চ্যাম্পিয়নস লিগের একাধিক ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও, পেপ গার্দিওলার চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির সামনে ২০২১ সালের ফাইনালে আন্ডারডগ হিসেবেই নামে চেলসি।
মৌসুমে ইংলিশ লিগের শিরোপা দৌড় থেকে বেশ খানিকটা দূরে ছিল তারা। বাজে পারফরম্যান্সের কারণে মৌসুমের অর্ধেকে এসে তাদের পাল্টাতে হয় ম্যানেজার। ঘরের ছেলে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডকে সরিয়ে দায়িত্ব নেন টমাস টুখেল।
এই জার্মান ট্যাকটিশিয়ানের ছোঁয়াতেই যেন পাল্টে গেছে চেলসি। লিগের শেষ দিনে চ্যাম্পিয়নস লিগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি তারা ঘরে তুলেছে ইউরোপীয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় ট্রফি। দ্বিতীয়বারের মতো ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ চ্যাম্পিয়ন লন্ডনের ক্লাবটি।
২০১১-১২ মৌসুমের পর আবারও ইউরোপের সেরা ক্লাবের সম্মান পেল চেলসি। বিপর্যয়ের দিকে যেতে থাকা মৌসুম শেষ হলো সাফল্যের চূড়ান্ত শিখরে।
পোর্তোর স্তাদিও দ্রাগাওয়ে ম্যানচেস্টার সিটি নামায় একেবারে আক্রমণাত্মক একাদশ। গার্দিওলার লক্ষ্য ছিল পরিষ্কার। শুরু থেকেই করবেন আক্রমণ।
অন্যদিকে, টুখেলের চেলসি খেলে কাউন্টার অ্যাটাকনির্ভর। সিটির আক্রমণের তোড় সামলে নিজেদের আক্রমণ রচনা করেন কাই হাভের্টস-টিমো ভের্নাররা।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের জমে ওঠা ম্যাচে গোল পায় চেলসি। সিটির হাইলাইন ডিফেন্সকে বোকা বানানো মেসন মাউন্টের পাস পেয়ে লক্ষ্যভেদ করতে ভুল করেননি হাভের্টস।
প্রথমার্ধের ৪২ মিনিটে করা এই জার্মান ফরোয়ার্ডের গোলটিই শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠে শিরোপাজয়ী।
বিরতির পর ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালায় সিটি। কিন্তু তাদের অধিনায়ক ও সেরা তারকা কেভিন ডি ব্রুইনা আহত হয়ে মাঠ ছাড়লে নিভে যায় তাদের ম্যাচে লড়াই করার আশা।
এরপরও চেষ্টা করেছেন গার্দিওলার শিষ্যরা। ডি ব্রুইনার বদলি হিসেবে নামা গাব্রিয়েল জেসুস, অভিজ্ঞ সার্হিও আগুয়েরো ও তরুণ ফিল ফোডেনের একের পর এক আক্রমণ নস্যাৎ করে দেয় চেলসির রক্ষণভাগ।
ব্লুদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা আহত হয়ে মাঠ ছাড়লেও চিড় ধরেনি রক্ষণে। ৯০ মিনিট ও ইনজুরি টাইমের বাড়তি সাত মিনিট দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে চেলসি। ফলস্বরূপ তাদের হাতেই ওঠে ইউরোপ সেরা দ্বিতীয় ট্রফি।
টুখেলের কাউন্টার অ্যাটাকিং কৌশলের কাছে হার মানতে হয় গার্দিওলার আল্ট্রা অ্যাটাকিং মানসিকতাকে।
৯ বছর পর ইউরোপ সেরা ক্লাবের স্বীকৃতি পেল চেলসি। পোর্তোতে রচনা করলো প্রথম কোনো ইংলিশ ক্লাবের শিরোপা জয়ের ইতিহাস।
আর গার্দিওলাকে ফিরতে হবে এখন ড্রয়িং বোর্ডে। লিওনেল মেসিকে ছাড়া সাফল্য পাননা চ্যাম্পিয়নস লিগে, এই অপবাদ মুছতে তাকে আরও অপেক্ষা করতে হবে অন্তত এক বছর।
আরও পড়ুন:Soak it up Chelsea fans! 🎇#UCL #UCLfinal pic.twitter.com/BgsxKX4xpD
— UEFA Champions League (@ChampionsLeague) May 29, 2021
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্মীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আমরা মসজিদ করে যাবো আপনাদের কাজ হলো মসজিদকে আবাদ করা। দেশে যত মসজিদ হবে, তত বেশি নামাজি বাড়বে। বেশি নামাজি বাড়লে সমাজ থেকে ফাহেসা, শিরক বিদয়াতসহ অপকালচার কমে যাবে। শুক্রবার (০৪ জুলাই ) হাটহাজারী পৌরসভার কড়িয়ার দিঘির পাড় এলাকায় মডেল মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, গণপূর্ত অধিদপ্তর) মো. শহিদুল আলম, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কেন্দ্রের জমি নির্বাচন সংক্রান্ত কমিটির সদস্য অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল হাওলাদার ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আব্দুস ছালাম খান এবং উপ-প্রকল্প পরিচালক (প্রকৌশল) মোহাম্মদ ফেরদৌস-উজ-জামান। আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বিএম মশিউজ্জামান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, হাটহাজারী মাদরাসার মুহতামীম আল্লামা মুফতি খলিল আহমদ কাসেমী, নায়েবে মুহতামিম (সহকারী পরিচালক) মাওলানা শোয়াইব জমিরী ও মুফতি জসিম উদ্দিনসহ নেতৃবৃন্দ।
সূত্রে জানা যায়, প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের প্রত্যেকটি মডেল মসজিদে ব্যয় হবে ১১কোটি ৮৯ লাখ টাকা করে। ৩ তলা বিশিষ্ট এসব মডেল মসজিদে থাকবে উপজেলা ইমাম প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, ১২ শত মুসল্লীর একসঙ্গে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা, পাঠাগার ও ইসলামী বই বিক্রয় কেন্দ্র।
রাজবাড়ীতে এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের বাম্পার ফলন ফলাতে উৎপাদন খরচও হয়েছে বেশি। বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় লোকসানের কথা বলছেন কৃষক। এদিকে চাহিদা বাড়ায় ধানের খড় বিক্রি করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন জেলার কৃষকেরা। আর কৃষি বিভাগ বলছে, রাজবাড়ীতে বছরে উৎপাদিত ধানের খড় বিক্রি হয় প্রায় তিনশ কোটি টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজবাড়ীর তথ্যমতে, রাজবাড়ীতে এ বছর ১২ হাজার ৮৯২ হেক্টর জমিতে বোরো, ৩ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে আউশ, ৫৩ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনসহ মোট ৬৯ হাজার ১২২ হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদন হয়েছে। এর থেকে ফলন হয়েছে অন্তত ২ লক্ষ্য ৩৫ হাজার ৫২৯ মেট্টিক টন ধান।
রাজবাড়ীর বাজারে বর্তমানে ধান বিক্রি হচ্ছে ১১ শত থেকে ১৭ শত টাকা মন দরে। আর বিঘা প্রতি ধানের খড় বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৫ পাজার টাকা দরে।
আবার রাজবাড়ীতে ধান উৎপাদনের জমির পরিমাণ বিঘায় রূপান্তরিত করলে দাঁড়ায় ৫ লাখ ১৮ হাজার ৪১৫ বিঘা। এ জমির খড়ের বাজার মূল্য অন্তত ২ শত ৬০ কোটি টাকা বলে দাবি করেছেন কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে রাজবাড়ীর বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখাযায়, ধান কাটা শেষ। রাজবাড়ীর মাঠে মাঠে এখন চলছে ধানের খড় শুকানো-বিক্রি ও মজুদ করনের কাজ।
গোয়ালন্দ উপজেলা চর কর্নেশনা এলাকার কৃষক আমজাদ মোল্লা বলেন, সার ওষুধ কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় ধান চাষে খরচও হয়েছে বেশি। বাজারে যে মূল্যে ধান বিক্রি হচ্ছে এতে লোকসানে পরব আমরা । তাই ধানের ক্ষেত থেকেই বিক্রি হচ্ছে খড়। বর্তমানে এক বিঘা জমির কাচা খড় ৩ হাজার আর শুকনো খড় বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকা দরে। যা কিনে নিয়ে যাচ্ছে জেলার খামারিরা।
শামিম হোসেন নামে এক কৃষক বলেন, ধান চাষে খরচ বেশি পরায় প্রতি বছরই লোকসানে পরেন তারা। তবে গত দুই বছর যাবত জেলায় খামারের সংখ্যা বেরে যাওয়ায় ধানের খড়েরও চাহিদা বেড়েছে। এ খড় বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তারা।
কৃষক খলিলুর রহমান বলেন, এক বিঘা জমির ধান কাটতে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকার শ্রমিক প্রয়োজন হয়। খড় বিক্রি করে সেই টাকা উঠে আসে। তাই কৃষক ধানের সমান যত্ন খড়ে নিচ্ছেন। এছাড়াও খড় শুকানোর পর মজুত করে রাখলে বর্ষা মৌসুমে চাহিদা আরো বাড়ে দামও বেশি পাওয়া যায়। তখন একটি স্তূপ (পালা) খড়ের দাম দাঁড়ায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।
এদিকে জেলার বিভিন্ন মাঠ থেকে কাচা অবস্থায় খড় কিনে ঘোরার গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছে খামারীরা। খামারি স্বপন দাস বলেন, রাজবাড়ীতে দিন দিন খামারের সংখ্যা বাড়ছে। ধানের খড় কেটে টুকরো করে পানিতে ভিজিয়ে গরুকে খাওয়ানো হয়। আমরা এ মৌসুমে অন্তত ২০ লক্ষ্য টাকার খড় কিনে রাখব যা সারা বছর খামারের গরুগুলোকে খাওয়ানো হবে। আবার সেই গরুগুলোকে সামনে ঈদুল আযহায় বাজারে বিক্রি করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজবাড়ীর জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম রাসুল বলেন, রাজবাড়ীতে এ বছর ৬৯ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। যা থেকে বছরে ২ লাখ ৩৫ হাজার মেট্টিক টন ধান আর সম পরিমাণ খড় উৎপাদন হয়ে থাকে। শুধু ধানের খড় বিক্রি করে জেলার কৃষক প্রায় ৩ শত কোটি টাকা আয় করেছে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সোনারগাঁ ইউনিয়নের চৌরাপাড়া কবরস্থানে এ বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালন করেন। বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) বিকেলে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।
বৃক্ষরোপন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন সালু, সোনারগাঁ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাজি পিয়ার হোসেন নয়ন, যুগ্ম আহবায়ক আতিক হাসান লেনিন, সোনারগাঁ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এজাজ ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সানোয়ার হোসেন, যুবদল নেতা রুবেল নিলয়, সোনারগাঁ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল্লাহ, উপজেলা ছাত্রদল নেতা মাসুদ রানা বাবু, আশিকুর রহমান আশিক, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
বৃক্ষরোপন শেষে সোনারগাঁ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত দেলোয়ার হোসেনের মাগফেরাত কামনা, দোয়া ও কবর জিয়ারত করেন।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি অম্লান রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘জুলাই ৩৬ গেইট’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) ফটকটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম। এসময় অন্যান্যের মধ্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ.টি.এম মাহবুব-ই-ইলাহী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, হল প্রভোস্ট, রেজিস্ট্রার, দপ্তর প্রধানসহ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
‘জুলাই ৩৬ গেইট’ উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই ৩৬ গেইটটি শুধু একটি গেইট নয়, এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ের এক নিরব সাক্ষী। তরুণদের জন্য এটি একটি অনুপ্রেরণা যেন তারা ভুলে না যায়, কীভাবে অধিকার রক্ষায় মানুষ তাদের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘শহীদদের স্মরণ ও তাদের আত্মত্যাগকে চিরস্থায়ীভাবে গেঁথে রাখার জন্য সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত হয়েছে এই গেইট উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি আত্মত্যাগ ও একটি স্বপ্নের প্রতীক যে স্বপ্নে ছিল একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ।’
২৪ এর জুলাইয়ের শহীদ ও আহত বীর সন্তানদের প্রতি সম্মান জানিয়ে গেইটটির নাম ‘জুলাই ৩৬’ রাখা হয়েছে। নামটির প্রতিটি অংশে নিহিত আছে স্মৃতি ও প্রতিজ্ঞা। ৩৬ জুলাই কেবল অতীতের একটি দিন নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্য এক অনুপ্রেরণা, যা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই এবং ন্যায়বিচারের জয়কে চিরস্মরণীয় করে রাখবে।
সিকৃবির প্রধান প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন জানান সিকৃবির ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলামের প্রচেষ্টায় ও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্থাপনাটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
যশোরের বেনাপোল বন্দর এলাকা থেকে ২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ এক ভারতীয় ট্রাক চালককে আটক করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানায় পাসপোর্ট আইনে মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, পাসপোর্টগুলো দালালের মাধ্যমে ভারতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে পাসপোর্টগুলোতে গত ২৪ জুন সার্বিয়ার ভিসা লাগানো হয়। এরপর বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) ভারতীয় ট্রাক চালক বেচারাম পরামানিকের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। ওইদিনই রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেনাপোল বন্দরে দায়িত্বরত আনসারের হাতে পাসপোর্টগুলোসহ ধরা পড়েন বেচারাম পরামানিক।
বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার কমান্ডার হেলালউজ্জামান বলেন, ভারত থেকে অবৈধপন্থায় বেশকিছু বাংলাদেশি পাসপোর্ট বেনাপোলে পাঠানো হচ্ছে- এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে তারা আগে থেকেই সতর্ক ছিলেন। বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাকচালক বেচারাম পরামানিক একটি ব্যাগ হাতে কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে তার ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। ওই ব্যাগেই ২০টি পাসপোর্ট ছিল। পরে পাসপোর্টগুলোসহ বেচারাম পরামানিককে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়।
পাসপোর্ট আটকের খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে যান। তারা বোঝার চেষ্টা করেন যে এভাবে ভিসা লাগিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা ইউরোপের কোন দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন কি না।
তবে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল মিয়া বলেন, ইউরোপের অনেক দেশের ভিসা বাংলাদেশ থেকে নেয়া যায় না, ভারত থেকে নিতে হয়। কিন্তু ভারতের ভিসা না পাওয়ায় অনেকেই দালালের মাধ্যমে ভারতে পাসপোর্ট পাঠিয়ে ভিসা করিয়ে আবার দেশে নিয়ে আসছেন।
ওসি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, পাসপোর্টগুলোর মালিকরা শ্রমিক হিসেবে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা করিয়েছেন। তিনি বলেন, যে কারণেই হোক না কেন, এভাবে পাসপোর্ট অন্যের মাধ্যমে আরেক দেশে পাঠিয়ে ভিসা করার প্রক্রিয়াটাই বেআইনী। সেকারণে এ ব্যাপারে পাসপোর্ট আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
আটক হওয়া ২০টি পাসপোর্টের মালিকরা হলেন: ঢাকার দানেশ আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম, গাজীপুরের আব্দুর রশিদের ছেলে আবুল হোসেন, মানিকগঞ্জের আবুল কাশেমের ছেলে শরিফুল ইসলাম, নোয়াখালীর আব্দুল মোতালেবের ছেলে আব্দুল কাদের, আলাউদ্দীনের ছেলে আব্দুল আজিজ, সাহেব উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহিম, অমল চন্দ্র দাসের ছেলে রুপম চন্দ্র দাস, সাতক্ষীরার রেজাউল ইসলামের ছেলে তানভীর হাসান, নজরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেনের ছেলে পলাশ হোসেন, নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে জাকারিয়া, ইউনুচের ছেলে আবু সাঈদ, ফেনির মোরশেদ আলমের ছেলে আব্দুল করিম, নরসিংদীর বাতেন মিয়ার ছেলে ফাইম মিয়া, চাঁদপুরের মনোহর গাজীর ছেলে মোজাম্মেল হোসেন, নোয়াখালীর রফিউল্লাহর ছেলে ইমরান হোসেন, কিশোরগঞ্জের রিপন মিয়ার ছেলে অপূর্ব মিয়া, ঢাকার আব্দুল মজিদের ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাজি আব্দুল মান্নানের ছেলে ইসহাক ও সাতক্ষীরার খলিল গাজীর ছেলে হুমায়ুন কবীর।
‘ভানুমতী ভূতের হোটেল’ ছবির শুটিং চলাকালীন তীব্র ব্যথায় কাবু হয়ে ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এই ঘটনায় তার ভক্ত ও সহকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। অভিনেত্রী নিজেই তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি বুঝি, সব ঘটনার পিছনে কোনো কারণ থাকে।’
‘গতকাল আমি ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’ ছবির শুটিং করছিলাম। হঠাৎ অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। মনে হচ্ছিল, পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন যন্ত্রণা। সঙ্গে সঙ্গে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে কঠিন যন্ত্রণার সঙ্গে আমি লড়াই করছি। সমস্ত সহ-অভিনেতাদের সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ। এই ছবি আমার কাছে খুব বিশেষ।’
তার কথায়, ‘প্রতিজ্ঞা করছি, যাই ঘটে যাক এই ছবিকে আমি আরও বিশেষ করে তুলব। আমার চিকিৎসার কথা মাথায় রেখেই আমার পরিচালক ও প্রযোজকেরা শুটিংয়ের দিন ক্ষণ সাজাচ্ছেন। নিজের চোখের খেয়াল রাখার চেষ্টা করছি এবং শুটিংও করছি।’
তিন ওয়ানডে সিরিজে টিকে থাকার লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল শনিবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে সফরকারী বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়।
একই ভেন্যুতে শ্রীলংকার কাছে প্রথম ম্যাচে ৭৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। নিজেদের ইনিংসে ২৬ বলে ৫ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে লজ্জার হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা। দলের এমন অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধস ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ভক্তদেরও হতাশ করেছে।
ব্যাটিং ধসের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ পেসার তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘আমি ড্রেসিংরুমে কফি খাচ্ছিলাম এবং হঠাৎ করেই পাঁচ উইকেট পড়ে গেল। আশা করি, পরের ম্যাচেই আমরা ঘুরে দাঁড়াব এবং সবাই ভুল থেকে শিক্ষা নেবে।’
শ্রীলংকার ছুঁড়ে দেওয়া ২৪৫ রানের টার্গেটে ১ উইকেটে ১০০ রান তুলে ভালো অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। এরপর ২৬ বলে ৫ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর রান আউট দিয়ে টাইগাদের ব্যাটির ধস শুরু হয়।
এরপর নিজের প্রথম ওভারে দুই উইকেট শিকার করেন শ্রীলংকার স্পিনার হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। লিটন দাসকে শূন্য হাতে এবং বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা তানজিদ হাসান তামিমকে(৬২) থামান ডি সিলভা।
হাসারাঙ্গার সাথে অন্য প্রান্ত দিয়ে কামিন্দু মেন্ডিসের ঘূর্ণিতে হারের মুখে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। তানজিদের আউটের পরই বাংলাদেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বলে জানান তাসকিন।
৪৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে শ্রীলংকাকে ২৪৪ রানে গুটিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা তাসকিন বলেন, ‘দুর্দান্ত শুরুর পর, আমরা কিছুটা স্বস্তিতে ছিলাম। সবকিছু আমাদের পক্ষেই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ সেই রান আউট এবং ক্রিজে সেট ব্যাটার তানজিদ আউট হয়ে গেল। এরপর আমরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারিনি এবং চাপের মুখে ভেঙে পড়েছিলাম। পরিসংখ্যান মতে এটি লো স্কোরিং মাঠ। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে এবং ম্যাচ হারার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। তারপরও ম্যাচটি আমাদের হাতে ছিল এবং আমরা আরও ভাল করতে পারতাম।’
সিরিজে সমতা ফেরাতে হলে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের খেলায় উন্নতি দরকার বলে মনে করেন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের পারফরমেন্সের উন্নতি ঘটানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজে টিকে থাকতে হলে এটি অপরিহার্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সেরা ১৫-২০ জন খেলোয়াড় নিয়ে দল গঠিত। বোলিং-ব্যাটিং মিলিয়ে ও খেলার সচেতনতার অভাবে আমরা শীর্ষ দলগুলোর থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছি। আমরা একটি ভালো পরিবেশ এবং সংস্কৃতির মাধ্যমে এটি উন্নত করার চেষ্টা করছি।’
এখন পর্যন্ত শ্রীলংকার বিপক্ষে ৫৮ ম্যাচ খেলে মাত্র ১২টি জিতেছে বাংলাদেশ। ৪৪টিতে হার ও দু’টি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।
ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বশেষ সাত ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছে বাংলাদেশ। গত বছর আফগানিস্তানের কাছে ২-১ ব্যবধানে হারা সিরিজে সর্বশেষ জয় পেয়েছিল টাইগাররা। ঐ সিরিজের শেষ ম্যাচে হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টানা তিন ওয়ানডে এবং এ বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে হারে তারা।
টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাবার পর শ্রীলংকার কাছে হারে বাংলাদেশ।
শ্রীলংকার মাটিতে বাংলাদেশের ওয়ানডে রেকর্ড হতাশাজনক। ২৫ ম্যাচ খেলে মাত্র ২টিতে জয়, ২১টিতে হার ও ২টি পরিত্যক্ত হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে শ্রীলংকার মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল টাইগাররা।
পক্ষান্তরে, সর্বশেষ পাঁচ সিরিজের চারটিতেই জিতেছে শ্রীলংকা। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে আরও একটি সিরিজ জয় নিশ্চিত করার লক্ষ্য থাকবে লংকানদের।
বাংলাদেশ দল : মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, মোহাম্মদ নাইম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, লিটন দাস, জাকের আলী, শামীম পাটোয়ারি, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ।
শ্রীলংকা দল : চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, আভিস্কা ফার্নান্দো, নিশান মাধুশকা, কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, কামিন্দু মেন্ডিস, জেনিথ লিয়ানাগে, দুনিথ ওয়েলালাগে, হাসারাঙ্গা ডি সিলভা, মহেশ থিকশানা, জেফরি ভান্ডারসে, মিলান রত্নায়েকে (ফিট থাকা সাপেক্ষে), দিলশান মাধুশঙ্কা, আসিথা ফার্নান্দো ও ইশান মালিঙ্গা।
মন্তব্য