× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
ব্যাংকের শেয়ারে এমন দিন আসেনি বহু বছর
google_news print-icon

ব্যাংকের শেয়ারে এমন দিন আসেনি বহু বছর

ব্যাংকের-শেয়ারে-এমন-দিন-আসেনি-বহু-বছর
৩৯ মাসের মধ্যে পুঁজিবাজার সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠার দিন ব্যাংক খাতে ব্যাপক উত্থান দেখা গেছে। ছবি: নিউজবাংলা
সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ দাম বেড়ে যায় এবি ও ওয়ান ব্যাংকের। তখনই বোঝা যাচ্ছিল এই খাত আবার ভালো করবে। পরে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, যমুনা, মার্কেন্টাইল, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের দামও বাড়ে সর্বোচ্চ পরিমাণে।

সাতটি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায়। আরও চারটির দর এই সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে কিছুটা কমেছে। আরও তিনটির দর সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি গিয়ে কিছুটা কমেছে।

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে মহাধসের পরে ব্যাংক খাতে নানা সময় কিছু সময়ের মধ্যে দর বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেলেও এমন অবস্থা এর আগে দেখা যায়নি।

বৃহস্পতিবার ব্যাংকের শেয়ারের দর বৃদ্ধির ওপর ভর করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক এক দিনেই বাড়ল ১০১ পয়েন্ট। লেনদেন ১০ বছরের রেকর্ড ছুঁইছুঁই।

গত ১৭ জানুয়ারি ২ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকার পরে আজ হাতবদল হলো ২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকার শেয়ার। ২০১০ সালে মহাধসের পর গত বছরের ২৮ জুন আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলেও সেটির কারণ ছিল ভিন্ন। জেএসকেবিডির সব শেয়ার সেদিন কিনে নেয় ইউনিলিভার বাংলাদেশ। ব্লক মার্কেটে হাতবদল হওয়া সেই শেয়ার সামগ্রিকভাবে লেনদেন বেশি দেখিয়েছে।

সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ দাম বেড়ে যায় এবি ও ওয়ান ব্যাংকের। তখনই বোঝা যাচ্ছিল এই খাত আবার ভালো করবে।

ব্যাংকের শেয়ারে এমন দিন আসেনি বহু বছর
গত এক মাসে এবি ব্যাংকের দাম বাড়ার চিত্র

মহামারির বছরে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা কমে যাওয়ার খবর আসার পর চলতি বছর লভ্যাংশ ঘোষণার মৌসুমে এই খাতের শেয়ার দর আরও কমে যেতে থাকে। এমনিতেই অবমূল্যায়িত এই খাতের শেয়ার দর হারানোর প্রভাবে সূচকও কমে যায় ব্যাপক হারে।

তবে পরে দেখা যায়, ব্যাংকের চূড়ান্ত মুনাফা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বেড়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলো যে হারে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেটি আমানতের সুদহারের চেয়ে বেশি।

গত পাঁচ বছর ধরেই বিভিন্ন ব্যাংক যে হারে নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করছে, তাতে ব্যাংকে এফডিআর করার চেয়ে শেয়ার কিনে রেখেই বেশি টাকা পাওয়া গেছে।

৩১টি ব্যাংকের মধ্যে যে ২৭টি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তাদের মধ্যে ২৩টি এবার দুই হাজার তিন শ কোটি টাকারও বেশি নগদে বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে। তিনটি ব্যাংক কেবল বোনাস লভ্যাংশ দেবে আর একটি দেবে না। আরও চারটির লভ্যাংশ ঘোষণা বাকি আছে।

আবার চলতি বছর এখন পর্যন্ত যেসব ব্যাংক প্রথম প্রান্তিক ঘোষণা করেছে, তাতে দেখা যায়, এবার ব্যাংকগুলো আরও বেশি মুনাফা করেছে। আর এই পরিপ্রেক্ষিতে ৩ মে থেকে কিছু কিছু ব্যাংকের দাম বাড়তে থাকে, যদিও দর বৃদ্ধির হার এত বেশি ছিল না।

পরদিন আরও আড়মোড়া ভাঙার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। সেদিন ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে দর বাড়ে ১৫টির, কমে ছয়টির। বাকিগুলো অপরিবর্তিত থাকে।

১৭ মে আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে ব্যাংক খাত দীর্ঘদিনের ঘুম ভেঙে জেগে উঠেছে। সেদিন ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে দর বাড়ে ২৭টির।

১৯ মে ঘটে আরও বিস্ময়কর ঘটনা। তালিকাভুক্ত সব কটি ব্যাংকের দর বাড়ে সেদিন।

ব্যাংকের শেয়ারে এমন দিন আসেনি বহু বছর

ব্যাংকের শেয়ারে এমন দিন আসেনি বহু বছর
বৃহস্পতিবার ব্যাংক খাতে লেনদেনের চিত্র

ব্যাংকের দর বৃদ্ধির এই সময়ে সবচেয়ে বেশি উত্থান হয়েছে এনআরবিসির। ২৭ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য ছিল ১১ টাকা ৬০ পয়সা। এরপর ৫ কার্যদিবস বেড়ে ৪ এপ্রিল দাম ছিল ১২ টাকা ৪০ পয়সা। সেখান থেকে টানা বাড়তে বাড়তে তিন গুণ হয়েছে দাম।

আজ ব্যাংকের জোয়ারের দিন কেবল এই কোম্পানিটিই ৬০ পয়সা দর হারিয়েছে। সব শেষ দাম ৩৬ টাকা ৩০ পয়সা।

দাম বৃদ্ধির প্রান্তসীমা ছুঁয়েছে যেসব ব্যাংক

দিনের শুরুতেই এবি ও ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার হলট্রেড হয়ে যায়। আগের দিনও দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়ে ১৪ টাকা ৩০ পয়সা দাম ছিল। প্রথম লেনদেন হয় ১৫ টাকা ১০ পয়সা। মুহূর্তেই তা ১৫ টাকা ৭০ পয়সা উঠে যায়। একদিনে এর চেয়ে বেশি দাম বাড়া সম্ভব ছিল না। দাম উঠার পর আর নামেনি।

ওয়ান ব্যাংকের দাম মঙ্গলবার ছিল ১৩ টাকা ৩০ পয়সা। দাম বেড়ে উঠতে পারত সর্বোচ্চ ১৪ টাকা ৬০ পয়সা। লেনদেন শুরুই হয়েছে এই দরে। পরে ২০ পয়সা কমলেও আবার উঠে যায় এই সর্বোচ্চ দরে।

ব্যাংকের শেয়ারে এমন দিন আসেনি বহু বছর
গত এক মাসে ওয়ান ব্যাংকের দাম বৃদ্ধির চিত্র

পরে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, যমুনা, মার্কেন্টাইল, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের দামও দিন শেষে সর্বোচ্চ সীমা ছুয়ে যায়।

প্রান্তসীমা ছুঁয়ে কিছুটা কমেছে যেগুলোর দর

মঙ্গলবার ঢাকা ব্যাংকের দাম ছিল ১৫ টাকা ৫০ পয়সা। দিনে দাম বাড়ার প্রান্তসীমা ছিল ১৭ টাকা। এই দরে বিক্রি হয়েছে শেয়ার। পরে কিছুটা কমে দাম ক্লোজ জয় ১৬ টাকা ৭০ পয়সায়।

এ রকম আরও বেশ কিছু ব্যাংকের শেয়ার দর প্রান্তসীমা ছুঁয়ে পরে কিছুটা কমেছে।

মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর ২২ টাকা থেকে ২৪ টাকা ২০ পয়সায় উঠে পরে কমে হয় ২৩ টাকা ৯০ পয়সা।

২৮ টাকা ৭০ পয়সা দাম থাকা রূপালী ব্যাংক সর্বোচ্চ বাড়তে পারত ৩১ টাকা ৫৯ পয়সা পর্যন্ত। এই পরিমাণ বেড়েও পরে ১০ পয়সা কমে দাম।

ব্যাংকের শেয়ারে এমন দিন আসেনি বহু বছর
গত এক মাসে রূপালী ব্যাংকের দাম বৃদ্ধির চিত্র

একইভাবে ১৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে এসআইবিএলের দাম বেড়ে ১৫ টাকা ২০ পয়সা হয়। পরে ২০ পয়সা কমে ক্লোজ হয় ১৫ টাকায়।

পকেট গরম করেছে অন্য যেগুলো

এ ছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংকের দাম বাড়া সম্ভব ছিল ৮ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত। ৮ টাকা ৭০ পয়সায় উঠে পরে ৮ টাকা ৬০ পয়সায় ক্লোজ হয়। দিন শেষে দর বৃদ্ধির হার ৭.৫ শতাংশ।

এ ছাড়া ব্যাংক এশিয়ার ৬.৬৬, প্রিমিয়ারের ৬.২৯, পূবালীর ৬.১৭, এনসিসির ৫.১৭ শতাংশ, শাহজালালের ৫.৯২, ইসলামীর ৪.১৫ শতাংশ দাম বেড়েছে।

ব্যাংকের শেয়ারে এমন দিন আসেনি বহু বছর
বৃহস্পতিবার কমলেও এক মাসে এনআরবিসির দাম বেড়ে তিন গুণ হয়েছে

কমেছে কেবল এনআরবিসির দাম। গত ২৭ এপ্রিল থেকে টানা বেড়ে মঙ্গলবার ব্যাংকটির শেয়ার মূল্য দাঁড়ায় ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা। সেখান থেকে ৬০ পয়সা কমে দিন শেষে দাম দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৩০ পয়সা। যদিও এক পর্যায়ে দাম হয়ে গিয়েছিল ৪০ টাকা।

‘লভ্যাংশের তুলনায় দাম এখনও কম’

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে গঠিত ব্র্যাক ইপিএলের গবেষণা শাখার সাবেক প্রধান দেবব্রত কুমার সরকার মনে করেন, ব্যাংকগুলো এ বছর যে হারে লভ্যাংশ দিয়েছে তার তুলনায় শেয়ার দর এখনও কম।

ব্যাংকের শেয়ারে এমন দিন আসেনি বহু বছর
গত এক মাসে ঢাকা ব্যাংকের দর বৃদ্ধির চিত্র

তিনি বলেন, `ব্যাংকের শেয়ারের উত্থানে আতঙ্কের কিছু নেই। আর শুধু যে ব্যাংকের শেয়ারের দর বেড়েছে তা কিন্তু নয়। অন্যান্য খাতেরও শেয়ারের দর বেড়েছে। এটাই পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক দিক।’

ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংকের শেয়ার দর দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় ছিল। এখন সেগুলোর দাম বাড়ছে। আর সম্প্রতি ব্যাংকগুলো তাদের শেয়ারধারীদের জন্য যে পরিমাণ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে তার তুলনায় শেয়ার দর এখনও কম। এজন্য এখানে নতুন বিনিয়োগ হতে পারে। ব্যাংকের শেয়ার দর যে অবস্থা আছে তা থেকে আরও বাড়া উচিত।’

ব্যাংকের শেয়ারে এমন দিন আসেনি বহু বছর
গত এক মাসে প্রাইম ব্যাংকের দর বৃদ্ধির চিত্র

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের জন্য ভালো হচ্ছে যে সব কোম্পানির তাদের আর্থিক প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা রাখে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে। বিনিয়োগকারীদের সেসব কোম্পানির প্রতিই আগ্রহী হওয়া উচিত।’

আরও পড়ুন:
২৩ ব্যাংকের লভ্যাংশ ২ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা
বহুজাতিক থেকেও ব্যাংকে লভ্যাংশ ‘বেশি’
যমুনা ব্যাংকের আবার চমক জাগানিয়া লভ্যাংশ
কমেছে পরিচালন, বেড়েছে চূড়ান্ত মুনাফা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Swiss bank is in the name of Bangladesh

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে জমায় উল্লম্ফন

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে জমায় উল্লম্ফন

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ২০২৪ সালে তাদের দেশের ব্যাংকগুলোর দায় ও সম্পদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সাল শেষে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশের নামে পাওনা রয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় ( প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে ) যার পরিমাণ ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে যার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ। এখনকার বিনিময় হার ধরলে যার পরিমাণ ৩৯৬ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে থাকা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৩ গুণ। ২০২২ সাল শেষে বাংলাদেশের কাছে সুইজারল্যান্ডের দায় ছিল ৫ কোটি ৮৪ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ৮৭৬ কোটি টাকা।

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে দায়ের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা, আমনাতকারীদের পাওনা এবং পুঁজিবাজারে বাংলাদেশের নামে বিনিয়োগের অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশের বেশি বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা, যা বাণিজ্য কেন্দ্রিক অর্থ বলে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে থাকা অর্থের একটি অংশ পাচার করা সম্পদ হতে পারে বলে ধারণা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কয়েক বছর ধরে সুইজারল্যান্ড বার্ষিক ব্যাংকিং পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে। বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বা বিএফআইইউ সুইজারল্যান্ডের এফআইইউর সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগও করেছিল। কিন্তু ব্যক্তির তালিকা সম্বলিত কোনো তথ্য তারা দেয়নি।

সুইজারল্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, অবৈধভাবে কেউ অর্থ নিয়ে গেছে এমন প্রমাণ সরবরাহ করলে তারা তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান যদি নিজের বদলে অন্য দেশের নামে অর্থ গচ্ছিত রাখে তাহলে তা সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে থাকা পরিসংখ্যানের মধ্যে আসেনি। একইভাবে সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা মূল্যবান শিল্পকর্ম, স্বর্ণ বা দুর্লভ সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমান হিসাব করে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অনেক দেশের নাগরিকই মূল্যবান সামগ্রী সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের ভল্টে রেখে থাকেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bangladeshi entrepreneurs call for investment in IT and pharmaceutical sector in Sri Lanka

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের শ্রীলঙ্কায় আইটি ও ওষুধ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের শ্রীলঙ্কায় আইটি ও ওষুধ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের শ্রীলঙ্কায় তথ্য-প্রযুক্তি ও ওষুধ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার উপপররাষ্ট্র ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী আরুন হেমাচন্দ্র এবং উপ-অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী ড. হর্ষনা সুরিয়াপেরুমা।

গতকাল বৃহস্পতিবার কলম্বোয় শ্রীলঙ্কা সফররত ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই আহ্বান জানান তারা। ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি দেশটির পররাষ্ট্র ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পৃথক দুটি বৈঠকে অংশ নেয়।

বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নেতারা শ্রীলঙ্কার উপপররাষ্ট্র ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী আরুন হেমাচন্দ্র এবং উপঅর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. হর্ষনা সুরিয়াপেরুমার সঙ্গে কলম্বোতে তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে আরুন হেমাচন্দ্র বলেন, দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হলে আগামীতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। শ্রীলঙ্কা ইতোমধ্যে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করেছে এবং বাংলাদেশ সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে।

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে এলে সরকার পূর্ণ সহায়তা দেবে।

তিনি বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের তার দেশের সম্ভাবনাময় খাতসমূহে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এবং এলক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানসমূহে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ জানান, ভূ-রাজনৈতিক কারণে বর্তমানে বৈশ্বিক বাণিজ্যের ধারা পরিবর্তন হচ্ছে এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, যদিও বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক, তবে প্রযুক্তি, পণ্যের মূল্য সংযোজন এবং উদ্ভাবনের দিক থেকে শ্রীলংকা বেশ এগিয়ে রয়েছে।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেও প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে দুদেশের বেসরকারিখাতের যৌথ উদ্যোগে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

তিনি আরো বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ উভয় দেশের মধ্যে একটি এফটিএ স্বাক্ষর হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যকার সংযোগ আরও সুদৃঢ় হবে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি জানান, বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রীলংকার ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে অত্যন্ত আগ্রহী এবং শ্রীলংকার উদ্যোক্তারাও বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলংঙ্কার অর্থনীতি প্রায় একই ধাঁচের যেখানে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) বাস্তবিক অর্থে ততটা কার্যকর হবে না। এক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও ত্বরান্বিত হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

ডিসিসিআই’র ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পৃথক এক বৈঠকে শ্রীলংকার উপ-অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. হর্ষনা সুরিয়াপেরুমা বলেন, আমাদের একসাথে কাজ করার অবারিত সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তি ও ডিজিটাল সেবা, ঔষধ, চা, জ্বালানি, আর্থিক সেবা ও পর্যটন খাত যৌথ বিনিয়োগের জন্য প্রচুর সম্ভাবনাময়।

তিনি জানান, শ্রীলংকা ইতোমধ্যেই একটি উচ্চাভিলাষী ডিজিটাল রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে এবং এই পরিকল্পনার অধীনে আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশকে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল রাষ্ট্রে রূপান্তর এবং প্রতিটি সেবা স্বয়ংক্রিয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

তিনি বলেন, শ্রীলংকায় অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টার স্থাপনের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাবৃন্দ এগিয়ে আসতে পারেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের শ্রীলংকার ঔষধ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। যাতে দেশটির স্থানীয় চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী ও সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে পতন

মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে পতন

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বক্তব্য আরও কঠোর করার পর মঙ্গলবার ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ারবাজারে পতন ঘটে, যা যুদ্ধকে আরও সম্প্রসারণ করার আশঙ্কা তৈরি করেছে।

নিউইয়র্ক থেকে এএফপি এ সংবাদ জানিয়েছে, ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের পঞ্চম দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ দাবি করেন এবং মার্কিন হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেন।

ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ সূচক ০.৭ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৪২,২১৫.৮০ পয়েন্টে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ০.৮ শতাংশ কমে ৫,৯৮২.৭২ পয়েন্টে এবং প্রযুক্তি খাতভিত্তিক ন্যাশডাক কম্পোজিট ০.৯ শতাংশ কমে ১৯,৫২১.০৯ পয়েন্টে নেমে আসে।

ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ এখন বিনিয়োগকারীদের প্রধান উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। একই সময়ে তারা ফেডারেল রিজার্ভের দিকে নজর রাখছে। যা বর্তমানে দুই দিনের আর্থিক নীতিমালা বৈঠকে রয়েছে।

ফেডারেল রিজার্ভ আপাতত সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, কারণ, তারা ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতির গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করছে।

গতকাল বুধবার ফেড তাদের সর্বশেষ অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রকাশ করবে, যাতে থাকবে প্রবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য।

এদিকে, বিনিয়োগকারীরা দুর্বল অর্থনৈতিক তথ্যের প্রভাবও মূল্যায়ন করছেন। মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মোট খুচরা বিক্রি এপ্রিলের তুলনায় ০.৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭১৫.৪ বিলিয়ন ডলারে। এই তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে, এপ্রিলে শুল্ক বৃদ্ধির আশঙ্কায় যে ভোক্তারা আগেভাগে পণ্য কিনে নিয়েছিলেন, মে মাসে সেই কেনাকাটার গতি কমে গেছে।

এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকের ১১টি খাতের মধ্যে ১০টিতেই দরপতন হয়েছে। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল জ্বালানি খাত, যা তেলের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঊর্ধ্বমুখী ছিল।

প্রতিরক্ষা খাতভুক্ত কোম্পানিগুলোও লাভ করেছে। লকহিড মার্টিন ২.৬ শতাংশ এবং নর্থরপ গ্রুমান ১.২ শতাংশ বেড়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Various offers with 5 discount on Service Day

সার্ভিস ডে উপলক্ষ্যে ১০% ডিসকাউন্টসহ নানা অফার রিয়েলমির

সার্ভিস ডে উপলক্ষ্যে ১০% ডিসকাউন্টসহ নানা অফার রিয়েলমির

তরুণদের কাছে জনপ্রিয় টেক ব্র্যান্ড রিয়েলমি কোম্পানির স্মার্টফোনের খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয়ে সম্প্রতি ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট ঘোষণা করেছে। রিয়েলমি সার্ভিস ডে উপলক্ষ্যে এই ক্যাম্পেইনের অফার চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত।

এ ক্যাম্পেইন চলাকালে ইউজাররা সকল অ্যাকসেসরিজ ও সেফগার্ড সার্ভিসে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট লুফে নিতে পারবেন। শুধুমাত্র দেশজুড়ে অবস্থিত রিয়েলমি’র অথরাইজড সার্ভিস সেন্টারগুলো থেকে এই অফার পেতে পারবেন গ্রাহকরা।

এছাড়াও- স্মার্টফোনের ওয়ারেন্টি বিষয়ক সার্ভিস, ক্লিনিং ও মেইনটেন্যান্স, সফটওয়্যার আপগ্রেডেশন, প্রটেক্টিভ পেপার ফিল্মস ও প্রটেক্টিভ ফোন কেসে থাকবে বিভিন্ন ছাড়।

এখানে উল্লেখ্য যে- ঘোষিত অফারটি শুধুমাত্র রিয়েলমি’র অফিসিয়াল স্মার্টফোনগুলোর জন্যই প্রযোজ্য।

এসব অফার ছাড়াও- রিয়েলমি অথরাইজড সার্ভিস সেন্টারে ডিভাইস পাঠানোর ক্ষেত্রে গ্রাহকরা তাদের রিয়েলমি অথরাইজড কালেকশন পয়েন্টস ব্যবহার করতে পারবেন।

অফার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইউজাররা ফেসবুকে রিয়েলমি’র অফিসিয়াল আফটার-সেল সার্ভিস পেজ "realme Service BD" ভিজিট করতে পারেন।

তাই ভিজিট করুন আপনার কাছেরই কোনো আউটলেট এবং ক্যাম্পেইন শেষের আগেই ডিসকাউন্ট উপভোগ করুন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Union Bank PLCs 7th meeting of the newly formed board of directors

ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৪০তম সভা অনুষ্ঠিত

ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৪০তম সভা অনুষ্ঠিত

১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৪০তম সভা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, গুলশান-১, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মুঃ ফরীদ উদ্দীন আহমদ। সভায় পর্ষদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম জাহীদ, জনাব মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সর্বজনাব শফিউদ্দিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ ইকবাল কার্যপোলক্ষ্যে সভায় যোগদান করেন। সভায় ব্যাংকের ব্যবসা বাণিজ্য, আমানত ও রেমিট্যান্স সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ আদায়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Inauguration of Training Course titled Foundation Course for Officers organized by Janata Bank Staff College Dhaka
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজ ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত ফাউন্ডেশন কোর্স ফর অফিসার্স শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন

জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজ ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত ফাউন্ডেশন কোর্স ফর অফিসার্স শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন

জনতা ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান ১৫ জুন রোববার জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজ ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত ২৫ (পঁচিশ) দিন ব্যাপী ফাউন্ডেশন কোর্স ফর অফিসার্স (ব্যাচ ০৫/২০২৫) শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন করেন। উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে জনতা ব্যাংকের ৫০ জন সিনিয়র অফিসার অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজের ডিজিএম-স্টাফ কলেজ ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী ও অনুষদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market Large rise in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় উত্থান

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় উত্থান

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।

সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১৬ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩৬ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। বিশেষ করে লভ্যাংশ দেওয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ১৭৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির শেয়ারমূল্য।

ডিএসই ব্লক মার্কেটে ২৫ কোম্পানির ৪০ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। লাভেলো সর্বোচ্চ ১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

গতদিনের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেন প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। সারাদিনে ৪১৭ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ২৬৩ কোটি টাকা।

৯.৮৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স এবং সাড়ে ৩ শতাংশ দাম কমে তলানিতে শ্যামপুর সুগ্যার মিল।

চট্টগ্রামেও উত্থান

ঢাকার মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সারাদিনের লেনদেনে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৬০ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে ১১৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৫৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা এর আগের সবশেষ কার্যদিবসে ছিল ১০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইসলামী ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।

মন্তব্য

p
উপরে