ঘটন-অঘটনে ভরপুর ছিল ২০২১ সালের ক্রীড়া বিশ্ব। চেলসির ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জেতার অঘটন, অবিশ্বাস্য কামব্যাকে ইতালির ইউরো জয়, গার্ড মুলারের মতো কিংবদন্তির চিরবিদায়, করোনা মহামারির মধ্যেও টোকিও অলিম্পিকসের বর্ণিল আসর, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসানের মাঠে ফেরা, সব মিলিয়ে আলোচনার খোরাকের কমতি ছিল না ক্রীড়াপ্রেমীদের।
তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে বছরের সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র ছিলেন লিওনেল মেসি। সর্বকালের সেরা এই ফুটবলারের দল বদল, নতুন দলের হয়ে মাঠ মাতানো, প্রথম বড় আন্তর্জাতিক শিরোপা জয় ও সাত নম্বর ব্যালন ডর জয়ের খবর শিরোনামে ছিল বছরজুড়ে।
নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য ক্রীড়া বিশ্বের সেরা ঘটনা ও আলোচিত চরিত্রগুলোর এক ঝলক আবারও তুলে ধরা হচ্ছে।
লিওনেল মেসির বছর
বার্সেলোনার সঙ্গে ১৭ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে কান্নাভেজা বিদায় জানান মেসি। জুলাইয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পর লা লিগার নতুন নিয়মের কারণে চুক্তি নবায়ন করতে পারেননি।
পরের মাসে যোগ দেন ফ্রান্সের জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি)। সেখানে যথারীতি নিজের পায়ের জাদুতে মুগ্ধ করেছেন ভক্তদের। বছর শেষে জিতে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের সপ্তম ব্যালন ডর।
তবে ব্যালন ডর ট্রফি জয়ে মেসির যে সাফল্য সবচেয়ে বেশি বিবেচনায় এসেছে তা হলো কোপা আমেরিকা জয়। ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ফাইনালে হারিয়ে আর্জেন্টিনাকে ২৮ বছর পর আন্তর্জাতিক শিরোপার স্বাদ এনে দেন মেসি।
খরা কাটান নিজের আন্তর্জাতিক শিরোপার। হন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের ফেরা
২০১৯ সালের শেষে আইসিসির দেয়া নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০২০ সালের নভেম্বরে মাঠে ফেরার অনুমতি পান সাকিব আল হাসান। তবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে ফেরেন জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে।
২০ জানুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন সাকিব। প্রথম সিরিজে হন ম্যান অফ দ্য সিরিজ। সিরিজ সেরা ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতেও।
পরে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে ধরে রাখেন নিজের পারফরম্যান্স।
মাঠের মতো মাঠের বাইরেও আলোচিত ছিলেন সাকিব। জুনে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে স্টাম্পে লাথি দেয়ার কারণে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ হন মোহামেডানের অধিনায়ক হিসেবে খেলা সাকিব।
বছরের প্রায় মাস চারেক মাঠের বাইরে ছিলেন চোটের কারণে।
আবার বছর শেষে আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের মনোনয়নও পান বাংলাদেশের ক্রিকেটের এ পোস্টার বয়। সব মিলিয়ে বরাবরের মতো আলোচনার শীর্ষেই ছিলেন সাকিব আল হাসান।
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে হারালেও বিশ্বকাপে টাইগারদের ভরাডুবি
বাংলাদেশ ২০২১ সালে সবচেয়ে বেশি খেলেছে টি-টোয়েন্টি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে প্রস্তুতির জন্য এ ফরম্যাটে বেশি খেলার সিদ্ধান্ত নেয়। উইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট খেললেও বিশ্বকাপের কারণে মনোযোগ বেশি ছিল টি-টোয়েন্টিতে।
ঘরের মাঠে পছন্দের কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে ৪-১ ও ৩-২ ব্যবধানে নাস্তানাবুদ করে বাংলাদেশ। সাকিব-নাসুম-মাহেদীদের স্পিনের কোনো জবাবই ছিল না ট্রান্স-তাসমান দুই দলের কাছে।
ওই একই দল মাস খানেক বাদেই বিশ্বকাপে যেয়ে নিজেরাই হতচ্ছাড়া পারফরম্যান্স উপহার দেয়। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে হার দিয়ে শুরুর পরও মূল পর্বে কোয়ালিফাই করে টাইগাররা।
মূল পর্বে টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বিদায় নেয়ার মধ্য দিয়ে পূর্ণ হয় ব্যর্থতার ষোলকলা। এরপর দেশের মাটিতে পাকিস্তানের কাছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে ক্লিন সুইপ হয়ে বছর শেষ করে বাংলাদেশ।
ব্যর্থতার ধাক্কা সামলাতে পুনরায় নির্বাচিত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ঘোষণা দেন দলে ব্যাপক রদবদলের। তেমনটা বছর শেষে আগে দেখা যায়নি।
করোনা মহামারিতে প্রশান্তির টোকিও অলিম্পিকস
করোনাভাইরাসের মহামারিতে দুই দফায় এক বছর পেছাতে হয় অলিম্পিকস। ২০২০ সালের আসর পরের বছর শুরু হওয়া নিয়েও জটিলতা ছিল। সবকিছু ছাপিয়ে মৃত্যুর মিছিলের শোকে পুরো ক্রীড়া বিশ্বকে কিছুটা আশা দিয়েছে টোকিও অলিম্পিকসের বর্ণিল আসর।
৩৯টি স্বর্ণ জিতে সেরা দল হিসেবে আসর শেষ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ৩৮ স্বর্ণ নিয়ে দুয়ে আছে চীন। স্বাগতিক জাপান ২৭টি স্বর্ণ নিয়ে দখল করে তৃতীয় স্থান। ২২টি স্বর্ণ জিতে ব্রিটেন হয় চতুর্থ।
টোকিও অলিম্পিকস থেকে বিদায় নিয়েছেন বাংলাদেশের পাঁচ ক্রীড়াবিদ। ক্যারিয়ার সেরা স্কোর করেন দুই আর্চার রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী।
বাকি চার অ্যাথলেট ছিলেন, দুই সাঁতারু আরিফুল ইসলাম ও জুনাইনা আহমেদ, স্প্রিন্টার জহির রায়হান ও শ্যুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকী। এর মধ্যে বাকী ছাড়া সবাই নিজের বছরের সেরা টাইমিংকে টপকে গেছেন অলিম্পিকসে।
জামালদের ব্যর্থতার বছরে সফল নারী দল
১৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের মাত্র ৩টিতে জিতেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এ পরিসংখ্যানই বলে দেয় ছেলেদের ফুটবলের বছরটা কেমন ছিল।
শুধু মাঠের ব্যর্থতাই নয়, মাঠের বাইরে কোচ-নাটকে জর্জরিত ছিল জামাল-তারিকরা। জেমি ডেকে বরখাস্ত করার পর দুই টুর্নামেন্টে দুই আপৎকালীন কোচ মারিও লেমস ও অস্কার ব্রুসনকে দায়িত্ব দিলেও সাফল্য আসেনি।
সাফ ফুটবল, কিরগিজস্তানে চারদলীয় টুর্নামেন্ট ও শ্রীলঙ্কায় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা অধরাই থেকে গেছে বাংলাদেশ দলের।
আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে ঘরোয়া ফুটবলে তাকালে সেখানেও ছিল তিক্ততা। ম্যাচ পাতানোয় আরামবাগের অবনমন ও খেলোয়াড় নিষিদ্ধের মতো ঘটনা ছিল এ বছর।
বছর শেষে ফুটবলপ্রেমীদের মুখে হাসি এনে দিয়েছে নারী ফুটবল দল। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব ১৯ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে বিজয়ের ৫০ বছরের উপহার দেয় বাংলাদেশের নারীরা।
পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখেন আনাই মোগিনি-সাহেদা রিপারা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার বছর
টেস্ট ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের বছর ছিল ২০২১। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় কেইন উইলিয়ামসনের ব্ল্যাক ক্যাপস।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ছাড়াও পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজে হারায় নিউজিল্যান্ড।
টেস্টে ভারত সর্বোচ্চ তিনটি সিরিজ জিতলেও, বছর শেষে টেস্ট অধিনায়ক ভিরাট কোহলির সঙ্গে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর দ্বন্দ্বের খবর মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ায় মনোযোগ অনেকটাই সরে যায় সেদিকে।
সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ব্যর্থতার স্বাদ নিতে হয়েছে ভারতকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যেতে হয় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। আর বাংলাদেশের মাটিতে সিরিজ হেরে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া জিতে নেয় নিজেদের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা।
এ ছাড়া নারী ক্রিকেটারদের খেলার অধিকার না দেয়ার কারণে আলোচনায় ছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে নভেম্বরে আফগানিস্তানের সঙ্গে একমাত্র টেস্ট বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া।
ডার বম্বারের চলে যাওয়ার বছর
২০২১ সালের ১৫ আগস্ট না ফেরার দেশে চলে যান সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকারদের অন্যতম গার্ড মুলার। ২০১৫ সালে আলজেইমার্স রোগ ধরা পড়ে তার। প্রায় ছয় বছর রোগে ভোগার পর চিরবিদায় নেন তিনি।
১৯৬৪ সালে ১৯ বছর বয়সে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেয়ার পর ৩টি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ৪টি বুন্ডেসলিগা শিরোপা জেতেন এই জার্মান স্ট্রাইকার। ১৯৭০ সালে জেতেন ব্যালন ডর।
পশ্চিম জার্মানির হয়ে ১৯৭২ সালের ইউরো ও ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপ জয় করেন এই স্ট্রাইকার। ৭৪ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ফাইনালে জয়সূচক গোলটিও আসে তার পা থেকে।
বায়ার্নের হয়ে ৬০৭ ম্যাচে ৫৬৬ গোল করেন ‘ডার বম্বার’ বা বোমারু ডাকনাম পাওয়া মুলার। যার মধ্যে ৩৬৫টি এসেছে বুন্ডেসলিগায়। ক্যারিয়ারে সাতবার লিগের সর্বোচ্চ স্কোরার হন তিনি। পশ্চিম জার্মানি জাতীয় দলের হয়ে ৬২ ম্যাচে ৬৮ গোল রয়েছে তার।
চেলসি ও ইতালির ইউরোপ জয়, ব্রাজিলের প্রাপ্তি অলিম্পিক স্বর্ণ
পুরো মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটিকে নিয়ে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন পেপ গার্দিওলা। সবাই অপেক্ষায় ছিলেন সিটিকে অধরা ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা পাইয়ে দেবেন তিনি।
তবে টুর্নামেন্টের ফাইনালে টমাস টুখেলের মাস্টারমাইন্ডের কাছে হেরে বসেন বিশ্বসেরা এ কোচ। চেলসির কাছে হেরে দ্বিতীয় হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় সিটিকে।
বছরের শেষে অবশ্য নিজেদের প্রতাপ ফিরে পেয়েছে সিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে থেকেই বছর শেষ করেছে সিটিজেনরা।
আর চ্যাম্পিয়নস লিগে অঘটন ঘটানো চেলসি ভুগছে ধারাবাহিকতার অভাবে।
আন্তর্জাতিক ফুটবলের অন্যতম আলোচিত ঘটনা ছিল ইতালির ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জয়। ২০১৮ বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই না করার বিষাদ ভুলে আবারও ফুটবলপাগল দেশটিকে আনন্দে মাতান রবার্তো মানচিনি। তার নেতৃত্বেই নিজেদের দ্বিতীয় ইউরো জয় করে ইতালি।
আর আর্জেন্টিনার কাছে মারাকানায় কোপা আমেরিকা হাতছাড়া করলেও মাসখানেক পর টোকিও অলিম্পিকসের স্বর্ণ জয় করে দুধের স্বাদ অনেকটা ঘোলে মেটান দানি আলভেস, গাব্রিয়েল বারবোসারা।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে আব্দুল জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার হোমনার বাঘা শরীফ। প্রথমবারের মতো এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েই বাজিমাত করেছেন শরীফ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার আরেক সন্তান রাশেদ বলীকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হন শরীফ।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার বাসিন্দা ফরিদ স্থানীয়দের কাছে ‘বাঘা শরীফ’ নামে পরিচিত।
এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় এবারের আসরের বলীখেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আজম নাছির উদ্দিন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ৮৪ জন বলী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
দুপুরে খেলা শুরুর আগেই দর্শকে পূর্ণ হয়ে যায় নগরীর লালদীঘি ময়দান। ঐতিহ্যবাহী এ খেলা দেখতে জড়ো হন হাজারো দর্শক। ঢোল-বাজনার তালে তালে আর করতালিতে তারা বলীদের সমর্থন জোগাতে থাকেন।
প্রায় ১১ মিনিট খেলার পর রাশেদ নিজ থেকেই পরাজয় শিকার করে শরীফের হাত তুলে ধরেন। ফলে রেফারি শরীফকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
এ সময় চ্যাম্পিয়ন ‘বাঘা শরীফ’ নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘গতবারের চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল বলী খেলায় অংশ না নিয়ে আমাকে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।’
অন্যদিকে রানার্স আপ মো. রাশেদ বলেন, ‘আমি আগে বলীখেলায় অংশ নেইনি। আমাকে জব্বারের বলীখেলায় নিয়ে এসেছেন শরীফ ভাই। তিনি আমার সিনিয়র। তাই তাকে জয়ী করে দিয়েছি। চ্যাম্পিয়ন শরীফ ভাইয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমার জন্যেও দোয়া করবেন।’
খেলা শুরুর আগেই নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল বলী ও রানার্স আপ তরিকুল ইসলাম জীবন বলী। বাঘা শরীফকে সুযোগ করে দিতেই নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন বলে জানান তারা।
এবারের প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমা। চতুর্থ হয়েছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার রাসেল বলী।
প্রথম রাউন্ডের ৩৫ জন বিজয়ীর প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে পুরস্কার দেয়া হয়। রানার আপকে ২০ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও একটি সম্মাননা স্মারক (ক্রেস্ট) দেয়া হয়। চ্যাম্পিয়ন পান ৩০ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও একটি ক্রেস্ট।
খেলা শেষে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে দেশের যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে স্থানীয় আব্দুল জব্বার সওদাগর চট্টগ্রাম নগরীর লালদিঘী মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা। পরবর্তীতে সেটি আব্দুল জব্বারের বলীখেলা নামে পরিচিত হয়। এর জনপ্রিয়তা এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে।
বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে বৈশাখ মাসের ১২ তারিখে লালদিঘীর ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় এই খেলা। খেলার আগের দিন থেকে শুরু করে পরদিন পর্যন্ত তিন ধরে লালদিঘীর মাঠ ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটার জায়গাজুড়ে বসে বৈশাখী মেলা।
অন্যান্য খেলার সঙ্গে দেশীয় খেলাধুলাকে সমান গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘খেলাধুলায় আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি আগ্রহী হয়ে অংশগ্রহণ করে, সমানভাবে সুযোগ পায়। কারণ দেশীয় খেলাগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও মেধা বিকাশের সুযোগ তৈরি হবে।’
রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে শনিবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সরকার প্রধান এসব কথা বলেন।
খেলাধুলা ও শরীর চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই সরকারে এসেছি চেষ্টা করেছি খেলাধুলার প্রতি আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও বেশি অনুরাগী করতে। খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি যোগায় এবং দেশপ্রেম শেখায়, আনুগত্য শেখায়। সে সঙ্গে তাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীর চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। এই খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারা বিশ্বের কাছে দেশক পরিচিত করতে পারি।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ক্ষুদে ফুটবল খেলোয়াড় যারা আজকে এখান থেকে শুরু করেছে, একদিন তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি সম্মান বয়ে আনবে।
খেলাধুলার প্রসারে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা সারা বছর ধরে যেন খেলাধুলা করতে পারে সে জন্য বর্তমান সরকার প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছে।’
প্রধানমন্ত্রী এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যকার ফাইনাল খেলার দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়।
পৃথক ম্যাচে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে রংপুরের মিঠাপুকুর তালিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জামালপুরের মাদারগঞ্জ চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রধানমন্ত্রী দুই টুর্নামেন্টের বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ।
আরও পড়ুন:পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের আলোচিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও নিগার সুলতানা জ্যোতি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তারা বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান।
নতুন বছরের আগের দিন শনিবার রাতে ফেসবুকে ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে সাকিব লিখেন, ‘শুভ নববর্ষ! আশা করি আমাদের সবার জীবনে এই নতুন বছর অঢেল সুখ, শান্তি এবং আনন্দ নিয়ে আসবে।’
নিজ ভেরিফায়েড পেজে ‘শুভ নববর্ষ ১৪৩১’ লেখা একটি পোস্টার শেয়ার করে ওপেনার তামিম ইকবাল এক বাক্যে লিখেন, ‘সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।’
এ দুই তারকা ছাড়াও অনেকেই নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেন, ‘নববর্ষে নবরূপ রাঙিয়ে দিক প্রতিটি মুহূর্ত। সুন্দর সমৃদ্ধ হোক আগামীর দিনগুলো। শুভ নববর্ষ সকলকে।’
নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ লিখেন, ‘আনন্দ, উন্নতি ও শুভকামনার বার্তা নিয়ে নতুন বছরের সূচনায় ভরে উঠুক সকলের জীবন। সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ ১৪৩১।’
জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি লিখেন, ‘নববর্ষে নবরূপ রাঙিয়ে দিক প্রতিটি মুহূর্ত। সুন্দর সমৃদ্ধ হোক আগামীর দিনগুলো। শুভ নববর্ষ।’
আরও পড়ুন:দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের তারকা ক্রিকেটাররা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের ঈদের আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে দেশবাসী তথা ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাকিব-তামিম-জ্যোতিরা।
নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব লিখেছেন, ‘আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে ঈদ মোবারক। এই আনন্দের দিন আপনার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অফুরন্ত রহমত নিয়ে আসুক।’
শুভেচ্ছা জানিয়েছে দেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ফেসবুকে তামিম লিখেছেন, ‘ঈদ মোবারক! সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।’
ফেসবুকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ লিখেছেন, ‘ঈদ মোবারক। এই বিশেষ দিনটি ভালবাসা, আনন্দ এবং আশীর্বাদে ভরে উঠুক।’
দলের অন্য সেরা পেসারদের একজন তাসকিন আহমেদ লিখেছেন, ‘এই শুভ দিনে, আল্লাহর রহমত আপনার পথকে আলোকিত করুক এবং আপনার প্রতিটি পদক্ষেপে সুখ বয়ে আনুক। ঈদ মোবারক।’
স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ লিখেছেন, ‘ঈদের এই শুভ দিনে আমার সকল শুভাকাঙ্খীদের আন্তরিকভাবে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। আসুন সকল ভেদাভেদ, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেই সবার মাঝে, ঈদ মোবারক।’
নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি লিখেছেন, ‘ঈদ-উল-ফিতরের এই বরকতময় উপলক্ষে আল্লাহর রহমতে আপনার জীবন আনন্দ, শান্তি এবং সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক। ঈদ মোবারক!’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলকে উপহার প্রদানের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার গণভবনে আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসে নারী দলের প্রত্যেককে উপহার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেটারদেরও গণভবনে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী। তার আমন্ত্রণে দুই দলের নারী ক্রিকেটাররা ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার পুরো ক্রিকেট দলের সঙ্গে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের ১৫ স্কোয়াডের সদস্যরা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে। এর বাইরে ক্রীড়ামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
সেখানে নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সবাইকে নিয়ে ছবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ক্রিকেটারদের হাতে উপহার তুলে দেন তিনি। সাদা রংয়ের একটি প্যাকেট তুলে দেওয়া হয় মারুফা-নিগারদের হাতে।
বিসিবির পরিচালক এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাদেল জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী দুই দলের নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সুযোগ সুবিধার খোঁজ খবরও নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভালো খেলতে না পারলেও প্রধানমন্ত্রী মেয়েদের অনুপ্রাণিত করেছেন। ক্রিকেটারদের হাতে উপহারও তুলে দিয়েছেন।’
তিনি জানান, ‘সবাইকে ঈদের পর আবার দাওয়াত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেসময় আমাদের সাবেক অনেক ক্রিকেটারসহ পুরো দলকে যেতে বলেছেন তিনি।’
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল। ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছে অজিরা। মঙ্গলবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে।
গত ১৭ মার্চ ঢাকায় পা রাখে অ্যালিসা হিলির দল। ২১ মার্চ থেকে শুরু হয় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
আইসিসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত এই সিরিজে বাংলাদেশ ধবলধোলাই হয়েছে। এরপর এক ম্যাচ হাতে রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজও ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে অজিরা। বৃহস্পতিবার সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
মাঠের খেলায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোনোভাবেই সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে সম্পর্কের দিক থেকে এগিয়ে থাকল। বন্ধুত্বের জায়গা থেকে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যালিসা হিলিকে ঢাকাইয়া জামদানি শাড়ি উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা।
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে কংগ্রেস তাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে বলে সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
বুধবার গোয়া, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং দমন ও দিউ- এই চার রাজ্যের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি (সিইসি) ১৮ জনের নাম অনুমোদন করেছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল এবং কে এস নারায়ণ সাংসদ হয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, সানিয়ার নাম প্রস্তাব করেছিলেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ২০১৯ সালে সানিয়া মির্জার বোন আনাম মির্জার সঙ্গে বিয়ে হয় ক্রিকেটারের ছেলে মহম্মদ আসাদুদ্দিনের।
আজহারউদ্দিন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যেখানে তিনি জুবিলি হিলস আসন থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মাগন্তি গোপীনাথের কাছে ১৬০০০ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন।
এআইএমআইএম-এর একটি শক্ত ঘাঁটি হায়দরাবাদ, এই অঞ্চলে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির’ (কংগ্রেস) সাম্প্রতিক পুনরুত্থান এআইএমআইএমের আধিপত্যের কাছে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। যা একটি তীব্র কঠিন লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
১৯৮৪ সালে সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি হায়দরাবাদ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং পরে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এআইএমআইএম প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন।
এর পর আসাদ্দুদ্দিন ওয়াইসি ২০০৪ সাল থেকে এই আসনটি ধরে রেখে উত্তরাধিকার বহন করছেন। ২০১৯ সালে ওয়েইসির বিরুদ্ধে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি তার আধিপত্য বজায় রেখে মোট প্রদত্ত ভোটের ৫৮.৯৪% পেয়ে আসনটি জিতেছিলেন।
এই লোকসভা নির্বাচনের জন্য হায়দরাবাদে বিজেপি মাধবী লতাকে প্রার্থী করেছে, এবং বিআরএস গদ্দাম শ্রীনিবাস যাদবকে প্রার্থী করেছে।
৫৪৩টি সংসদীয় আসনের নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, যা ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১ জুন শেষ হবে। তেলেঙ্গানায় ভোট হবে ১৩ মে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্জাইচিগুলোর একটি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচায় এই টুর্নামেন্টে যেমন দেখা যায় তারকার ছড়াছড়ি, তেমনই কোটি কোটি টাকার জুয়া বাণিজ্য চলে আইপিএল চলাকালে।
তেমনই আইপিএলে বাজি ধরে বারবার হেরে কোটি রুপির বেশি ঋণী হয়ে পড়েছিলেন ভারতের কর্ণাটকের দর্শন বাবু নামের এক ইঞ্জিনিয়ার। তবে টাকা সময়মতো পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় পাওনাদারদের ক্রমাগত হয়রানিতে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুয়ার নেশায় টাকা ধার করতে করতে ঋণের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় দর্শনের। তার পরও ধার করে বাজি ধরতে থাকেন তিনি।
দেড় কোটি টাকা ধার নেয়ার পর পাওনাদাররা তার বাড়িতে এসে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিকে শুরু করেন। শুধু তা-ই নয়, ওই প্রকৌশলীকে বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রী রঞ্জিতাকে হেনস্থা করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।
আর পাওনাদারদের হয়রানি সহ্য করতে না পেরেই রঞ্জিতা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় নিজের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ঘটনায় রঞ্জিতার বাবা ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
চিত্রদুর্গের বাসিন্দা দর্শন সেচ দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।
স্থানীয়দের দাবি, দর্শন মাঝেমধ্যেই অনলাইনে জুয়া খেলতেন। সেই নেশার কারণে ধারের বোঝা বাড়ছিল তার।
যদিও দর্শনের শ্বশুরের পাল্টা দাবি, তার জামাই নির্দোষ। তাকে এই জুয়া খেলতে বাধ্য করা হয়েছিল। বাধ্য করা হয়েছিল টাকা ধার নিতেও। যাদের কাছে থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন, তারাই এই কাজ করিয়েছিলেন তার জামাইকে দিয়ে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য দর্শনকে লোভ দেখানো হয়। তারপর তাকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে।
এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে, দর্শনের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেটি রঞ্জিতা লিখেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সুইসাইড নোটে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন রঞ্জিতা।
তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এরইমধ্যে শিবু, গিরিশ এবং ভেঙ্কটেশ নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
মন্তব্য