অপর্যাপ্ত চিকিৎসা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ‘তিনবেলা প্যারাসিটামল’ বলে যে ট্রলের প্রচার আছে, সেটি সত্যি সত্যি দেখা যায় চা বাগানগুলোতে।
বাগানমালিকরা শ্রমিকদের কম মজুরি দিতে বাড়তি যে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা বলেন, তার একটি হলো বিনা মূল্যের চিকিৎসা। তবে শ্রমিকরা বলছেন, সেখানে নামমাত্র সুবিধা পাওয়া যায়। যদিও মালিকদের দাবি, তারা সবই দেন।
চা শ্রমিকরা ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে টানা ১৯ দিন কর্মবিরতি করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মজুরি ১৭০ টাকা করার পর শ্রমিকরা সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে কাজে ফিরেছেন।
সরকারপ্রধান দৈনিক মজুরি ৫০ টাকা বাড়ানোর পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও আনুপাতিক হারে বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
যখন তারা ১২০ টাকা মজুরি পেত, তখন মালিকপক্ষ দাবি করে আসছিল, রেশন, আবাসন, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ নানা খাতে খরচ মিলিয়ে ৪০১ টাকা ব্যয় করা হয় একেকজন শ্রমিকের পেছনে।
এখন দাবি করা হচ্ছে মজুরি ৫০ টাকা বাড়ায় শ্রমিকের পেছনে ব্যয় বেড়ে হবে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা।
আইন অনুযায়ী এসব সুবিধা কখনও মজুরির অংশ হতে পারে না। আবার নিউজবাংলা খোঁজ নিয়ে দেখেছে, আবাসন বলতে যে ঘর দেয়া হয়, তাতে মাসে ২৩০০ টাকা মজুরি দেখানো হলেও তাতে নেই আবাসনের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। এসব ঘরের ভাড়া সাত থেকে আট শ টাকার বেশি হওয়ার সুযোগ নেই।
রেশন বলতে যে সুবিধার কথা বলা হয়, তাও পর্যাপ্ত নয়। কেবল চাল বা আটা দেয়া হয়। কোনো কোনো বাগানে টানা পাঁচ বছর আটা দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আবার যাদের ধানের জমি ইজারা দেয়া হয়, তাদের রেশন দেয়া হয় না। অনিয়মিত শ্রমিকরাও এই রেশন পান না।
পোষ্যদের শিক্ষায় যে বরাদ্দ দেয়া হয়, তা বাগানমালিকদের হিসাবেই দিনে দেড় টাকা, অর্থাৎ মাসে ৪৫ টাকা। এবার জানা গেল, চিকিৎসায় একজনের পেছনে দিনে ব্যয় দেখানে হয় সাড়ে ৭ টাকা।
শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকদের চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি বাগানে একটি করে হাসপাতাল থাকবে। সেখানে একজন এমবিবিএস চিকিৎসক থাকবেন।
তবে প্রকৃত চিত্র কী, সেটি হবিগঞ্জের লস্করপুর চা বাগানের শ্রমিক রীতু তন্তুবাইয়ের কথাতেই উঠে আসে। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা সারা দিন বাগানে পাতা তুলি। বিভিন্ন ধরনের পোকা-মাকড়ের আক্রমণের শিকার হই। কিন্তু হাসপাতালে কোনো চিকিৎসা পাই না। একটু অসুস্থ হলে উপজেলায় গিয়ে ফার্মেসি থেকে ওষুধ আনতে হয়। বেশি অসুস্থ হলে উপজেলা হাসপাতাল যেতে হয়।’
স্নাতক পাস করে চা শ্রমিকের সন্তান কাজল হাজরা বাগানের নারী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সচেতনা নিয়ে কাজ করেন। তিনি জানান, সংগতি না থাকায় বাগানের শ্রমিকরা এখনও কবিরাজের ওপরই নির্ভরশীল।
তিনি বলেন, ‘বাগানের লোকজনের অসুখ হলে এখনও কবিরাজের কাছে যায়। ঝাড়ফুঁকে বিশ্বাস করে তারা। কারণ, কম পয়সায় এসব সেবা পাওয়া যায়।’
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘মালিক যে বলে আমাদের সুবিধা দেয়, এখানে কয়টি বাগানের শ্রমিকরা চিকিৎসা পান? কয়টা বাগানে হাসপাতাল আছে? সেগুলোতেও প্যারাসিটামল ছাড়া কোন ওষুধ দেয়া হয়?’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটা নারী শ্রমিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন। বয়ঃসন্ধিকাল ও গর্ভকালে নানা ধরনের সমস্যায় ভোগেন কিশোরী ও নারীরা। তারা চিকিৎসা পান না। এমনকি দেশে এত এত এনজিও আছে, তারাও চা বাগানগুলোতে আসে না।’
হাসপাতাল নেই সরকারি বাগানেই
সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল টি কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীন সিলেটের লাক্কাতুরা ও দলদলি চা বাগান। কিন্তু এই দুই বাগানেই নেই কোনো চিকিৎসক।
এ নিয়ে আক্ষেপ করে চা শ্রমিক নেতা রিতেশ মোদী বলেন, ‘প্রত্যেক বাগানে শ্রমিকদের জন্য রেজিস্টার্ড চিকিৎসক আইন করেছে সরকার। অথচ সরকারি বাগানগুলোতেই চিকিৎসক নেই। সরকারই যদি তাদের আইন না মানে তাহলে বেসরকারিগুলো মানবে কী করে?’
সিলেটের তারাপুর চা বাগানেও নেই কোনো চিকিৎসক। একজন কম্পাউন্ডার দিয়ে এখানে শ্রমিকদের সর্বরোগের সেবা দেয়া হয়।
দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর বাগান জেলা প্রশাসক গঠিত একটি ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বাগানে চিকিৎসক না থাকা প্রসঙ্গে এই কমিটির সদস্যসচিব ও সিলেট সিটি কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সন্তু বলেন, ‘আমাদেরটি একেবারে ছোট বাগান। তাছাড়া এমনিতেই লোকসান গুনতে হচ্ছে। ফলে সার্বক্ষণিক ডাক্তার রাখা আমাদের জন্য কঠিন।
‘তাছাড়া আমাদের বাগানটি শহরের মধ্যেই অবস্থিত। কাছাকাছি কয়েকটি হাসপাতাল আছে। বড় কোনো অসুখ হলে আমরা শ্রমিকদের সেখানেই পাঠাই এবং খরচ দেয়ার চেষ্টা করি।’
‘কেবল প্যারাসিটামলে কি সব অসুখ সারে?’
লাক্কাতুড়া বাগানেরই শ্রমিক পদ্মা গোয়ালা বলেন, ‘বাগানে একটি মেডিক্যাল সেন্টার আছে। সেখানে যেকোনো অসুখ নিয়ে গেলেই কেবল প্যারাসিটামল দেয়া হয়। আর কোনো ওষুধ মেলে না। কেবল প্যারাসিটামলে কি সব অসুখ সারে?’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে গেলে সারা দিন বসিয়ে রাখে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বসে থাকার পর একটামাত্র ওষুধ দেয়। এতে অসুখও কমে না। ওইদিন কাজেও যেতে পারি না।’
বাগানে পাতা তোলার কাজ করায় নানা ধরনের পোকামাকড় আর জীবাণুর আক্রমণ মোকাবিলা করে চলতে হয় চা শ্রমিকদের। তীব্র রোদে পুড়ে আর বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করা তাদের নিয়মিত ব্যাপার। এসব কারণে চা শ্রমিকদের প্রায় সবাই চর্ম রোগে ভোগেন। পিঠ, কোমর আর পায়ে ব্যথা রোগীর সংখ্যাও অনেক। অথচ বাগানের হাসপাতালগুলোতে মেলে না এসব রোগের চিকিৎসা।
হবিগঞ্জের বেগমখান চা বাগানে ছোট একটি ঘরে চিকিৎসা দেয়া হয় রোগীদের। সেখানে নেই কোনো চিকিৎসক। এক চিকিৎসকের সহকারী সেখানে বসে থাকেন। তাই রোগী আসে না।
পূজা সাঁওতাল নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘এখানে আসলেও প্যারাসিটামল ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না। তাই এখানে কেউ চিকিৎসা নিতে আসে না। জ্বরটর হইলে এখান থেকে ওষুধ নেয়া হয়। বড় কিছু হলে আমরা চান্দপুর চা বাগান থেকেই ওষুধ নেই।’
চা শ্রমিকদের শিক্ষা ও চিকিৎসা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (একডো) নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ বলেন, ‘চা বাগানে চিকিৎসাসেবা বলতে প্যারাসিটামল আর স্যালাইন। এ ছাড়া আর কোনো ওষুধ নেই। চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই, রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতিও নেই।’
তিনি বলেন, ‘বনে জঙ্গলে কাজ করার কারণে শ্রমিকরা চর্মরোগে বেশি ভোগেন। কিন্তু তারা বাগানের চিকিৎসাকেন্দ্রে গেলে একবার মলম লাগিয়েই ফিরিয়ে দেয়া হয়। একবারের মলমে কি চর্মরোগ সারে?’
জরায়ু ক্যানসারের ছড়াছড়ি
২০১৮ সালে মৌলভীবাজারের চা বাগানগুলোর নারী শ্রমিকদের নিয়ে একটি জরিপ চালায় সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন ও রিচার্স বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এতে দেখা যায়, চা বাগানের প্রায় ১৫ শতাংশ নারী রয়েছেন জরায়ু ক্যানসার ঝুঁকিতে।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের অর্থায়নে ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ‘সার্ভে টু ক্যানসার’ প্রকল্পের আওতায় চা বাগানগুলোতে এই জরিপ চালানো হয়।
অল্প বয়সে বিয়ে, অধিক ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সন্তান জন্মদান, অনিরাপদ যৌন মিলনসহ বিভিন্ন কারণে নারী শ্রমিকরা জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানায় জরিপকারী প্রতিষ্ঠানটি। অসেচতনতা ও দারিদ্র্যের কারণে শুরুতেই চিকিৎসা না পাওয়ায় এই ঝুঁকি আরও বাড়ছে বলে মনে করেন তারা।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সরদার বনিউল আলম বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালেও অনেক চা শ্রমিক নারী জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন। চা শ্রমিক নারীরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। অল্প বয়সে বিয়ে, বেশি সন্তান নেয়া, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতা ও অনিরপাদ যৌন মিলনের কারণে জরায়ুমুখে ক্যানসারের সূত্রপাত হয়।’
তিনি বলেন, ‘শুরুতেই চিকিৎসা পেলে তাদের বেশির ভাগের সমস্যাই ক্যানসার পর্যন্ত গড়াত না। তবে বাগানে তেমন চিকিৎসা পান না এবং নারী স্বাস্থ্য ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতাও তাদের নেই। ফলে অনেকের জীবনই ঝুঁকিতে পড়ে।’
ডাক্তারের কাছে যানই না তারা
সিলেটের দলদলি বাগানের শ্রমিক ছিলেন রমনী ভূমিজ। বয়সের কারণে এখন কাজে যেতে পারেন না। আছেন অবসরে। ভুগছেন বয়সজনিত নানা অসুখে। ডাক্তার দেখাতে পারেন না।
তিনি বলেন, ‘নিয়মিত শ্রমিকরাই বাগানের চিকিৎসা সেবা পান না। আর আমি কোথা থেকে পাব? আমারে তো ডাক্তার দেখবেই না।’
চা বাগানের চিকিৎসা আসলে কতটা পাওয়া যায়, তার উদাহরণ হতে পারেন নমিতা লোহাও। সিলেটের সরকারি লাক্কাতুরা বাগানে কাজ করেন তিনি।
নমিতা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হননি।
কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাগানে তো এসবের কোনো চিকিৎসা হয় না। কেবল জ্বর, মাথাব্যথার চিকিৎসা মেলে। বাইরে ডাক্তার দেখানোর মতো টাকাও নেই। তাই ডাক্তার দেখাতে পারিনি।’
এর আগেও দুটি সন্তান হয়েছে নমিতার। দুবারই প্রসব হয়েছে ঘরে। তাও প্রশিক্ষিত ধাত্রীর সহায়তা ছাড়াই।
ভালো ছবিও আছে, তবে খুবই কম
চাঁন্দপুর বাগানে বেশ বড় একটি ভবন রয়েছে হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য। ভেতরে রয়েছে অনেকগুলো শয্যাও। রোগ পরীক্ষার জন্য আছে নানা যন্ত্রপাতিও।
একজন চিকিৎসকসহ ৮ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম রয়েছে হাসপাতালটির। এখানে প্রসূতি সেবাসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা ও ওষুধ বিনা মূল্যে দেয়া হয়।
এই হাসপাতাল ছাড়াও আমু, সুরমা ও তেলিয়াপাড়া বাগানেও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা কিছুটা ভালো। তবে পরিস্থিতি সামগ্রিক চিত্রের তুলনায় একে ব্যতিক্রমই বলা যায়।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক নারী সংগঠনের সভাপতি খায়রুন আক্তার বলেন, ‘হবিগঞ্জের অধিকাংশ হাসপাতালেই চিকিৎসার অবস্থা নাজুক। প্যারাসিটামল দিয়েই সব রোগের চিকিৎসা হয় হাসপাতালগুলোতে। শুধু আমাদের বাগানের হাসপাতালেই ভালো চিকিৎসা পাওয়া যায়।’
আরও পড়ুন:নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে পারিবারিক গাছ থেকে পাড়া নারকেল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষে নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে সেলিম মিয়া নামে গুরুতর আহত একজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সেলিম মিয়ার ভাই মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, পৌর শহরের টেংগাপাড়া এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ও বৃহস্পতিবার সকালে দুই দফা সংঘর্ষে আটজন আহত হন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে নিজেদের পারিবারিক গাছ থেকে নারকেল পাড়েন সেলিম। সেই নারকেল অপর তিন ভাই মজনু মিয়া, ফজলুর রহমান ও আজিজুল হকের বাসায় ভাগ করে দেন, তবে ভাগ কম বেশি হওয়ায় কারণে ভাতিজারা সেলিমের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করেন। একপর্যায়ে সেলিমকে তারা মারধর করে সামান্য আহত করেন।
এ ঘটনায় ওই রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরদিন সকালে সেলিম দোকানে গেলে তার হাতে ও পিঠে ক্ষুরের আঘাতে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
আহত সেলিমের পক্ষের লোকজন জানায়, অপর তিন ভাই ও ভাতিজারা মিলে সেলিম ও তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ির ও শ্যালিকার ওপর হামলা চালান।
এদিকে সেলিমের বড় ভাই ফজলুর রহমান বলেন, ‘প্রথমে নারকেল নিয়ে ভাতিজারা সেলিমকে কিছুটা হেনস্তা করে। আমরা রাতে বিষয়টা সমাধান করব ভেবেছি, কিন্তু রাতে বড়কাশিয়া থেকে সেলিমের আত্মীয়রা এসে বাড়িতে ঢুকে নারী-পুরুষ সবাইকে ক্ষুর ও রামদা দিয়ে কোপানো শুরু করে। এতে আমাদের পক্ষের চারজন গুরুতর আহত হয়। ক্ষুরের আঘাতে রাজিমুলের পেট বের হয়ে গেছে। হাত কেটেছে একজনের।
‘নিজেদের লোকজনের এমন রক্তাক্ত অবস্থা দেখে আমাদের ঘরের ছেলেরা উত্তেজিত হয়ে মারধর করতে গেলে তারা ঘরের দরজা লাগিয়ে ফেলে। সেলিম ছাড়া অন্যদের মারধরের ঘটনা সাজানো। এ ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকেও মামলার আবেদন করা হচ্ছে।’
এদিকে রাতের ঘটনায় সেলিম মিয়া বাদী হয়ে মজনু মিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে সকালে মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলায় মজনু মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:নওগাঁর ধামইরহাটে রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল নামে সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা পরিচয় দিলেও তিনি আসলে তা নন, প্রতারণার স্বার্থে ভুয়া পরিচয় ধারণ করেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার রুপনারায়নপুর গ্রাম থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন।
২৫ বছর বয়সী রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী ম্যানুয়েল তপন জানান, ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে তিনি (পিয়াল) তার কাছ থেকে ২৯ হাজার ৫৩৮ টাকা গ্রহণ করেন এবং আরও টাকা দাবি করলে স্থানীয় জনতা তাকে চ্যালেঞ্জ করে। এরপর সংশ্লিষ্ট থানায় খবর দেয়া হয়। পরে থানা পুলিশ গিয়ে প্রতারক পিয়ালকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
তপন বলেন, ‘বেশকিছু দিন ধরে আমার মতো এলাকার অন্য লোকজনের কাছেও বিভিন্ন ফন্দি এঁটে প্রতারণা করে আসছে এই প্রতারক।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামইরহাট থানার ওসি মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, ‘প্রতারক রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন। ইতোমধ্যে একজনের কাছে থেকে ২৯ হাজার টাকা নিয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাও নিতেন তিনি।
‘এদিনও প্রতারণা করতে গেলে জনগণ তাকে আটক করে রাখে। এরপর পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ মামলা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন:নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মো. সুলতান নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিক এই হত্যাকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১১৬ নম্বর ক্লাস্টার থেকে পুলিশ সুলতানের মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নম্বর ক্লাস্টারের বাসিন্দা ছিলেন।
ভাসানচর থানার ওসি কাওসার আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, সুলতান ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নম্বর ক্লাস্টারে বসবাস করতেন। ১১৬ নম্বর ক্লাস্টারের খালি জায়গায় তিনি সবজি চাষ করতেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলে তার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে বাবাকে দেখতে না পেয়ে তার ছেলে ওই ক্লাস্টারে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি শুরু করেন। একপর্যায়ে তার বাবার গলা কাটা মরতেজ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। এ সময় অন্য ক্লাস্টারের লোকজন এগিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি কাওসার আহমেদ জানান, পেছনের দিক থেকে গলা কেটে এই রোহিঙ্গা নাগরিককে হত্যা করা হয়। শুক্রবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন:চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাছির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে বৃহস্পতিবার এই আবেদন করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য রেখেছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন সম্প্রতি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।
পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন।
একপর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালমন্দ করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, বাদী ও আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথা ও বুকে আঘাত পান। এ সময় পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন ও ভাঙচুর করেন।
বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেন।
২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমনি সাভার থানায় মামলা করেন।
ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০২২ সালের ১৮ মে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের সময় নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন নাসিরসহ তিন আসামি। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
আরও পড়ুন:গাইবান্ধায় ভাঙারির দোকানে চুরি করা রেলপাত (রেললাইন) বিক্রির সময় এক অটোচালকসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এসময় দোকান মালিক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ব্রিজ রোড এলাকার আশা ভাঙারি দোকানে সরকারি এসব রেলপাত বিক্রির সময় তাদের হাতেনাতে আটক করে গাইবান্ধার রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)।
এ সময় চুরি করে বিক্রি করতে নিয়ে আসা রেলপাত এবং সেসব পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি অটোরিকশাও জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলার পশ্চিম দুর্গাপুর এলাকার ৩০ বছর বয়সী সাগর মিয়া, ফুলছড়ি উপজেলার উত্তর কঞ্চিপাড়া এলাকার ৪০ বছর বয়সী ওয়াহেদ মিয়া ও আশা ভাঙারি দোকানের শ্রমিক সদর উপজেলার বালুয়া বাজারের পাকারখুটি এলাকার ৩৩ বছর বয়সী মোকলেছুর রহমান। এদের মধ্যে ওয়াহেদ মিয়ার অটোরিকশায় এসব মালামাল পরিবহন করা হয়েছিল।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ওসি খাইরুল ইসলাম তালুকদার।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের ব্রিজ রোডের একটি ভাঙারির দোকানে সরকারি রেলপাত অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয়কালে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় দোকান মালিক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘এ সময় তাদের কাছ থেকে খণ্ড খণ্ড তিন ফুট দৈর্ঘ্যের ৯ টুকরা রেললাইনের পাত উদ্ধার করা হয়, যা সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেয়া হবে।’
রেলপাতগুলো বালাসিঘাটের পরিত্যক্ত রেলপথ থেকে খুলে আনা হয়েছে বলে জানান রেলওয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এ সময় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া এদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’
অপহরণের ৬ ঘণ্টার মধ্যে সিরাজগঞ্জ থেকে তামিম হোসেন নামের ৭ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় এ মামলার আসামি আল-আমিন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাতী গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে র্যাব ১২-এর একটি দল। বুধবার দুপুর তিনটার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার হানুরবাড়াদি গ্রাম থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
অপহৃত তামিম হোসেন চুয়াডাঙ্গার হানুরবাড়াদি গ্রামের মো. সুন্নত আলীর ছেলে। অপরদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ২৯ বছর বয়সী আল-আমিন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় মেষতলী বাজারের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব ১২-এর অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মারুফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, অপহরণের পর শিশুটির বাবা সুন্নত আলী চুয়াডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি র্যাবকে জানালে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামির অবস্থান নির্ণয় করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, তামিমের বাবার সঙ্গে আল আমিনের দুই মাস আগে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়েই সুকৌশলে তামিমকে অপহরণ করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিপণের জন্যই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করার আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:বান্দরবানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রুমা থানার দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি এক নারীকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদসহ মামলায় ৫৭জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আদালতে আসামি পক্ষে একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার জিআর মামলা নং- ৪ ও ৭ মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।
এর আগে বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় ১৮জন নারী ও ৩৯জন পুরুষ বন্দিকে দুটি গাড়িতে করে আদালতে হাজির করা হয়। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটের ঘটনায় তাদেরকে রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে বান্দরবানে চলমান যৌথ অভিযানে সন্দেহভাজন আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৬জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য