যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অত্যাধুনিক ও শক্তিশালী রকেট ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম’ বা এসএলএস চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে ২৯ আগস্ট।
আর্টেমিস প্রোগ্রামের আওতায় ফ্লোরিডা থেকে যাত্রা শুরু হবে মনুষ্যবিহীন রকেটটির।
৫২ বছর আগে ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো ১১ অভিযানের মাধ্যমে প্রথম চাঁদে মানুষ পাঠায় নাসা। ওই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নিল আর্মস্ট্রং প্রথম চাঁদে পা রাখেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ১২ নভোচারী চাঁদে হাঁটতে সক্ষম হন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভিহিকেল অ্যাসেম্বলি বিল্ডিং থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে লঞ্চিংপ্যাড কেনেডি স্পেস সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় ৩৩২ ফুট লম্বা ৩৫ লাখ পাউন্ড ওজনের রকেটটিকে। পরীক্ষার সময়, রকেটের মূল অংশে মাত্র সাত সেকেন্ডে দেড় মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি শক্তি তৈরি করা গেছে।
গ্রিক দেবী আর্টেমিসের নামে রাখা এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য এসএলএস রকেটের ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখা। মহাকাশে অতি গতির ঘর্ষণ এবং তীব্র গরমের আঘাত সয়ে যেতে সাড়ে ১৬ ফুট পুরু তাপ-নিরোধক হিটশিল্ড রয়েছে এতে। ফলে এটি পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসার কঠিন যাত্রা সইতে পারবে।
নাসার পরিচালিত বাণিজ্যিক স্পেসফ্লাইট কোম্পানিগুলোর এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মানুষ পাঠানো হবে।
নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘মহাকাশ বিষয়ে গভীর অনুসন্ধান চালাতে আর্টেমিস-ওয়ান সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি ক্রুসহ আর্টেমিস-টু পাঠানোর আগে পর্যাপ্ত তথ্য দেবে এটি। এ ছাড়া চাঁদে মানুষের অবস্থানের ক্ষমতা সম্প্রসারণেও আর্টেমিস-ওয়ান সহায়তা করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল সফরে সময় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়া সোমবার তার পূর্ব জলসীমায় বেশ কয়েকটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। ব্লিঙ্কেন এ সময় গণতন্ত্রের শীর্ষ সম্মেলনের জন্য সিউল সফরে আছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ সোমবার সকালে উত্তর কোরিয়ার দ্বারা ‘বেশ কয়েকটি’ সন্দেহজনক স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ শনাক্তকরণের কথা জানিয়েছেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সংসদীয় অধিবেশনে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপানের মধ্যবর্তী জলসীমায় পড়েছে, তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সমালোচনা করেছে এবং বিষয়টি অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছে।
ব্লিঙ্কেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল আয়োজিত সম্মেলনে যোগ দিতে সিউল সফর করছেন।
ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণ পরে গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী মঞ্চে ওঠেন ব্লিঙ্কেন ও ইউন সুক-ইওল।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রে বেতন কর্তন ছাড়া সাপ্তাহিক কর্মদিবস কমিয়ে চার দিন করার জন্য বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে উত্থাপন করা বিলের ওপর বক্তব্য দিয়েছেন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স।
এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্যান্ডার্স উত্থাপিত ‘থার্টি-টু আওয়ার ওয়ার্ক উইক অ্যাক্ট’ শিরোনামের বিলটি পাস হলে চার বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক আদর্শ কর্মঘণ্টা ৪০ ঘণ্টা (৮ ঘণ্টা করে পাঁচ দিন) থেকে কমে ৩২ ঘণ্টা (আট ঘণ্টা করে চার দিন) হবে।
বিলটির বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্যান্ডার্স বলেন, প্রযুক্তিগত উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উৎপাদনশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে শ্রমিকদের হিস্যা নিশ্চিতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে বিলটি।
এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে বার্নি স্যান্ডার্স বলেন, বেতন কর্তন ছাড়া ৩২ ঘণ্টার কর্মঘণ্টায় যাওয়াটা আমূল পরিবর্তনের বিষয় নয়।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমেরিকান শ্রমিকদের উৎপাদন সক্ষমতা ১৯৪০-এর দশকের শ্রমিকদের চেয়ে ৪০০ শতাংশের বেশি, কিন্তু তা সত্ত্বেও কয়েক দশক আগের চেয়ে কম বেতনের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেন লাখ লাখ আমেরিকান। এর বদল দরকার।’
যুক্তরাষ্ট্রের এ আইনপ্রণেতা বলেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা ও নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে আর্থিক যে লাভ হচ্ছে, তার সুবিধা অবশ্যই পেতে হবে শ্রমিক শ্রেণিকে। এ সুবিধা শুধু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কিংবা ওয়াল স্ট্রিটের বিত্তবান অংশীজনরা পেলে হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে চাপের মাত্রা কমিয়ে আমেরিকানদের উন্নতমানের জীবন উপভোগের এখনই সময়। বেতন কর্তন ছাড়া ৩২ ঘণ্টার সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টার সময় এখনই।’
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছরের মধ্যে চীনের জনগণের মধ্যে সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরির অংশ হিসেবে গোপন অভিযানে নামতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএকে ডনাল্ড ট্রাম্প অনুমতি দিয়েছিলেন বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন আমেরিকার সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা।
অতি গোপন অভিযান সম্বন্ধে প্রত্যক্ষভাবে জানা তিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক বক্তব্য প্রচারে ছোট একটি দল তৈরি করে সিআইএ, যার সদস্যরা অনলাইনে ভুয়া আইডি ব্যবহার করতেন। এ দলের সদস্যরা বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলোর কাছে চীনা কর্মকর্তাদের জন্য অপমানজনক গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস করতেন।
সিআইএকে দিয়ে ট্রাম্পের চীনবিরোধী তৎপরতা শুরু হয় ২০১৯ সালে, যা নিয়ে রয়টার্সের আগে প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি কোনো সংবাদমাধ্যম।
বিগত এক দশকে দ্রুততার সঙ্গে বৈশ্বিক প্রভাব বৃদ্ধির পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে সামরিক চুক্তি, বাণিজ্য চুক্তি ও ব্যবসায়িক অংশীদারত্ব গড়েছে চীন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানায়, সিআইএর দলটি চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পাওয়া অর্থ বিদেশে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ প্রচার করে।
এসব অভিযানের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিশদ বিবরণ দিতে রাজি হননি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। তাদের ভাষ্য, চীনের কর্মকর্তাদের জন্য অপমানজনক বয়ানগুলো বাস্তব ঘটনার ভিত্তিতে তৈরি হলেও গোয়েন্দা দল গোপন পরিচয়ে সেগুলো প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন:জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র।
চীন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিকে নিষিদ্ধ করতে স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
৩৫২-৬৫ ভোটে এই বিলটি পাস হওয়ার পর এখন তা সিনেটের অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায়। এরপর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সই করলে বিষয়টি আইনে পরিণত হবে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, টিকটকের মূল সংস্থা বাইটড্যান্সের নিয়ন্ত্রণে থাকা অংশ বিক্রি করতে ছয় মাস সময় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, এর মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে টিকটক ব্লক করে দেবে তারা।
আইনপ্রণেতারা টিকটকের ওপর চীনের প্রভাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় টিকটকে, যুক্তরাষ্ট্রে এর ব্যবহারকারী ১৭০ মিলিয়নেরও বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন নিশ্চিত করে জো বাইডেন বলেছেন, দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে প্রার্থী বাছাই করতে হবে ভোটারদের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পেতে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রয়োজনীয়সংখ্যক প্রতিনিধির সমর্থন পান যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট। এর মধ্য দিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি হওয়া প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে তার।
নির্বাচনে বাইডেন ও ট্রাম্পের মুখোমুখি হওয়াটা হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭০ বছরের ইতিহাসে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পরপর দুবার প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘটনা।
দলীয় মনোনয়ন পেতে বাইডেনের দরকার ছিল এক হাজার ৯৬৮ প্রতিনিধির, যা তিনি মঙ্গলবার রাতে নিশ্চিত করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা এডিসন রিসার্চ।
মনোনয়ন নিশ্চিতের খবর পেয়ে দেয়া বিবৃতিতে বাইডেন একহাত নেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে।
তিনি বলেন, ট্রাম্পের অসন্তোষ ও প্রতিশোধপূর্ণ নির্বাচনি প্রচার আমেরিকার মৌল ধারণাকে হুমকিতে ফেলেছে। দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে ভোটারদের প্রার্থী বাছাই করতে হবে।
ভোটারদের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমরা কি আমাদের গণতন্ত্রের সুরক্ষার পক্ষে দাঁড়াতে যাচ্ছি নাকি অন্যদের এটি ধ্বংস করতে দিচ্ছি? আমরা কি বাছাইয়ের অধিকার পুনর্বহাল করে আমাদের স্বাধীনতা সুরক্ষিত করব নাকি চরমপন্থিদের তা ছিনিয়ে নিতে দেব?’
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে বিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
স্থানীয় সময় রোববার সারা বিশ্বের মুসলিমদের রমজানের শুভেচ্ছাবার্তায় বাইডেন এ মন্তব্য করেন বলে প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিটিআই) প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বাইডেন বলেন, গাজায় আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছার মধ্যে উপত্যকায় অবিলম্বে কমপক্ষে ছয় সপ্তাহের টেকসই যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র বিরামহীন কাজ অব্যাহত রাখবে। চুক্তির অংশ হিসেবে গাজায় থাকা বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শান্তির দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ নির্মাণের পথে অভিযাত্রা অব্যাহত রাখবে, যার মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের জন্য একই ধরনের মুক্তি, মর্যাদা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতে দুই রাষ্ট্র সমাধান। এটিই দীর্ঘস্থায়ী শান্তির একমাত্র পথ।
ভূমি, আকাশ ও সমুদ্রপথে গাজায় আরও বেশি সহায়তা পাঠানোর আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্ব দেয়া অব্যাহত রাখবে বলেও জানান বাইডেন।
মুসলিমদের রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, এ বছর ব্যাপক বেদনার সময়ে এসেছে রমজান। গাজায় যুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের জন্য ভয়াবহ দুর্দশা নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, হাজার হাজার শিশুসহ যাদের বেশির ভাগ বেসামরিক নাগরিক। নিহত অনেকে আমেরিকান মুসলিমদের পরিবারের সদস্য।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধে ইসরায়েলকে সীমা বেঁধে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আমেরিকার মিত্র দেশটিকে কখনও ছেড়ে যাবেন না তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসিকে দেয়া বৈপরিত্যপূর্ণ ও গোলমেলে এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন এ কথা বলেন বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, গাজার রাফাহ শহরে হামলা হবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য সীমা (যা তিনি অতিক্রম করতে পারবেন না)।
ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি কখনও ইসরায়েলকে ছেড়ে যাবেন না।
ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা আয়রন ডোমের প্রসঙ্গ টেনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার বিষয়টি এখনও ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানো একেবারে বন্ধের ক্ষেত্রে কোনো সীমা নেই। নিজেদের রক্ষার জন্য তাদের কাছে আয়রন ডোম থাকবে না, এমনটি করা যাবে না।
বাক্য শেষ না করে বাইডেন আরও বলেন, ‘কিন্তু সীমা আছে যা তিনি (নেতানিয়াহু) যদি অতিক্রম করেন…।’
ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, তার প্রশাসন আরও ৩০ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু দেখতে চায় না।
নেতানিয়াহুর সমালোচনা করে বাইডেন বলেন, ইসরায়েলকে সাহায্যের চেয়ে বেশি ক্ষতি করছেন প্রধানমন্ত্রী। গাজায় নিরীহ মানুষের প্রাণহানির বিষয়ে তার আরও নজর দেয়া উচিত।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য