্যাক ব্যাংকেরও
সাউথইস্ট ব্যাংক: এক বছরের আয়ের দেড় গুণ ৬ মাসে
ব্যাংকে সুদিনের হাওয়া লাগেনি এমটিবিতে
চমক প্রিমিয়ার ব্যাংকেরও

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
Transaction is going on in the capital market of Dhaka Chittagong

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
At the end of the holidays the capital market starts with the big ups

ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
In the first hour of the capital market the rise in the index has risen to most companies

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।

দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The government will form a committee to find a long term financing way from the capital market

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।

সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে