চাঁদ অভিমুখী নাসার মহাকাশযান উৎক্ষেপণের ৯ ঘণ্টার কম সময়ে এটির ক্যাপসুল ওরিয়ন তার অবস্থান থেকে পৃথিবী এবং ক্যাপসুলের ভেতরের ছবি পাঠিয়েছে। ৯২ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে পৃথিবীকে ছোট একটি বিন্দুর মতো দেখায়।
স্পেস লঞ্চ সিস্টেম বা এসএলএস ব্যবস্থার সাহায্যে ক্যাপসুল ওরিয়ন ৬ দিনের সফর শেষে চাঁদের চারপাশের কক্ষপথে পৌঁছাবে ২১ নভেম্বর। চন্দ্রপৃষ্ঠের ১০০ কিলোমিটার উপর থেকে পরের ১০ দিনে চাঁদে মানুষের টিকে থাকার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে ওরিয়ন।
নাসার এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে মিশন আর্টেমিস ওয়ান। এটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। তাই এতে কোনো মানুষ থাকছে না। সফল হলে, পরবর্তী উৎক্ষেপণে মহাকাশযানটির ক্যাপসুলে থাকবেন মহাকাশচারী।
ছবি তোলার সময় ক্যাপসুলটি পৃথিবী থেকে ৫৭ হাজার মাইল (৯২ হাজার কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছিল; ক্যাপসুলটি প্রায় ৫ হাজার ৫০০ মাইল (৮ হাজার ৮০০ কিলোমিটার) বেগে তখন চাঁদের দিকে ছুটছিল।
As @NASA_Orion begins the #Artemis I mission to the Moon, the spacecraft captured these stunning views of our home planet. pic.twitter.com/Pzk3PDt7sd
— NASA Artemis (@NASAArtemis) November 16, 2022
ক্যাপসুল থেকে সরাসরি সম্প্রচারের দৃশ্য নাসার ওয়েবসাইটে শেয়ার করার সময় নাসার মুখপাত্র স্যান্ড্রা জোনস বলেন, ‘পৃথিবীর এই দৃশ্য মানববহনে সক্ষম একটি মহাকাশযান থেকে ধারণ করা হয়েছে। প্রায় ৫০ বছর আগে ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো মিশনের পর এটা দেখা যায়নি।
‘মহাকাশের অন্ধকারে নীল মার্বেলের (পৃথিবী) দৃশ্য নতুন প্রজন্মের কল্পনার বাস্তব রূপ…দ্য আর্টেমিস জেনারেশন।’
সেলফির পাশাপাশি ক্যাপসুলের ভেতরের একটি দৃশ্যও প্রকাশ করেছে নাসা। এতে কমলা স্যুটে কমান্ডার মুনিকিন ক্যাম্পোসকে (তথ্য সংগ্রহকারী রোবট) দেখা যায়। অভিযান সফল হলে মহাকাশচারীরা পরবর্তী ফ্লাইটে এই স্যুট পরে চাঁদ ভ্রমণে যাবেন।
এ ছাড়া ভেতরের দৃশ্যে ‘ক্যালিস্টো এক্সপেরিমেন্ট’ দেখা যায়। কীভাবে বাণিজ্যিক প্রযুক্তি ভবিষ্যতের মহাকাশচারীদের গভীর মহাকাশ অভিযানে সহায়তা করতে পারে, এটি দেখার জন্য এই প্রযুক্তিটি ব্যবহার হয়েছে অভিযানে। এই ছবির ডানে ওরিয়নের একটি জানালা দেখা যায়।
নাসা জানায়, অন্য দুটি ক্যামেরা মহাকাশযানের ভেতরে অবস্থিত; একটি ক্যাপসুলের সামনের জানালার বাইরের দিকে মুখ করা, অন্যটি হ্যাচ উইন্ডোর ঠিক ওপরে বাইরের দিকে তাক করা।
‘সেলফির’ বাঁ দিকে ওরিয়ন ক্যাপসুলের পাশাপাশি অরবিটাল ম্যানুভারিং সিস্টেমকে (ওএমএস) দেখা যায়। ওএমএস হলো স্পেস শাটলে ব্যবহৃত হাইপারগোলিক লিকুইড-প্রপেলান্ট রকেট ইঞ্জিনগুলোর একটি ব্যবস্থা। বিশাল এই ইঞ্জিনের সাহায্যে ক্যাপসুল ওরিয়ন চাঁদের চারপাশে ঘুরে বেড়াবে।
এ ছাড়া ছবিতে ক্যাপসুলের একটি সোলার প্যানেলও ধরা পরেছে। বলা হচ্ছে, বাহনটিতে চারটি সোলার প্যানেল রয়েছে; যেগুলো আড়াআড়িভাবে সাজানো।
পৃথিবীতে পাঠানো ছবিটি এই চার সোলার প্যানেলের একটির মাধ্যমে তোলা হয়েছে। নাসা এগুলোর নাম দিয়েছে ‘সোলার অ্যারে উইংস’ সংক্ষেপে এসএডব্লিও।
ওরিয়ন প্রোগ্রামের কর্মকর্তা ডেভিড মেলেন্দ্রেজ বলেন, ‘ওরিয়নে চারটি সোলার অ্যারে (ডেটা স্ট্রাকচার) উইং আছে। প্রতিটিতেই একটি করে উন্নত প্রযুক্তি ক্যামেরা যুক্ত আছে; এগুলোকে মহাকাশে ব্যবহারের জন্য পরিবর্তিত করা হয়েছে। এ কারণে এ ক্যামেরাগুলো মহাকাশযানের বাইরের অংশের ছবি তুলতে পারে।’
আর্টেমিস ওয়ানের স্পেসক্রাফট মোট পাঁচ দিন চাঁদের চারপাশে ঘুরবে। সোমবার চাঁদের সবচেয়ে কাছে অবস্থান করবে। যাত্রাপথ বদলের আগে সেখানে কিছুদিন অবস্থান করে চাঁদের মাটিতে নামার সম্ভাব্য স্থানগুলো চিহ্নিত করবে এটি। ২৫ দিনের অভিযানের সমাপ্তি ঘটবে ১১ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন:
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ৪৩টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করার কথা ভাবছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।
রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্টের আগের মেয়াদের চেয়ে নতুন এই নিষেধাজ্ঞার পরিধি বড় হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানায়।
কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এরই মধ্যে ‘লাল’, ‘কমলা’ ও ‘হলুদ’ ক্যাটাগরিতে খসড়া তালিকা তৈরি করেছে। এতে তিনটি ধাপে ৪৩টি দেশের নাম রয়েছে।
তালিকায় প্রথম ধাপের ১১টি দেশ হলো আফগানিস্তান, ভুটান, কিউবা, ইরান, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা ও ইয়েমেন। এসব দেশের নাগরিকদের পূর্ণাঙ্গ ভিসা বাতিল হতে পারে।
দ্বিতীয় ধাপের দেশগুলোর—বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ সুদান ও তুর্কমেনিস্তান—ওপর আংশিক ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এসব দেশের পর্যটন ভিসা, শিক্ষার্থী ভিসা, অভিবাসন ভিসায় প্রভাব পড়তে পারে।
অর্থাৎ বিধিনিষেধ আরোপ হলেও এসব দেশের ভিসা পুরোপুরি বাতিল করা হবে না। এ ১০ দেশের ধনী ব্যবসায়ীরা ভ্রমণ করতে পারলেও ভ্রমণ কিংবা অভিবাসন ভিসায় সাধারণ নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারবেন না।
শেষ গ্রুপে থাকা দেশগেুলোর সরকার নিরাপত্তা তথ্য সংক্রান্ত ঘাটতি মেটাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে এসব দেশের নাগরিকদের ভিসায় আংশিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।
দেশগুলো হলো অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগা ও বার্বুডা, বেলারুশ, বেনিন, ভুটান, বুরকিনা ফাসো, কেপ ভার্দে, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, শাদ, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ডোমেনিকা, নিরক্ষীয় গিনি, গাম্বিয়া, লাইবেরিয়া, মালাউই, মৌরিতানিয়া, কঙ্গো, সেন্ট কিট্স ও নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপি, সিয়েরা লিওন, পূর্ব তিমুর, তুর্কমেনিস্তান, লাইবেরিয়া, মালি, জিম্বাবুয়ে ও ভানুয়াতু।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ তালিকা তৈরি করেছেন। হোয়াইট হাউসে পৌঁছার আগে তালিকায় কিছুটা রদবদল হতে পারে এবং এখনও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ ট্রাম্প প্রশাসনের অনুমোদন মেলেনি।’
এখন খসড়া তালিকা পর্যালোচনা করছে বিভিন্ন দূতাবাস, আঞ্চলিক ব্যুরো, বিভিন্ন বিভাগ ও গোয়েন্দা সংস্থার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদেও সাতটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। তার ওই পদক্ষেপ অনেক আইনি লড়াই পেরিয়ে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন পায়।
দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি শনাক্তে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ইচ্ছুক সব বিদেশির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই জোরদারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ওই নির্দেশে ‘নিরাপত্তা যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাবে না’ এমন দেশগুলো শনাক্ত করে সেগুলোর মধ্যে কোনটির ওপর পূর্ণাঙ্গ, কোনটির ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায়, তার তালিকা ২১ মার্চের মধ্যে জমা দিতে মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যকে বলাও হয়েছিল।
এ দফায় ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি গাজা ভূখণ্ড, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং ‘আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি যে কারও’ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ আটকে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনের সংঘাত নিষ্পত্তির শর্তাবলীতে রাশিয়া একমত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ফ্লোরিডা যাওয়ার আগে ওয়াশিংটনের নিকটস্থ জয়েন্ট বেজ অ্যান্ড্রুজে সাংবাদিকদের ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা রাশিয়া থেকে বেশ কিছু ভালো খবর পেয়েছি। আমি মনে করি, রাশিয়া আমাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চলেছে, আমি এটা আশা করি।’
ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা তাস জানায়, কী খবর পেয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প।
মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মধ্যে কথোপকথনের বিষয়টি উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি এবং ইউক্রেন অপেক্ষা করছে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি এবং শেষ পর্যন্ত একটি চুক্তি নিয়ে আমি রাশিয়া থেকে বেশ কিছু ভালো অনুভূতি পাচ্ছি।’
এর আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পুতিন বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে অভ্যর্থনা জানান এবং তাকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে বলেন।
আরও পড়ুন:যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন সম্মতি দেওয়ার পর এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে রাশিয়া।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া বর্তমানে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধবিরতিতে সায় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির সুযোগটি কাজে লাগাবেন, নাকি তা প্রত্যাখ্যান করবেন?
সৌদি আরবের জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এক মাসের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়াকেও একই প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে জানান, শিগগিরই রাশিয়া-ইউক্রেনকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব দেওয়া হবে।
ইউক্রেন প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে উল্লেখ করে রুবিও বলেন, যদি রাশিয়াও শান্তির হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে এতদিনের চলমান যুদ্ধ বন্ধ হতে খুব বেশি দেরি নেই। কিন্তু রাশিয়া যদি এ প্রস্তাব মেনে না নেয়, তাহলে শান্তি আলোচনায় অনিশ্চয়তা দেখা দেবে।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণে বলা হয়, যুদ্ধবিরতিতে রাশিয়ার রাজি হওয়া না হওয়া বহুমুখী হিসাব-নিকাশের ওপর নির্ভর করছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি অবধি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাফ জানিয়ে এসেছেন, কোনো ধরনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আগ্রহ তার নেই। যদি শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করতেই হয়, সেটি হতে হবে স্থায়ী সমাধান।
বর্তমানে যুদ্ধে অনেকটাই কোণঠাসা ইউক্রেন। রাশিয়ার সেনারা ভালো অবস্থানে রয়েছে। তা ছাড়া পুতিন বারংবার বলেছেন, সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ পাবেন। এ পরিস্থিতিতে পুতিন ট্রাম্পের মন রাখবেন নাকি যুদ্ধ চালিয়ে ইউক্রেনে জয়ের পথেই হাঁটবেন তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।
মূলত, ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে। বিশেষ করে ১২ ফেব্রুয়ারি পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের একান্ত ফোনালাপ এবং এরপর একের পর এক রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমেরিকানদের বৈঠকই চলমান যুদ্ধের আশু সুরাহার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন কূটনীতিকরা।
রাশিয়ার পদক্ষেপ এখনও স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না বলে মনে করেন তারা।
সৌদিতে বৈঠকের পর বেশ কৌশলের সঙ্গে ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত না জেনে কোনো মন্তব্য জানানো হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চায় না বলেই রাশিয়া এমন কৌশলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বলে মন্তব্য করেন কিছু বিশ্লেষক।
রুশ-আমেরিকানদের সাপে-নেউলের সম্পর্কের বাইরে গিয়ে ট্রাম্প-পুতিন সখ্য কিন্তু বিশ্ব পাড়ায় মোটেই অজানা নয়। তবে এ সখ্যই সব নয়। এর বাইরে আছে ইউক্রেনের খনিজের প্রতি ট্রাম্পের চোখ আর কিয়েভের ভূমির ওপর পুতিনের লোভ।
শেষ কয়েক দিনের যুদ্ধে ভালোই এগিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর কুরুস্কের বেশির ভাগ এলাকা এখন রাশিয়ার দখলে।
দর কষাকষিতে কুরুস্ককে নিজেদের হাতে রাখতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। তবে দিন দিন তা কঠিন হয়ে উঠছে তার সেনাদের জন্য।
আবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নজিরবিহীন বাকবিতণ্ডা এবং পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করার অভিযোগ নিয়ে আমেরিকা ত্যাগের মতো ঘটনা এতদিন জেলেনস্কিকে ভালোই ভুগিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, শান্তি চুক্তির প্রতি যতদিন না আগ্রহ দেখাবে ইউক্রেন, ততদিন বন্ধ থাকবে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা। নিজের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদেই বর্তমান বাস্তবতাকে মেনে নিতে হচ্ছে জেলেনস্কির।
প্রশ্ন হলো পুতিন কেন আপস করবে? বাইডেন প্রশাসনের সময়ে হাজারখানেক নিষেধাজ্ঞার ভারেও নতজানু না হওয়া পুতিন কেন এত সহজে রাজি হবে যুদ্ধবিরতিতে?
এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি এস পেশকভের সাক্ষাৎকারে।
পেশকভ জানান, জেদ্দার আলোচনার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ও পর্যবেক্ষণ করছে মস্কো। এখনই হলফ করে কিছু বলা না গেলেও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের আরেক দফা ফোনালাপের পর রাশিয়া নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে।
প্রথমবার ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপে ইতোমধ্যে দখলকৃত ইউক্রেনের ভূমি নিয়ে ফয়সালা, কোনোভাবেই ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদান করতে না দেওয়ার ওয়াদা এবং পূর্ব-মধ্য ইউরোপে ন্যাটোর হম্বিতম্বি কমিয়ে আনার ব্যাপারে পুতিন জোরালো দাবি তুলেছেন বলে খবর পাওয়া যায়।
চলতি সপ্তাহেই ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের জানান, আবারও পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন তিনি।
বার্তা সংস্থা এপির নিশ্চিত করা এ তথ্য থেকেই চূড়ান্ত দরকষাকষির আভাস পাচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এর আগে ট্রাম্প বেশ কয়েকবার তার বক্তব্যে আভাস দিয়েছেন, এ চুক্তিতে ইউক্রেনকে ছাড় দিতে হবে। এতদিন ইউক্রেন ছাড় দিতে রাজি না থাকলেও এবার বাধ্য হয়েই আপসের পথে হাঁটতে হতে পারে দেশটি।
রুশ রাজনৈতিক বিশ্লেষক এলিয়া গ্রাশ্চিনেকভ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সাদা চোখে এ চুক্তিতে কারও বিজয় হয়নি মনে হলেও রাশিয়া কৌশলগত বিজয় নিশ্চিত করেই চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মতি দেবে।’
রাশিয়া কৌশলগত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এ কথা উঠে এসেছে মস্কোর সংবাদ সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনেও। বলা হয়েছে, রুশ প্রতিনিধিরা জেদ্দায় না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান জন র্যাটক্লিফ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন রুশ প্রশাসনের সঙ্গে।
ট্রাম্পের প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ গত মাসেও রাশিয়ায় পুতিনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছেন এবং আগামীতেও তার রাশিয়া সফরের সম্ভাবনা রয়েছে।
এখানে একটা বিষয় লক্ষ্য করার মতো। তা হলো এ পুরো আলোচনায় ইউরোপকে তোয়াক্কাই করছে না ট্রাম্প প্রশাসন।
ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের ঘটনায় এরই মধ্যে দুই ভূখণ্ডের সম্পর্ক অনেকটাই শীতল। ন্যাটো নিয়েও ট্রাম্প খুশি নন। শপথ নিয়েই দাবি জানিয়েছেন ন্যাটোর বাজেট বাড়ানোর।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও তার উপদেষ্টা ইলন মাস্কও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো থেকে বের হয়ে যাওয়া উচিত।
এদিকে ডেনমার্কের কাছ থেকে গ্রিনল্যান্ড আদায় চেষ্টার ইস্যুতেও ইউরোপের সঙ্গে কয়েক দফা মন কষাকষি হয়েছে ট্রাম্পের। সব মিলিয়ে ইউরোপ-আমেরিকার ঐতিহাসিক সম্পর্ককে ভেঙে রাশিয়ামুখী হওয়াকে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কংগ্রেস সদস্য ভালো চোখে না দেখলেও এটাই এখন বাস্তব।
এ বাস্তবতাকে পুঁজি করেই রুশ কূটনৈতিক বিশ্লেষক স্যামুয়েল শ্যারাপ বলেন, ‘ওয়াশিংটনের সঙ্গে বর্তমানে মস্কোর সম্পর্ক যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো। ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যকার উষ্ণতার বিচার-বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায়, যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে তা মস্কো মেনে নিলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
শুরুতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের পথ রচিত হলেও পরবর্তী সময়ে হয়তো এ এক মাসের যুদ্ধবিরতিই স্থায়ী যুদ্ধ বন্ধের সূচনা করবে এবং তিন বছর ধরে চলা এ সংঘাতের অবসান হবে বলে মত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকের।
আরও পড়ুন:স্কটল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টার্নবেরি গলফ রিসোর্টে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরাতে ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনপন্থি ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন‘ নামের একটি সংগঠন এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে সংগঠনটি।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে জানানো হয়, ট্রাম্পের গাজা নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য ও পরিকল্পনার কারণে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনি মানুষ ও তাদের সমর্থকরা। এরই জেরে এ হামলা ঘটিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন সংগঠনের সদস্যরা।
টার্নবেরি রিসোর্টটি ভাঙচুর করার পাশাপাশি রিসোর্টের দেয়ালে লাল রং দিয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন গ্রাফিতি অংকন করা হয়েছে। রিসোর্টের সবুজ মাঠে লাল রং দিয়ে লেখা হয়েছে ‘গাজা বিক্রির জন্য নয়’।
সংগঠনটির কর্মীরা জানান, ট্রাম্প গাজাকে নিজের সম্পত্তির মতো মনে করে, যা খুশি তাই করতে পারে না। তারই প্রতিবাদ এটা।
তারা বলেন, ‘আমরা ট্রাম্পকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিতে চাই, আমাদের প্রতিরোধ থেকে তার নিজের সম্পত্তিও নিরাপদ নয়।’
ফিলিস্তিনিনের এই হামলাকে ট্রাম্প ‘শিশুসুলভ, অপরাধমূলক’ কার্যক্রম হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তার পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন আসবে না।
আরও পড়ুন:দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রাজনৈতিক সমীকরণ ঢেলে সাজাতে উঠেপড়ে লেগেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ উদ্যোগ পৌঁছেছে ইরানের দ্বারপ্রান্তেও।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি পাঠিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। আলোচনায় না বসলে সামরিক অভিযানের হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি ইরানের নেতাদের উদ্দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির উদ্দেশে বলেছি, আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন। কারণ, এটি ইরানের জন্য ভালো হবে।’
একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানালে বিষয়টিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় তেহরানের কল্যাণে সমঝোতাই যুক্তিসঙ্গত হবে।
যদিও ট্রাম্পের এই দাবি অস্বীকার করেছে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন। তারা জানিয়েছে, এমন কোনো চিঠির বিষয়ে অবগত নয় তারা।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ট্রাম্পের চিটি পাঠানোর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
তিনি শুক্রবার এএফপিকে বলেন, শক্তি প্রয়োগ করলে তারা পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘কৌশলগত বিটকয়েন রিজার্ভ’ তৈরির নির্বাহী এক আদেশে সই করেছেন।
হোয়াইট হাউস ক্রিপ্টো এবং এআই জার ডেভিড স্যাকস বলেছেন, রিজার্ভটি কেবল ফৌজদারি এবং দেওয়ানি বাজেয়াপ্তির মামলায় জব্দ করা বিটকয়েন দিয়ে অর্থায়ন করা হবে, যাতে করদাতাদের কোনো আর্থিক বোঝা বহন করতে না হয়।
এ আদেশে অন্যান্য বাজেয়াপ্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি সংরক্ষণের জন্য ট্রেজারি বিভাগ পরিচালিত আমেরিকান ডিজিটাল সম্পদ মজুতও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, অনুমান অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রায় ২ লাখ বিটকয়েন নিয়ন্ত্রণ করে। যদিও এর পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা কখনও করা হয়নি।
ট্রাম্পের আদেশে ফেডারেল ডিজিটাল সম্পদের ধারণক্ষমতার একটি বিস্তৃত হিসাব রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং রিজার্ভ থেকে বিটকয়েন বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটিকে মূল্যের স্থায়ী ভান্ডার হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে বিটকয়েন বিলিয়নেয়ার টাইলার উইঙ্কলভস লিখেন, ‘ওএক্সআরপি, এসওএল অথবা এডিএর বিরুদ্ধে আমার কিছু বলার নেই, কিন্তু আমি মনে করি না যে এগুলো স্ট্র্যাটেজিক রিজার্ভের জন্য উপযুক্ত।
‘বিশ্বে এ মুহূর্তে কেবল একটি ডিজিটাল সম্পদই সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে এবং সেই ডিজিটাল সম্পদ হলো বিটকয়েন।’
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার শেষের দিকে এসওএল, ইথার এবং বিটকয়েনের দাম প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে, যেখানে এডিএর দাম প্রায় ১২ শতাংশ কমেছে।
ঘোষণার আগে ক্যাসেল আইল্যান্ড ভেঞ্চারের নিক কার্টার সিএনবিসিকে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধু বিটকয়েন-রিজার্ভের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলে বিটকয়েনকে বিশ্বব্যাপী সম্পদ হিসেবে অনুমোদন করা হবে।
আরও পড়ুন:পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
দেশ দুটির নিরাপত্তা ও যাচাই-বাছাইয়ের ঝুঁকি পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে এমন সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে।
পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন এমন খবর দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনটি সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, এই দুই দেশের বাইরেও অনেক দেশ এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় পড়তে পারে। তবে সেই সব দেশের নাম জানা যায়নি। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই নিষেধাজ্ঞা আসতে যাচ্ছে।
প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের সময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সাতটি দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। পরবর্তী সময়ে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০২১ সালে এ নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেন।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ফলে শরণার্থী হিসেবে ও বিশেষ অভিবাসন ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ছাড়পত্র পাওয়া কয়েক হাজার আফগান বিপাকে পড়তে পারেন। ২০ বছর ধরে চলা আফগান যুদ্ধে আমেরিকান সামরিক বাহিনীর হয়ে কাজ করার কারণে তারা তালেবানের প্রতিশোধের শঙ্কার মধ্যে আছেন।
নিরাপত্তা ঝুঁকি শনাক্তে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে যাওয়া বিদেশিদের যাচাই-বাছাই আরও কঠোর করতে গেল ২০ জানুয়ারি একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প।
যেসব দেশের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করা রয়েছে, সেই তালিকায় আফগানিস্তানের নাম থাকবে বলে জানিয়েছে সূত্র। পাকিস্তানকেও এই তালিকায় রাখতে সুপারিশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিচার মন্ত্রণালয়, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের কার্যালয়ের কাছ থেকে কোনো সাড়া পায়নি ডন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য